M.A.A. NAFISH PEEZON. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

সেদিন সকালে

সেদিন ছিল ফাল্গুনের মিঠে রোদ মাখানো সকাল। সুজন সকালের সব কাজ শেষ করে একটা বই নিয়ে বসেছিল। এমন সময় রেখা এসে উপসি'ত হয়।

রেখার সঙ্গে সুজনের পরিচয় তার এক বন্ধু হাসান সাহেবের বাসায়। হাসান সাহেবের বাসায় সুজন মাঝে মাঝে যায়। আর সেখানে গেলে অনেক সময় রেখার সঙ্গে তার দেখা হয়। হাসান সাহেব যে বাসায় থাকেন তার কাছাকাছি এক বাসায় রেখারা থাকে। হাসান সাহেবের স্ত্রীর সঙ্গে রেখার সম্পর্কটা বেশ ভাল। সেই সূত্রে আসা। তাছাড়া হাসান সাহেব এক কলেজে অধ্যাপনা করেন। লেখাপড়ার কিছু বিষয় রেখা মাঝে মাঝে তার কাছ থেকে বুঝে নেয়। মেয়েটাকে সুজনের এমনিতে ভালই লাগে। বেশ হাসিখুশী, স্মার্ট। মিষ্টি চেহারার।

সুজন রেখাকে দেখে একটু অবাক হয়। কারণ রেখা কিছুদিন আগে সুজনের ঠিকানা নিলেও এর আগে আসে নাই। রেখা বলেছিল, সুজন ভাই! আপনার ঠিকানা দিতে আপত্তি আছে কি?

না, আপত্তি থাকবে কেন? তুমি এলে খুশী হব। কিন্তু তুমি তো জানো আমি একা থাকি। তোমারই না সংকোচ হয়।

রেখাকে প্রথম দিকে সুজন আপনি করে বলত। কিন্তু রেখা কয়েকদিন প্রবল আপত্তি করে, আমাকে আপনি করে বললে কিন্তু আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব না। আপনি তো আমার চেয়ে অনেক বড়। আমাকে আপনি তুমি করে বলবেন।

শেষ পর্যন্ত রেখার কথাই বহাল হয়। আসলে দুই জনের বয়সের ব্যবধানটা অনেক। রেখার বয়স কত হবে? মেয়েদের বয়স জিজ্ঞাসা করতে নাই। তবে অনুমান করে ঊনিশ কুড়ি হবে। সুজনকে দেখতে এখনো অনেক কম বয়সী তরুণের মত মনে হলেও সে কখনো নিজের বয়স লুকায় না। অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হয়, পঁয়ত্রিশ বৎসর বয়স হলেও সে বিয়ে করে নাই কেন!

মেয়েদের প্রতি তার অনীহা বা আসক্তি কোনটাই বোঝা যায় না। এমনিতে সে অমিশুক নয়। কিন্তু কোথায় যেন নিজের চারপাশে একটা অদৃশ্য দেওয়াল দিয়ে রাখে। হাসিখুশী, ভদ্র আর নম্র হলেও একটা দৃঢ় ঋজুতা শুধু তার শরীরে নয় মনেও যে রয়েছে এটা বুঝতে কারোরই খুব একটা কষ্ট হয় না।

বন্ধু
স্থানীয় কেউ কেউ বলে, এখন একটা বিয়ে করে ফেলুন। আর কত দেরী করবেন? নাকি এখনো বিপ্লবের পোকা মাথায় আছে?

বিপ্লবের পোকা মাথায় থাকা শুধু নয়, সে যে এক সময় বিপ্লবী আন্দোলনের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিল এটা অনেকে জানে। ষাটের দশকের শেষ দিকে সে ছাত্র জীবন শেষ করে কৃষকদের মধ্যে কাজ করার জন্য গ্রামে চলে যায়। একাত্তরে একটা কমিউনিস্ট দলের কর্মী হিসাবে যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিল দেশের ভিতরে থেকে। তবে বিভিন্ন প্রশ্নে দলের সঙ্গে মতান্তর আর নিজেরও বিভিন্ন সংশয়ের কারণে বাহাত্তরে সে সেই দল ত্যাগ করে। তারপর গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। নানা ঘাটের পানি খেয়ে অবশেষে বর্তমান পত্রিকায় চাকুরী করছে কয়েক বৎসর ধরে। এখন সক্রিয় রাজনীতি না করলেও নানা দলে বিভক্ত পুরাতন নেতা ও সহকর্মীদের কারো কারো সঙ্গে যোগাযোগটা রাখে। কিন্তু তাদের সঙ্গে একমত হতে পারে না বলে কোন দল করে না।

সে হেসে বলে, বিপ্লবের পোকা কি দেখা যায় যে, এটা আছে কি নাই বুঝব?

যাইহোক, এখন কিন্তু আপনার বিয়ে করা উচিত। চাকুরীতে যা পান তাতে আপনার সংসার চালাতে খুব একটা কষ্ট হবার কথা নয়। তাহলে বিয়ে করতে অসুবিধা কোথায়?

অসুবিধা আছে, তা কি বলেছি?
তাহলে?
সুজন উত্তর দেয় না, হাসে।

আসলে কি জানেন আপনার এই বই পড়া আর ভাবা রোগটা সারানো দরকার। এত বই পড়ে আর ভেবে কী লাভ?

হাঁ, এটা ঠিক সুজন একটু বেশী পড়ে। আর সে সদালাপী হলেও এবং সচরাচর হাসিখুশী থাকলেও একটু বেশীই চিন্তা করে। বলা যায় মাঝে মাঝে সে ভাবনায় মগ্ন হয়ে থাকে। সেই সময়গুলোতে এই পৃথিবীর চারপাশের কোন কিছু তাকে স্পর্শ করে না। মাঝে মাঝে সে কী যে লেখে তা কেউ জানে না। এটুকু বোঝা যায় যে, এই লেখার সঙ্গে তার পত্রিকার লেখার কোন সম্পর্ক নাই। অবশ্য এইসব লেখা সে অবসর সময়ে নিজের ঘরে লেখে। সে মাঝে মাঝে আড্ডা দিলেও সেটা সচরাচর বাইরে দেয়। তার বাসায় বাইরের লোকদের যাতায়াত কম। তাছাড়া এইসব লেখা সে প্রকাশও করে না। কাজেই অন্যদের জানবার কথাও নয়। বলা যায় অনেক মানুষের ভিড়ে সে বেশ খানিকটা একা।

বক্তারা যখন তাদের কথার জের টেনে বলে, আর যদি অনুমতি দেন তাহলে আপনার জন্য একটা মেয়ে দেখি - তখন সুজন নিজেই ব্যস্ত হয়ে বলে, না, না, এত ব্যস্ত হবার কী আছে?

কেউ কেউ বলে, আপনার নিজের কাউকে পছন্দ থাকলে বলেন, আমরা সেক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করতে পারি।

তা থাকলে বলার কথা ভাবা যেত, সুজন হেসে উত্তর দেয়।

সুজনের যারা একটু ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা আত্মীয় তারা দুঃখ পায়। কেউ কেউ বলে, এভাবে জীবনটা নষ্ট করো না। এবার ঘর-সংসার করো।

সুজন উত্তর দেয়, কেন আমার কি ঘর-সংসার নাই? তাহলে আমি থাকি কোথায়? গাছতলায় তো থাকি না।

এ কথার কি আর উত্তর হয়? সুতরাং বিয়ের ব্যাপারে কথা বেশী দূর এগোতে পারে না।

মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়ীতে গেলে মা-বাবাও তাকে বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করেন, জীবনের অনেকটাই তো নষ্ট করেছিস। এখন যা হোক একটা চাকুরী করছিস। এবার বিয়ে করে সংসারী হ’।

সে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে উত্তর দেয়, ভেবে দেখি।

কখনো বিরক্ত হয়ে মা বলেন, না কি বিয়ে করবি না ঠিক করেছিস?

না, মা, এমন সিদ্ধান্ত তো আমার কোনোদিনই ছিল না, এখনো নাই।

তবে কেন দেরী করছিস? হয় আমাদের পছন্দে বিয়ে কর আর নয় নিজে কাউকে পছন্দ করে বিয়ে কর। তোর জীবনটা আমার চোখের সামনে এভাবে নষ্ট হচ্ছে ভাবলে আমার খুব কষ্ট হয়।

আমাকে নিয়ে বেশী ভেবে নিজেকে কষ্ট দিও না মা!

তুই আর কোন দিন বাপ-মা’র কথা শুনলি! - মা ক্ষুব্ধ স্বরে বলেন।

বাড়ীর বড় ছেলে হলেও নিজ পরিবারের প্রতি কোন দায়িত্ব সে পালন করতে পারে নাই। বাবা-মা যেভাবে পেরেছেন তার অন্যান্য ভাইবোনকে মানুষ করেছেন। এখন তো যে যার মত আপন সংসার নিয়ে ব্যস্ত। বাবা-মা একাই থাকেন। জমি-জমা যা আছে তা দিয়ে তাদের দু’জনের স্বচ্ছন্দে চলে যায়। গ্রামের বাড়ীতে দু’জনের খরচই বা আর কত!

মা খুব বিরক্ত হয়ে কখনও বলেন, তুই যে কী চাস আমি বুঝি না।

আসলে কেউ বোঝে না সে কী চায়। কিংবা তাকেই হয়ত বোঝে না। সে কি নিজেও নিজেকে ভালমত বোঝে? মাঝে মাঝে তার নিজেকে ভয়ানক একা মনে হয়। ঢাকার রাজপথ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় তার কখনো মনে হয় সে এক নির্জন প্রান্তরে একা হেঁটে চলেছে। কেউ কোথায়ও নাই। সে দেখে দিগন্ত রেখা আর সেখানে দাঁড়িয়ে আছে অচেনা অরণ্য। তার মনে হয় যে পথে সে হেঁটে চলেছে তার শেষ কোথায় সে জানে না।

একদিন রেখা বলছিল, সুজন ভাই! আপনি তো এমনিতে বেশ হাসিখুশী মানুষ। কিন্তু মাঝে মাঝে হঠাৎ করে অমন অন্যমনস্ক হয়ে কী যেন ভাবেন। আচ্ছা, কী এত ভাবেন?

সুজন হাসে, তাই বুঝি? বেঁচে থাকলে মাঝে মাঝে তো ভাবতেই হয়।

না, বাবা! আমার এত ভাবতে ভাল লাগে না। বেশী ভাবনা হলে আমার হয় কান্না পায়, নয় ঘুম পায়।

এ কথায় ওরা দু’জনেই হাসে।

ওদের দু’জনের মধ্যে মাঝে মাঝে এমন অনেক আলাপ হয়। তবে সে সব যে খুব একটা গভীরে যায় তা নয়। কখনও হয়ত সুজন প্রশ্ন করে, রেখা! বই পড়তে তোমার ভাল লাগে?

ক্লাসের বই তো বাধ্য হয়েই পড়ি। বাইরের বই পড়তেও ভাল লাগে।

কী ধরনের বই পড়তে ভাল লাগে?

গল্প, উপন্যাস আর ডিটেকটিভ বই।

কার উপন্যাস তোমার ভাল লাগে?

অনেকের তো ভাল লাগে। তবে এই মুহূর্তে শরৎচন্দ্র আর তারাশংকরের কথা মনে হচ্ছে।

কোন দিন হয়ত সুজন প্রশ্ন করে, আচ্ছা রেখা! তুমি স্বপ্ন দেখো?

ওমা, ঘুমালে তো সবাই স্বপ্ন দেখে!
না, সে স্বপ্নের কথা বলছি না। মানুষের জীবনে তো কত স্বপ্ন্তকল্পনা থাকে। আমি সেই স্বপ্নের কথা বলছি।

রেখা হাসে, হাঁ, সেই স্বপ্ন তো আমিও দেখি। তবে বোধ হয় বেশী স্বপ্ন দেখতে আমার ভাল লাগে না। আমি বাস্তব বেশী পছন্দ করি।

আচ্ছা, দেশ, সমাজ এসব নিয়ে তুমি ভাব না?

আর দশজনের চেয়ে বেশী ভাবি এ কথা বলা বোধ হয় ঠিক হবে না। আসলে এসব নিয়ে বেশী ভেবে আমার কী লাভ বলেন!

একদিন রেখা সুজনকে বলে, সুজন ভাই! আপনি তো এক সময় রাজনীতি করতেন। আচ্ছা, রাজনীতি করে আপনার কী লাভ হয়েছে? যদি রাজনীতি না করে আপনি অন্য কিছু করতেন তাহলে কি আপনার আজ অনেক উন্নতি হত না?

কোন উন্নতির কথা বলছ?

এই যেমন ধরেন, টাকা-পয়সা, বাড়ী-গাড়ী।

যারা রাজনীতি করে না তাদের সবার বুঝি এসব হয়?

না, তা হয় না।

তাহলে? বরং বেশীর ভাগ মানুষেরই তো সেসব নাই আর তাদের জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট, তাই না? সেইসব দুঃখ-কষ্ট পাওয়া আর অধিকার বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য যদি কিছু মানুষ নিবেদিত না হয় তবে সমাজটা কী করে মানুষের বসবাসযোগ্য হবে বলো তো?

আপনি অনেক সুন্দর কথা বলেন সুজন ভাই, যেগুলো সবটুকু না বুঝলেও আমার শুনতে ভাল লাগে। কিন্তু আপনার মত ভাল মানুষ রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক কিছু হারিয়েছেন মনে হলে আমার রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধা আসে না।

সুজন একটু হাসে, আমি ভাল মানুষ এই বুঝি তোমার ধারণা?

রেখা একটু লজ্জা পেয়ে বলে, আপনি ভাল মানুষ এটা শুধু আমার ধারণা কেন হবে এটা তো সবার ধারণা। হাসান ভাই আর ভাবী তো সব সময় আপনার প্রশংসা করেন। ওনাদের কাছ থেকে আপনার কত কথা যে শুনেছি!

হাসান সাহেবের সঙ্গে সুজনের সম্পর্ক বেশ ভাল হলেও তাদের পরিচয় বা সম্পর্ক যে ছাত্র জীবন থেকে তা কিন্তু নয়। বরং  অনেক পরবর্তী কালে তাদের মধ্যে পরিচয় এবং সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হাসান সাহেব ছাত্র জীবনে বাম রাজনীতির সমর্থক ছিলেন। সেই সূত্রে তিনি সুজনের নাম জানতেন। তিনি ছাত্র জীবন শেষ করে একটা কলেজে অধ্যাপনা করতে ঢোকেন। রাজনীতির সঙ্গে এখন তার তেমন কোন সম্পর্ক না থাকলেও রাজনীতি, সমাজ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবেন এবং সময় সময় সেসব নিয়ে সুজনের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাদের আলোচনায় রাজনীতি ছাড়াও সাহিত্য, দর্শন ইত্যাদি বিষয় আসে। ভদ্রলোক সুজনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার স্ত্রীও সুজনকে খুব পছন্দ করেন। সে বাসায় এলে উভয়েই খুব খুশী হন।

সুজন রেখাকে আর বলার সুযোগ না দিয়ে বলে, এখন তাহলে আমি বলি আমি যদি তোমাদের প্রশংসা পাবার উপযুক্ত মানুষ হয়ে থাকি তা কিন্তু আমি যে, এক সময় বিপ্লবী রাজনীতি করেছিলাম সেই কারণেই অনেকখানি হয়েছে তাহলেও কি রাজনীতি সম্পর্কে তোমার মত বদলাবে না?

এ কথার উত্তর না দিয়ে রেখা পাল্টা প্রশ্ন করে, রাজনীতি যদি এত ভাল হয় তাহলে আপনি কেন ছেড়েছেন?

সুজন হেসে একটু ক্ষণ ভাবে। তারপর বলে, যখন বুঝেছি ভুল পথে এগোচ্ছি তখন পথতটা বদলাতে চেয়েছি। কিন্তু সব সময় রাজনীতি করা মানে কি দল করা? এই যে দেশ নিয়ে, সমাজ নিয়ে, মানুষের জীবন নিয়ে ভাবা কিংবা কারো সঙ্গে কথা বলা তাও কি এক ধরনের রাজনীতি নয়? তাছাড়া তখন যে রাজনীতি করা প্রয়োজন মনে করেছি তা করেছি আর যখন তার প্রয়োজন নাই মনে করেছি তখন তা ছেড়ে দিয়েছি।

প্রয়োজন যার ফুরায় সেটা করা কি ভুল নয়?

তা হবে কেন? পরে তা মূল্যহীন হতে পারে কিন্তু যখন তার মূল্য ছিল সেই সময়টাকে হিসাবে না নিয়ে এক সময় তার মূল্য ফুরিয়েছে বলে তাকে শুধু ভুল বলে উড়িয়ে দেওয়া কি ঠিক? তাহলে তো মৃত্যু আছে বলে জীবনেরো কোন মূল্য থাকে না।

রেখা বলে, আপনার সঙ্গে আমি তর্কে পারব না সুজন ভাই। কাজেই আর তর্কে না গিয়ে বলব আপনার সম্পর্কে আমি যেটুকু শুনেছি অথবা আমি নিজে আপনাকে যেটুকু বুঝেছি তাতে আমি এইটুকু বুঝি যে, রাজনীতি অর্থাৎ আপনাদের ঐ বিপ্লবী রাজনীতি না করলে আপনি অনেক উপরে উঠতে পারতেন।

রেখার সঙ্গে সম্পর্ক এই রকম কিছু আলাপের বেশী তেমন একটা এগোয় নাই। তবে রেখা যে তাকে পছন্দ করে সেটা সুজন বোঝে। কিন্তু তার পরিমাণ বা ধরনটা বুঝতে পারে না। কিংবা হয়ত এ কথা বলাই ঠিক হবে যে, সেটা বোঝার জন্য তেমন একটা চেষ্টাও করে না।

রেখা এলে সে একটু অবাকই হয়। রেখা তার ঘরে ঢুকে বলে, কী সুজন ভাই! আপনাকে একট সারপ্রাইজ দিলাম, তাই না?

হাঁ, গত কালও তো তোমার সঙ্গে বিকালে হাসন সাহেবের বাসায় দেখা হল। তখনো তো বলো নাই যে আজ আসবে!

সুজনের কথার উত্তর না দিয়ে রেখা ঘরটার চারধারে তাকিয়ে বলে, বাহ্‌ ! আপনার ঘরটা তো বেশ সুন্দর করে সাজানো। আমি ভাবছিলাম একা পুরুষ মানুষ থাকেন, না জানি কেমন এলোমেলো দেখব ঘরটা।

কলোনির একটা ঘরে সুজন সাবলেট নিয়ে থাকে। সে নিজে গোছানো মানুষ। জিনিসপত্র কম হলেও সেগুলো বেশ গুছিয়ে রাখে। অবশ্য জিনিসের মধ্যে বই-পত্রই বেশী জায়গা জুড়ে আছে।

সে নিজে বিছানায় বসে। চেয়ারটা টেনে নেয় সামনে। বলে, বসো!

রেখা চেয়ারে না বসে বিছানায় বসে। সুজনের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখে। তারপর বলে, আপনাকে ধরব বলে সকাল সকাল বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম। অফিসে কি এখন যাবেন, নাকি কিছু দেরী আছে?

অফিসের আর একটু দেরী আছে। তাছাড়া একদিন বেশী দেরী করলেও কোন ক্ষতি হবে না। তুমি নিশ্চিন্ত হয়ে বসো। হাঁ, এবার বলো, আমি তোমাকে কি দিয়ে আপ্যায়ন করতে পারি?

না, না, সেসব কিছু করতে হবে না। আপনার ছোট সংসার দেখলাম। একটু হাসে, এবার একটু সময় গল্প করব।

সুজন তরল সুরে বলে, তথাস' ম্যাডাম! তোমার মত সুন্দরী রমণীর সঙ্গে গল্প করার সাধ জাগবে না যার সে পুরুষ তো পুরুষ কুলের কলংক।

রেখার হাসিতে জলতরঙ্গ বেজে ওঠে। তারপর কোন কথা না বলে কিছুক্ষণ মাথা নীচু করে থাকে। দাঁত দিয়ে নীচের ঠোঁটের একটা ধার একটু কামড়ে ধরে। একটু পরই সেটাকে ছেড়ে দেয়। তারপর মাথাটা ওঠায়। সুজনের চোখের দিকে তাকায়। একটু ইতস্তত করে দৃষ্টি নামায়। তারপর বলে, সুজন ভাই! আজ রাতে আমি আপনাকে স্বপ্নে দেখেছি।

বলেই মাথাটা নীচু করে। বোঝা যায় কথাটা বলতে তার খুব লজ্জা হয়েছে এবং অনেক প্রস'তি নিয়ে প্রায় মরীয়া হয়ে বলেছে।

সুজনের হঠাৎ কেমন ভাবান্তর হয়। সে হাত বাড়িয়ে রেখার চিবুকটা একটু তুলে ধরে। এক মুহূর্ত ওর মুখের দিকে সহাস্যে চেয়ে বলে, ও মা, তাহলে তো আমি মহাভাগ্যবান! কিন্তু স্বপ্নটা সুখের না দুঃখের?

মুহূর্তে ঘটনাটা ঘটে। রেখা সুজনের হাতটা দু’হাতে জড়িয়ে ধরে তার বুকে টেনে নিয়ে সুজনের কাঁধে মাথা রাখে। সেই মুহূর্তে সুজনের চেতনায় যেন একটা বিস্ফোরণের মাধ্যমে তার পুরুষ সত্তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে মুহূর্তে তাকে জড়িয়ে ধরে। রেখাও তার কোমল বাহুতে বাঁধে তাকে। দু’জনের অধরে অধর  মিশে যায়। সুজন রেখাকে চুম্বনে, পেষণে তছনছ করে দিতে চায়। সুজনের অধরে রেখার দীর্ঘ, ব্যাকুল চুম্বন তার ভিতরটা মাতাল করে তোলে। যেন তখন ঝড়ের মাতামাতি দু’জনের বুকে, শরীরে, মনে। রেখার শরীরে তখন বৈশাখের রোদের তীব্র দহন। কেন এই পুরুষ তার দহন প্রবল ঝড়ের পর বৃষ্টির ধারা দিয়ে নেভায় না?

রেখার অনাবৃত নরম বুকে সুজন মুখ ডোবায়। আর তখন যেন অনেক দূর থেকে ফিস ফিস শব্দের মত অস্পষ্ট ধ্বনি ভেসে আসে তার কানে, সুজন! আমি তোমাকে ভালবাসি।

মুহূর্তে সুজনের বুকের ভিতরে যেন একটা তীর এসে গেঁথে যায়। ক্রমে তার বাহু শিথিল হয়ে আসে। তার পৌরুষের ঋজুতা নিয়েও তীরবিদ্ধ যন্ত্রাণাকাতর হরিণের মত রেখার বুক থেকে ধীরে ধীরে মাথা তোলে, তার আধখোলা বিবশ দু’চোখের উপর দৃষ্টি রাখে। রেখার দু’চোখে তখন হেম
ন্তের রাত্রির কুয়াশায় অস্পষ্ট জ্যোৎস্নার আলো ঝরছে। একটু লাজুক হাসির রেখা ফুটে ওঠে তার দু’চোখে। অস্পষ্ট স্বরে বলে, প্লিজ! আর পারছি না।

সুজন আলতো করে তার ঠোঁটে একটা চুম্বন করে। তারপর ধীরে ধীরে নিজেকে কিছুটা আলগা করে নিয়ে রেখার চুলে হাত বুলায়। ততক্ষণে প্রবল উত্তেজনা রেখার শরীরে তীব্র যন্ত্রণায় রূপ নেয়। তার তলপেটে তীব্র ব্যথা জাগে। ব্যাথাটা ঢেউয়ের মত শরীরে ছড়ায়। সেটা দ্রুত আক্ষেপে পরিণত হয়। রেখা কাতর হয়ে বলে, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। - তার বুকের ভিতর থেকে অস্ফুট আর্তনাদ ঠেলে ওঠে। একটা আহত হরিণীর মত সে যেন মোচড়াতে থাকে।

সুজন মুহূর্ত খানেক হতভম্বের মত চেয়ে থাকে। তারপর মুহূর্তে তার করণীয় ঠিক করে ফেলে। সে রেখাকে ছোট্ট একটা মেয়ের মত বুকে জড়িয়ে ধরে তার পিঠ
আস্তে আস্তে চাপড়ে দিতে থাকে। তার কপালে, দু’চোখে চুম্বন করে। এবারে তার আদরের ধরনটা অনেক ভিন্ন।

বলে, লক্ষ্মী মেয়েটা একটু শান্ত হও!

সুজন ততক্ষণে নিজে শান্ত হয়ে গেছে। রেখার মাথাটা তার বুকের উপর রাখা। চিৎ হয়ে শোওয়া সুজনের বুক আর পেটের উপর তার বুক আর শরীরের কিছুটা অংশ লেপ্টে রয়েছে। সে কিছুটা শান্ত হলে সুজন তার মাথায় পিঠে ধীরে ধীরে হাত বুলায়। এক সময় সহসা রেখা তার বুকে ফুঁপিয়ে কাঁদে কিছুক্ষণ। সুজন কিছু বলে না। একইভাবে তার মাথায়, চুলে আর পিঠে হাত বুলিয়ে যায়। তার হাত দিয়ে যেন অন্তহীন মমতা নদীর স্রোতের মত, জ্যোৎ
স্নার স্নিগ্ধ আলোর মত রেখার শরীরে ঝরে পড়তে থাকে। রেখা এক সময় অস্ফুট স্বরে তার বুকে মাথা রেখেই স্বগতোক্তির মত বলে, আপনি আমাকে ভালবাসেন না।

সুজন এর উত্তর দেয় না। ওর মাথার চুলে বিলি কাটতে থাকে।

আর কিছুটা সময় পর রেখা উঠে বসে। তাড়াতাড়ি পিছন ফিরে বসে কাপড় গুছিয়ে নেয়। চোখ-মুখ ভাল করে মোছে। চুলটা ঠিক করে। সুজন শুয়ে শুধু ওকে দেখে। না কি দেখে না? হয়ত তার চোখ তাকে দেখে। কিন্তু তার মন হয়ত তখন অনেক দূরের কোনো পৃথিবীতে। সে পৃথিবীকে কি রেখা চেনে?

রেখা খাট থেকে নেমে বলে, আমি এখন যাই।

সুজনও নামে। গাঢ় স্বরে বলে, রেখা একটু দাঁড়াও!

তারপর দু’হাত দিয়ে রেখার মাথাটা আলতো করে ধরে তার কপালে একটা চুম্বন করে। এর পর ধীরে ধীরে তার ঠোঁট উঠিয়ে নেয় তার কপাল থেকে, মাথা থেকে হাত দু’টো নামায়। রেখা একবার সুজনের বিষাদ মাখা দু’চোখে নিজের দু’চোখ রাখে। তারপর মাথা নীচু করে ধীরে ধীরে চলে যায়। সুজন দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। তার সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাওয়া দেখে। সে আড়াল হলে দরজা দিয়ে নিজের ঘরের জানালার কাছে এসে দাঁড়ায়।

সে বোঝে রেখা আর কোনোদিন তার কাছে আসবে না। হয়ত সে তার সঙ্গে তার বন্ধুর বাসায়ও আর দেখা করবে না। সে জানালার পর্দা সরায়। সামনের দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করে। বাইরে তখন ফাল্গুনের সকালের রোদ সোনালী ধারায় গলে পড়ছে। দক্ষিণ হাওয়া ক্ষণে ক্ষণে নারিকেল পাতায় দোল খেয়ে যায়। সামনের মাঠ, গাছ, সারি সারি দালান সব কিছু ছাড়িয়ে তার দৃষ্টি তখন বহু দূর নীল আকাশের দিকে।

সে নিজেকে জিজ্ঞাসা করে। আমি কী চাই?

তার মনে টুকরো টুকরো স্মৃতি ঢেউয়ের পর ঢেউয়ে তাকে ঠেলে নিয়ে যায় বাস্তব থেকে অবাস্তবের কোনো কিনারায়। এক সময় সে যেখানে এসে থামে সেটা হল একাত্তরের এক রণক্ষেত্রের দৃশ্য। শহর আর গ্রামের কিছু ছাত্র-যুবক আর গ্রামের কিছু কৃষক নিয়ে যে বাহিনী গঠন করা হয়েছিল তার একজন সদস্য হিসাবে সে তখন লড়ছিল। সামনে পাকিস্তানী বাহিনী আর পিছনে মুজিব বাহিনী। দুই বাহিনীর আক্রমণে তারা শেষ পর্যন্ত আর টিকতে পারে নাই।

স্বপ্নের মত দেখতে পায় তার সাথীদের অনেকে কীভাবে একে একে মারা যায়। কেউ কেউ গুরুতরভাবে আহত হয়। সে নিজেও আহত হয়। তাদের মধ্যে যে কয়জন শত্রুর হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারে সে তাদের একজন।

তারপর কতকাল কেটে গেছে। মাঝখানে কত ওলটপালট। সে কী চেয়েছিল। কী হল! জীবনের কত সুখস্বপ্ন মরে গেছে। কিন্তু রক্তের ঋণ শোধ করা হল না। তার ভিতরটা হুহু করে ওঠে।

সে একাত্তরের রণক্ষেত্র স্মৃতিপটে আবার আনতে চায়। এবার সহসা মনে রোমাঞ্চ জাগে। তার দৃষ্টি যেখানে গিয়ে পড়ে সেটা আর এক অচেনা রণক্ষেত্র। সে দেখতে পায় সে একটা স্টেনগান ধরা। আরো অনেকের মাঝে। তাদের বাহিনী মার্চ করে চলেছে। ফোয়ারার মত ছুটে যাওয়া গুলির শব্দ সে শুনতে পায়। বারুদের ধোঁয়ার আঘ্রাণ সে বুক ভরে টেনে নেয়।

বাস্তব অতিক্রান্ত কোনো জগতে যেন সে দাঁড়িয়ে একটা কবিতার কয়েকটা লাইন উচ্চারণ করে,

ফুল আমাকে যতই কাঁদাক, যুদ্ধই আমার নিয়তি;
কাজেই এখানেই নিই বিদায়, বহুদূর পথ আমাকে যেতে হবে।
জীবন তো এমনই, হয়ত সে ফুল হয় অথবা কাঁটাগাছ
যেমনই সে হোক যেখানে এবং যখন, শুধু জানি
আমাকে আবার যুদ্ধে যেতে হবে।

একটু সময়ের জন্য সে স্তব্ধ হয়ে থাকে। তারপর আপন মনে বলে, রেখা! - এইটুকু বলে কিছুক্ষণ সে থেমে থাকে। তারপর আবার বলে, তোমার বিশ্বাসের অমর্যাদা করতে পারি নাই।

একটু সময়ের জন্য আবার থেমে উত্তর জানা আছে জেনেও অদৃশ্য রেখার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে, তুমি কি কখনো যুদ্ধে যাবে?

এই রকম এক মুহূর্তে, সে কী চায়, তার অনেকটাই তার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়।

আপনার সাইটে বাংলা রেডিও যুক্ত করুন এবং মেতে উঠুন বাংলা গানের সুরে

Bangla Radio 24
Bangla Radio 24
প্রথমে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই বাংলা রেডিও ২৪ শোনার জন্য ।
আপনি যদি আপনার নিজের সাইট থেকে থেকে বাংলা রেডিও ২৪ শুনতে চান, তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার সাইটে বাংলা রেডিও ২৪ যুক্ত করতে পারবেন । আপনার সাইটে বাংলা রেডিও ২৪ যুক্ত করার জন্য নিচের কোড আপনার সাইটে বসিয়ে দিন এবং উপভোগ করুন বাংলা গান ।
কোড : ৩০০x২৪৫ পিক্সেল
<iframe src="http://www.banglaradio24.com/widget/index.php" allowtransparency="true" frameborder="0" height="245" width="300" scrolling="no"></iframe>
এই কোড যুক্ত করলে আপনার সাইটে ৩০০x২৪৫ পিক্সেল এর বাংলা রেডিও ২৪ যুক্ত হবে ।
কোড : ২০০x২১০ পিক্সেল
<iframe src="http://www.banglaradio24.com/widget/index-200.php" allowtransparency="true" frameborder="0" height="210" width="200" scrolling="no"></iframe>
এই কোড যুক্ত করলে আপনার সাইটে ২০০x২১০ পিক্সেল এর বাংলা রেডিও ২৪ যুক্ত হবে ।
সকলকে ধন্যবাদ ।

আপনার মোবাইল দিয়ে আপনার কম্পিউটারকে সম্পুর্ণভাবে কন্ট্রোল করুন

মোবাইল দিয়ে অনেকেই নিজের কম্পিউটার কন্ট্রোল করেছেন । আমি নিজেও করেছি । কিন্তু Telexy Networks এর SymRDP প্রোগ্রামটি রিমোট ডেস্কটপকে নতুনভাবে পরিচয় করে দিয়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর কাছে ।



আপনারা যারা মোবাইলে সিমবিয়ান অপারেটিং এর ৫ম ভার্সন ব্যবহার করেন তারা তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে নিজের কম্পিউটার অথবা অফিসের কম্পিউটারকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারবেন । SymRDP প্রোগ্রামটি টাচ স্ক্রীন সাপোর্ট করে, তাই আপনার মোবাইলে টাচ করে মাউস মুভ করা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ কিবোর্ড ও ব্যবহার করতে পারবেন । এবং আপনারা মোবাইল দিয়ে কম্পিউটারের গেমও খেলতে পারবেন ।
যেসব মোবাইল ফোন সাপোর্ট করবে সেগুলো হলো …
  • Nokia 5230
  • Nokia 5235 Comes With Music
  • Nokia 5530 XpressMusic
  • Nokia 5800 Navigation Edition
  • Nokia 5800 XpressMusic
  • Nokia N97
  • Nokia N97 mini
  • Nokia X6
  • Samsung i8910 HD
  • Series 60 5th edition
  • Sony Ericsson Satio (Idou)
  • Sony Ericsson Vivaz
সুতরাং যারা সিমবিয়ান অপারেটিং এর ৫ম ভার্সনসহ মোবাইল ব্যবহার করেন তারা আজই ভিজিট করুন Telexy Networks SymRDP এর ওয়েবসাইট এবং ডাউনলোড করে উপভোগ করুন রিমোট ডেস্কটপের মজা ।

আসুন মোবাইল নাম্বার দিয়ে বিশ্বের যেকোন মানুষের অবস্থান জেনে নেই !!!!

শুনেই মনে হয় মাথা খারাপ হয়ে গেল, তাই না ? একদিন আমার ইচ্ছা হলো ইন্টারনেটের মহাসমুদ্রে এমন কিছু পাওয়া যাই কিনা যেখানে মানুষের মোবাইল নাম্বার জানা থাকলে সেটা ব্যবহার করে মানুষটির অবস্থান জানা যায় কিনা । যেই চিন্তা সেই কাজ । শুরু করে দিলাম সার্চিং । এক পর্যায়ে পেয়ে গেলাম একটা সাইট যেখানে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এই সার্ভিস পাওয়া যায় । আমি প্রথমে নিজের নাম্বার দিয়ে সার্চ করলাম । এবং সার্চ করে যে রেজাল্ট পেলাম তা এক কথায় অসাধারণ ..
undefined
আপনি যদি এই সার্ভিস ফ্রি পেতে চান তাহলে এখুনি ভিজিট করুন মোবাইল ফোন ট্রাকিং এর সাইট । ভিজিট করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আশা করি আপনারা মজা পাবেন ।

ঝকঝকে বাংলা দেখুন মজিলা ফায়ারফক্সে

 
মজিলা ফায়ারফক্স আমাদের সবারই খুব প্রিয় একটি ইন্টারনেট ব্রাউজার। কিন্তু মজিলা ফায়ারফক্সের একটি সমস্যা হচ্ছে এই ব্রাউজার দিয়ে facebook সহ অন্যান্য অনেক সাইটে বাংলা লেখা পরিষ্কার দেখা যায় না বা দেখা গেলেও খুব ছোট আকারে দেখা যায়। আপনাদের জন্য এমনই একটি ট্রিক্স যাতে আপনারা আপনাদের প্রিয় ব্রাউজারটিতে ঝকঝকে বাংলা দেখতে পারেন।
এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
১। প্রথমে... আপনার ব্রাউজারের Tools মেনু থেকে Options সাবমেনুতে ক্লিক করুন।
২। এবার Content ট্যাব এর Fonts & Colors অংশের Advanced বাটনে ক্লিক করুন।
৩। এবার Fonts for অংশ থেকে Bengali সিলেক্ট করুন। এবার Serif অংশ হতে Siyam Rupali ফন্টটি সিলেক্ট করুন।
৪। তারপর Sans-serif এবং Monospace অংশ থেকেও Siyam Rupali ফন্টটি সিলেক্ট করুন। তারপর Size হতে ১৬ বা ১৭ সিলেক্ট করুন।
৫। এবার Default Character Encoding থেকে Unicode (UTF-8) সিলেক্ট করুন। এবার OK/OK করে বের হয়ে আসুন। (টেক-ইনফোবিডি)
এবার দেখুন কি সুন্দর ও পরিষ্কার বাংলা দেখা যাচ্ছে!

ফ্রেন্ডস লকার ব্যবহার করুন এবং আপনার ফেসবুক বন্ধুদের নিজের কাছে রাখুন সারাজীবন


মানুষের জীবন ক্ষনস্থায়ী । আজকাল তেমনই হয়ে গেছে ফেসবুকের প্রোফাইলের অবস্থা । কে যে কখন হ্যাক করে, কখন যে ফেসবুক প্রোফাইলটা বল্ক করে দেয় কোন গ্যারান্টি নাই । আর নিজের প্রোফাইল হারানো মানেই সকল বন্ধুদের হারানো । এমন পরিস্থিতিতে পরার আগেই সকলের উচিত নিজের সকল বন্ধুদের লিস্টটি ব্যাকআপ করে নেয়া । আর সেই সুবিধা দিতে আজ কাজ শেষ করলাম “ফ্রেন্ডস লকার” । এখানে আপনি আপনার সকল বন্ধুদের নাম সহ তাদের প্রোফাইল লিংক সংরক্ষণ করতে পারবেন । কখনো যদি আপনার এমন প্রোফাইল কাজ না করে তাহলে আপনি নতুন প্রোফাইল বানানোর পর এই প্রোগাম থেকে আপনার সকল বন্ধুদের লিস্ট দেখতে পারবেন । এবং আপনার সকল বন্ধুর প্রোফাইল লিংক থেকে সকল বন্ধুর সাথে আবার সংযুক্ত হতে পারবেন ।
আশা করি আপনাদের সকলের উপকারে আসবে । আর আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য “ফ্রেন্ডস লকার” কে আরো শক্তিশালী করতে আশা করি ।
প্রোগ্রামটি ব্যবহার করার জন্য ভিজিট করুন http://apps.facebook.com/friends-locker/

মাতৃভাষা বাংলাতে সর্বপ্রথম একই সাথে বাংলা ই-মেইল, বাংলা চ্যাটিং, ভিডিও চ্যাটিং ও ছোট বাংলা সামাজিক নেটওয়ার্ক


আমার ভাষা বাংলা ভাষা, বাংলা আমার মাতৃভাষা । ভালোই লাগে যখন দেখি ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি আমাদের বাংলা ভাষাতেও ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফোরাম ইত্যাদি ।কিন্তু বাংলাতে ই-মেইল ও বাংলাতে চ্যাটিং করার ভালো কোন ওয়েবসাইট আমাদের নাই । তাই অনেক দিন থেকেই আমার ইচ্ছা, বাংলাতে ই-মেইল ও চ্যাটিং করার একটা সহজ সাইত বানানো যেখানে একই সাথে পপুলার সকল অপশন থাকবে । এবং এই চিন্তাধারা থেকেই বাংলা.IM এর সৃষ্টি ।
Bangla.IM এমন এক ওয়েব সাইট যেখানে আপনি নিজের নামে একটা সুন্দর ও ছোট ই-মেইল একাউন্ট পাবেন । এবং এই ই-মেইল একাউন্ট ব্যবহার করে আপনারা একই সাথে বাংলা ই-মেইল পাঠাতে ও গ্রহন করতে পারবেন । পাশাপাশি আপনারা একে অন্যের সাথে বাংলাতে চ্যাটিং করতে পারবেন । বাংলা.IM এ কোন বন্ধু হবার জন্য প্রস্তাব পাঠতে হয় না । এখানে সবাই সবার বন্ধু । কারণ আমারা বাঙালি আমাদের ভাষা এক এবং আমরা সবাই সবার বন্ধু ।
বাংলা ই-মেইল ও চ্যাটিং এর পাশাপাশি আপনারা বন্ধুদের সাথে গেম ও খেলতে পারবেন । এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আপনি আপনার বন্ধুর সাথে অনেক সহজেই ভিডিও চ্যাট করতে পারবেন ।
নতুন আরেকটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, “আমার কথা” – ছোট সামাজিক নেটওয়ার্ক । এখানে আপনারা আপনাদের মনের কথা একে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারবেন । এবং অন্যের কথার মতামত দিতে পারবেন । এতে আপনারা একে অন্যের মধ্যের বন্ধুত্ব আরো বাড়াতে পারবেন ।
সর্বশেষে এক নজরে দেখে নেই বাংলা.IM এ আমারা কি কি ফিচার উপভোগ করতে পারবো ..
  • বাংলা ই-মেইল
  • বাংলা টেক্সট চ্যাট
  • ভিডিও চ্যাট
  • গেম
  • ছোট সামাজিক নেটওয়ার্ক
আশা করি আপনারা বাংলা.IM নিয়মিত ব্যবহার করবেন এবং আমাদের বাংলা ভাষাকে আরো প্রতিষ্ঠিত করবেন ।
আজই ভিজিট করুন http://www.Bangla.IM

ব্লক করা সাইট দেখার উপায়

বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে কিছু ওয়েবসাইট ব্লক থাকতেই পারে। যেমন কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এছাড়াও নানা কারণে কিছু ওয়েবসাইট সময়মতো দেখা নাও যেতে পারে। কিন্তু প্রয়োজনীয় মুহুর্তে সেই ওয়েবসাইটটিতে যদি যেতেই হয় তাহলে কি করবেন?

আসুন ব্লক সাইট দেখার কয়েকটি পদ্ধতি জেনে নিই-

পদ্ধতি-১। এখান থেকে আল্ট্রা সার্ফ লেটেস্ট ভার্সন (৯.৯৬) ডাউনলোড করে নিন। সফটওয়ারটি এখানেও পেতে পারেন। সাইজ মাত্র ৪৪২ কিলোবাইট।
এরপর এক্সট্রাক্ট করে রান করুন। ব্যস, ব্যানড ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে ব্রাউজ করুন নির্বিঘ্নে। আমি সাধারণত এই পদ্ধতি ব্যবহার করি।
পদ্ধতি-২। আপনার ব্রাউজারটি মোজিলা ফায়ারফক্স হলে ভালো হয়। এখান থেকে ফ্রী Tor সফটওয়্যারটি  ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন আর ফায়ারফক্সে এর এড অনটি ইনষ্টল হতে দিন। এর পর ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করলে নিচে ডান সাইডে দেখবেন Tor Disabled লেখা আছে। সেখানে ক্লিক করলেই Tor Enabled হয়ে যাবে।
এবার নির্বিঘ্নে প্রয়োজনীয় ব্লক সাইটে ঢুকুন।
যতবারই Tor Disabled থেকে Tor Enabled করবেন তখনই আপনার আইপি এড্রেস চেঞ্জ হবে। ফলে আপনি রেস্ট্রকটেড (ফ্রি) হোষ্টিং সাইট যেমন রেপিডশেয়ার থেকে প্রিমিয়াম একাউন্ট ছাড়া ওয়েট না করেই ফাইল নামাতে পারবেন।
পদ্ধতি-৩। এখানে কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড কিংবা ইনস্টল করার প্রয়োজন নেই। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে যেখানে Enter a URL below to browse the internet securely লেখা আছে তার নিচের বক্সে আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে Begin Browsing এ ক্লিক করুন।  আশা করি, কোন সমস্যা ছাড়াই ব্রাউজ করতে পারবেন।
পদ্ধতি-৪। এখানেও কোন সফটওয়্যারের প্রয়োজন নেই। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে Enter URL লেখা বক্সে কাঙ্খিত ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখে Go বাটনে ক্লিক করলেই আপনাকে নিয়ে যাবে কাঙ্খিত পাতায়।
এরপরও যদি কোন কারণে সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে গুগল, ইয়াহু কিংবা বিং এ গিয়ে আপনার সমস্যার কথা লিখে সার্চ দিন। পরামর্শ পেয়ে যাবেন।

যে কোন ফাইল/ফোল্ডার লক/গোপন করুন কোন প্রকার সফটওয়ার ছাড়াই


কম্পিউটারের কোন ফাইল বা ফোল্ডার গোপন করতে চাইলে সাধারণত বিশেষ কোন সফটওয়্যারের সাহায্য নেয়া হয়। কিন্তু কোন সফটওয়্যার ছাড়াও সহজেই ফাইল গোপন করা যায়। আসুন দেখা যাক কিভাবেঃ
প্রথমেই নোটপ্যাড (Notepad) ফাইল খুলুন।
নিচের লেখাটি কপি করে নোটপ্যাডে Paste করুন।
—————————
cls
@ECHO OFF
title Folder Locker
if EXIST “Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}” goto UNLOCK
if NOT EXIST Locker goto MDLOCKER
:CONFIRM
echo Are you sure u want to Lock the folder(Y/N)
set/p “cho=>”
if %cho%==Y goto LOCK
if %cho%==y goto LOCK
if %cho%==n goto END
if %cho%==N goto END
echo Invalid choice.
goto CONFIRM
:LOCK
ren Locker “Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}”
attrib +h +s “Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}”
echo Folder locked
goto End
:UNLOCK
echo Enter password to Unlock folder
set/p “pass=>”
if NOT %pass%==type your password here goto FAIL
attrib -h -s “Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}”
ren “Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}” Locker
echo Folder Unlocked successfully
goto End
:FAIL
echo Invalid password
goto end
:MDLOCKER
md Locker
echo Locker created successfully
goto End
:End
—————————–
২৩ নম্বর লাইনের ‘type your password here’ লেখাটি মুছে দিয়ে সেখানে আপনার কাঙ্খিত পাসওয়ার্ডটি টাইপ করুন।
এখন Notepad ফাইলটিকে locker.bat নামে Save করুন।
যে ফোল্ডারে ফাইলটি সেভ করেছেন সেখানে গিয়ে ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করুন। পাশেই locker নামে একটি ফোল্ডার তৈরী হবে। এ ফোল্ডারটিতে আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল কিংবা ফোল্ডার রাখুন।
locker.bat নামক ফাইলটিতে পুনরায় ডাবল ক্লিক করুন। একটি ডায়লগ বক্স আসবে, সেখানে y টাইপ করে এন্টার চাপুন। আপনার ফাইল হিডেন হয়ে গেল।
আপনার ফাইল পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাইলে পুনরায় locker.bat নামক ফাইলে ডাবল ক্লিক করুন। ডায়লগ বক্সে আপনার পূর্বে প্রদত্ত পাসওয়ার্ড লিখে এন্টার দিন। তাহলেই ফোল্ডারটি দৃশ্যমান হবে।

ভয়ঙ্কর মৃত্যুর রহস্য

আমি তখন মেডিকেল কলেজের ফিফ্থ ইয়ার এর ছাত্রী। ঢাকায় বাসা হবার কারনে অন্য সব ছাত্রীদের মত আমাকেও মেডিকেল কলেজের হলে থাকতে হত। সেদিন ইভিনিং শিফ্ট সেরে হলে ফিরতে অনেক রাত হয়েছিল বলে তাড়াহূড়ো করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম আর প্রায় সাথে সাথেই ঘুম এসে গেল। ঘুমের মাঝে স্বপ্নে দেখলাম কলেজের মর্গে লাশ কাঁটার বিছানায় আমি শুয়ে আছি আর ফরেনসিক বিভাগের এক ডাক্তার একে একে আমার পড়নের সমস্ত পোশাক খুলে ফেলছেন। বুঝলাম আমি তখনও জীবিত, কিন্তু সবাই ভাবছে আমি মরে গেছি আর তাই পোস্টমর্টেমের জন্য আমাকে এখানে রাখা হয়েছে। আমি তখন হাত পা নাড়তে কিংবা কোন শব্দ করতে পারছিলাম না, শুধু বুঝতে পারছিলাম ডাক্তার এখন আমার পোস্টমর্টেম না করে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন। আমাকে সম্পূর্ণ নগ্নকরে কাপড় গুলা দূরে একটি বিছানায় সরিয়ে রাখলেন তিনি। তারপর ডাক্তার আমার দিকে এগুতেই হঠাৎ আমার মোবাইলের পরিচিত রিং-টোন শুনতে পেলাম। বুঝলাম বিছানায় রাখা আমার কাপড়ের ভিতর থেকে মোবাইল ফোন বাঁজছে। রিং এর আওয়াজ ক্রমেই বেড়ে চলেছে আর ডাক্তার ক্রমশ এগিয়ে আসছেন আমার দিকে। হঠাত মনে হল এটা একটা দুঃস্বপ্ন। তাই প্রাণপনে ঘুম ভাংগার চেষ্টা করলাম আর এক সময় ঘুম ভেংগে গেল। ঘুম ভাংগার পর দেখলাম সত্যি আমার মোবাইলে রিং হচ্ছে। মনে মনে কলার কে ধন্যবাদ দিলাম, কারন তিনি ফোন না করলে ঘুমের মাঝে আরো কত কি হত কে জানে!
-হ্যালো
-ভাল আছ এষা?
-হ্যাঁ। কে বলছেন?
-কেন চিনতে পারছ না?
-না। কে হাসান ভাই
নাকি?
-না হাসান না।
-তাহলে কে?
-তুমি এখন
কি পড়ে আছ এষা?
স্কার্ট না সালোয়ার
কামিজ?
-থাপড়ায় গালের দাঁত ফেলে দিব হারামীর বাচ্চা।
এই বলে ফোন রেখে দিয়ে কলারের নাম্বার চেক করলাম। অপরিচিত নাম্বার, মোবাইলে সেইভ করা ছিল না। ব্যাটা জানত যে আমি ঘুমাচ্ছি, তাই ফোন ধরার আগে নাম্বার চেক করব না। তাই পরিচিত মানুষের মত কথা বলার চেষ্টা করছিল। হঠাত মনে হল আমিই বা হাসান ভাই নাকি জিজ্ঞেস করলাম কেন? হাসান ভাই ত মারা গেছেন অনেকদিন হল। রাগ নামিয়ে আবার ঘুমাবার চেষ্টা করলাম। রাত তখন
ক’টা বাজে জানতে ইচ্ছা হচ্ছিল, কিন্তু মোবাইলের আলো চোখে লাগবে বলে আর সময় দেখলাম না। এর কিছুক্ষন পর আবারফোন বেঁজে উঠল।বুঝতে পারলাম ওই বদমাশ লোকটা আবার ফোন করেছে। তাই কল রিসিভ করলাম না। ফোন বন্ধ করে ঘুমাবার চেষ্টা করলাম আর হঠাত লোড শেডিং শুরু হল। এখন যে আর গরমে ঘুম আসবে না তা পুরোপুরি নিশ্চিত। তবু গরমে হাসফাস করতে করতে ঘুমাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কোন কাজ হল না। পাশের খাঁটের দুই রুমমেট তখন রুমে ছিল না। বোধহয় ওদের আজ
নাইট ডিউটি। থাকলে নাহয় ওদের সাথে গল্প করে সময় পার করা যেত। অনেক্ষন অপেক্ষার
পরও ইলেকট্রিসিটি না আসায় মনে হল এভাবে কষ্ট করে শুয়ে থাকার কোন মানে হয় না। ছাঁদে গিয়ে বসে থাকি, তাতে গরম কিছুটা হলেও কম লাগবে। মোবাইল অন করে মোবাইলের আলোয় পথ দেখে ছাঁদে চলে এলাম।
ছাঁদে আসার পর আবার মোবাইল বাঁজতে শুরু করল। এবার কল না কেঁটে বদমাশটা কে কিছু শক্ত
কথা শুনিয়ে দেবার কথা ভাবলাম। তা না হলে ব্যাটা হয়ত কালও আবার ফোন করবে। তাই ফোন ধরে ধমকের সুরে বললাম,
-হ্যালো কে আপনি?
-আমি অনেক দূর থেকে তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি এষা। প্লিজ আমায় ভুল বুঝো না।
-আপনি কে সেটা কি বলবেন? নাহলে আমি ফোন রেখে দিব।
-আমি হাসান।
-আপনি হাসান ভাই না আমি জানি। কারন হাসান ভাই মারা গেছেন। আপনি কে সত্যি করে বলুন।
-সত্যি এষা আমি হাসান। আমি এখন ছাঁদে তোমার কাছে এলে কি তুমি আমায় বিশ্বাস করবে? একথা শুনার পর আর কথা বাড়ানোর সাহস রইল না। বুঝতে পারলাম লোকটা আশে পাশের
কোন বিল্ডিং থেকে আমাকে দেখতে পাচ্ছে। তাই কল কেটে দিলাম।
প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হল। কিছুদিন আগেই মোবাইলের সিম পাল্টেছি। এরই মাঝে হয়ত ক্লাসের
কারো কাছ থেকে নাম্বারটা কেউ পেয়ে গেছে। অথবা ক্লাসের কেউই আমাকে ফোন করে পরীক্ষা করছে। আমি তাঁর কথায় সাড়া দিলে হয়ত কথা রেকর্ড করে ক্লাসের সবার কাছে তা কোনভাবে পৌছে দিবে আর
আমাকে খারাপ সাজাবার চেষ্টা করবে। এ অবস্থায় আর ছাঁদে দাঁড়িয়ে থাকার কোন মানে হয় না, কারন লোকটা আমায় ঘুমাবার পোশাকে দেখতে পাচ্ছে। তবে অন্ধকার থাকায় তা নিয়ে আমি খুব একটা শঙ্কিত হলাম না। আমি তখন ঘুটঘুটে অন্ধকারের ভিতর আশে পাশের বিল্ডিং গুলার দিকে তাকিয়ে কিছু বের করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কোন লাভ হলো না। তাই রুমে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। মোবাইলের
আলো জ্বেলে ছাঁদের দরজার দিকে এগুতে যাব আর ঠিক তখন একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম কে যেন আমার কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে উঠল, এষা যেয়ো না দাঁড়াও। আমি আসছি। একথা শুনার পর প্রচন্ড ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে যাবার মত অবস্থা হল। মনে হল যেন ছাঁদে আমি ছাড়া আর অন্য কেউও আছে। ভয়ে আমি তখন মারা যাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম ছাঁদে যে আছে সে যদি মানুষ হয় তাহলে হয়ত আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আর যদি সেটা অন্য কিছু হয় তাহলে যেন সেটা আমার চোখের সামনে না আসে, কারন আমি সেই ভংকর দৃশ্য সহ্য করতে পারব না।
কিছু বুঝে উঠবার আগেই আরো একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। হঠাত কোথা থেকে যেন একটা আলোর ঝলকানি এসে ছাঁদের মেঝেতে পড়ল আর আমি দেখতে পেলাম মেঝেতে একটা কালো ছাঁয়া মূর্তি বসে আসে ছায়ামূর্তিটার মানুষের মত হাত পা আছে কিন্তু শরীরের গঠন মানুষের মত নয়। আমায় দেখতে পেয়ে ছায়ামূর্তিটা দ্রুত পানির ট্যাংকির দিকে হামাগুড়ি দিয়ে চলে গেল আর ধীরে ধীরে পানির ট্যাংকির দেয়ালে মিশে যেতে শুরু করল। এর পরে কি হয়েছিল আমি ঠিক মনে করতে পারছি না। সম্ভবত আমি সেখানেই জ্ঞান হারাই। জ্ঞান ফিরে পাবার পর জানতে পারি আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম আর চিৎকার করে মা’কে ডাকছিলাম। আমার চিৎকার শুনে নিচ থেকে ছাত্রীরা ছুটে এসে আমাকে রুমে নিয়ে যায়। মেডিকেলের ছাত্রী হিসেবে ভূত প্রেতে বিশ্বাস করাটা আমার মোটেই শোভা পায় না। তবুও আমি পরবর্তীতে এই ঘটনার কোন ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারিনি। জানিনা হাসান ভাই কি সত্যি সত্যি সেদিন আমাকে স্বপ্নের ওই ডাক্তারের হাত থেকে বাঁচাতে এসেছিলেন কিনা। কারন সেই স্বপ্ন আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার দেখেছিলাম। এই স্বপ্নের পিছনে একটা কারনও আছে, তবে সেই কারনের সাথে এই ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই বলে তা উল্লেখ করছি না। এষা ময়মনসিংহ চিঠিটি পড়ার পর এষাকে ফোন করলেন সিদ্দিকুর রহমান।
-হ্যালো স্লামালাইকুম
-মিস্ এষা বলছেন?
-জ্বী। কে বলছেন প্লিজ?
-আমি মাসিক হরর পত্রিকার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ।
-ও আচ্ছা। আমার লেখাটা কি ছাঁপানো হচ্ছে?
-জ্বী। তবে তাঁর আগে আপনার আরো সাহায্যের প্রয়োজন।
-বলুন আমি কি করতে পারি?
-আপনি বোধহয় জানেন আমাদের চিঠিপত্র বিভাগে এ ধরনের লেখার সাথে সম্পাদকের দাড় করানো একটা ব্যাখ্যা থাকে। আর সেটার জন্য আপনার সাহায্যের প্রয়োজন।
-আমাকে কি আপনাদের অফিসে আসতে হবে?
-যদি আসতে পারেন তাহলে খুবই ভাল হয়। আর নাহলে ফোনেই কাজটা সেরে নেয়া যাবে। কখন ফোন
করলে আপনার সাথে সময় নিয়ে কথা বলা যাবে?
-আমি আসলে এখন একটু ব্যাস্ত আছি। আপনি চাইলে আমি নিজেই কাল আপনাকে ফোন করব অথবা আপনাদের অফিসে এসে দেখা করে যাব।
-আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
-আপনাকেও। ভাল থাকবেন।
ফোন রাখার পর সিদ্দিকুর রহমান তাঁর রহস্য ডায়েরীর একটি খালি পাতা খুলে বসলেন। সেখানে দ্রুত কিছু নোট লিখে ফেললেনঃ
১) হাসান সাহেব কে?
প্রথমে যেই লোকটি টেলিফোন করেছিল তাঁর গলার স্বর কি হাসান সাহেবের মত ছিল?
ধরে নেয়া যাক হ্যাঁ।
আর সে কারনেই এষা তাকে প্রথমে হাসান সাহেব মনে করেছিল। কিন্তু এষা কেন ফোনে হঠাত একজন মৃত মানুষের কথা স্মরণ করবে?
তাহলে কি হাসান সাহেব এষার খুব কাছের কেউ ছিলেন যাকে এষা এখনো প্রত্যাশা করে?
সেই তীব্র প্রত্যাশা থেকে কি এষা মনে করে হাসান ভাই তাঁর কাছে এসেছিল তাঁকে সেই ফরেনসিক
বিভাগের ডাক্তারের হাঁত থেকে রক্ষা করার জন্যে? আর তাই সে সাধারন একটা ব্ল্যাংক কল কে হাসান সাহেবের কল মনে করে অনেক কিছু ভেবে বসে? হতে পারে হাসান সাহেবের মৃত্যুর সময় এষা তাঁর কাছে ছিল না, তাই তাঁর অবচেতন মন সব সময় চাইত হাসান সাহেবের সাথে শেষ আরেকটিবার দেখা করতে? কিন্তু মৃত মানুষের কোনভাবেই ফিরে আসা সম্ভব না বলে তাঁর অবচেতন মন সেই ইচ্ছা নিয়ে হতাশায় ভুগছিল। তাই সেদিন সেই স্বপ্ন আর ব্ল্যাংকল এর সাথে কোন সংযোগ ঘটিয়ে তাঁর অবচেতন মন সাধারন কোন ছাঁয়া কে হাসান সাহেবের ছাঁয়ামূর্তিতে রুপান্তর করে? যদি তাই হয় তাহলে এই ঘটনার প্রভাবক হিসেবে অন্য কোন ঘটনা কাজ করেছে যা এষা তখন খেয়াল করেনি। সেই না জানা ঘটনা কে বের করতে পারলেই অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে।
২) এষা লিখেছে কেউ তাঁর কানের কাছে ফিসফিস করে কথা বলেছিল এবং সে তা স্পষ্ট শুনতে পেয়েছিল। এই স্পষ্ট শুনতে পাবার ঘটনাই হাসান সাহেবের ছাঁয়ামূর্তির ঘটনার প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়াও আরেকটি কারন এই ছাঁয়ামূর্তির অস্তিত্বকে জোড়ালো করতে পারে। এষা লিখেছে তাঁর তখন দুই ধরনের ভয় হচ্ছিল। প্রথমত ছাঁদে যা ছিল তা যদি মানুষ হয় তাহলে তাঁর বড় কোন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত
সেটা যদি মানুষ না হয় তাহলে সে প্রচন্ড ভয় পাবে। একজন মেডিকেলের ছাত্রী হিসবে এষা কখনো ভূত প্রেত বিশ্বাস করত না। তাই লোকলজ্জার ভয়ে তাঁর জাগ্রত মন চাচ্ছিল এটা যেন কোন মানুষ না হয়, কারন এষা জানে ভূত বলে কিছু নেই, আর এটা মানুষ না হলে ভূত হবারও সম্ভাবনা নেই, হয়ত মনের ভুল হতে পারে যা ভাল করে লক্ষ্য করলে বুঝা যাবে। অপরদিকে এষার অবচেতন মন প্রচন্ডভাবে হাসান
ভাই কে প্রত্যাশা করছিল। সেই ভয়ংকর মূহুর্তে এষার চেতন ও অবচেতন দু’টা মনের ইচ্ছাই এক হবার
কারনে এষা ছাঁয়ামূর্তির অস্তিত্বকে বিশ্বাস করেছিল। ঘটনার ব্যাখ্যা দাড় করাতে অবশ্যই আমাদের কোন অলৌকিক ঘটনা কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। তাহলে এখন প্রশ্ন উঠতে পারে এষার কানে কে ফিস ফিস করে কথা বলেছিল? আশেপাশে যদি কেউ না থাকে তাহলে একমাত্র মোবাইল ফোনেই সে কথা শুনতে পাবে। কিন্তু এষা তখন কলারের সাথে কথা বলছিল না। তাই মোবাইলে সে ফিস ফিস কন্ঠটি শুনেনি।
আবার এষা লিখেছে সে মোবাইলের আলোয় পথ দেখে ছাঁদের দরজার দিকে এগুচ্ছিল। তাহলে কি হতে পারে সে যখন মোবাইলে আলো জ্বালবার জন্য মোবাইলের বোতামে চাপ দেয় তখন সেই কলারের কল
রিসিভ হয়ে যায় আর সেই কলার কাছের কোন বিল্ডিং থেকে এষাকে ছাঁদের দরজার দিকে না যেতে বলে? আর মোবাইলের সে কথাই এষার কানের কাছে ফিস ফিস করে কথা বলার মত মনে হয় কারন সে জানত না সে ভুলে কল রিসিভ করে ফেলেছে? এই ব্যাখ্যা যুক্তি সংগত।
৩) এখন ছাঁয়ামূর্তির অস্তিত্বকে মিথ্যা প্রমাণ করতে হলে যে কারনটি দাড় করানো যেতে পারে তা হল এষা যা দেখেছিল তা ঘুমের ঘোরে দেখেছিল। অর্থাৎ, এষা লিখেছে ছাঁদে তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল
কারন লোডশেডিং হচ্ছিল। কিন্তু ঘুটঘুটে অন্ধকারে কোন ছাঁয়ামূর্তি দেখা সম্ভব নয়। তাহলে এষা আরো আগেই অন্য কোন কারনে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু জ্ঞান ফিরে পাবার পর সেই ভয়ের কারন তাঁর মনে থাকে না বরং অজ্ঞান থাকাকালীন সময়ে স্বপ্নে যেই ছাঁয়ামূর্তি দেখতে পায় তাকেই সে সত্যিকার ছাঁয়ামূর্তি বলে মনে করেছিল।
এবার ধরা যাক
এষা সত্যি ছাঁয়ামূর্তি দেখার পর জ্ঞান হারিয়েছিল।আর যদি এষা সত্যি ছাঁয়ামূর্তি দেখে জ্ঞান হারায় তাহলে অবশ্যই সেই সময় কিছুটা হলেও আলো ছিল। এষার মতে ছাঁয়ামূর্তিটা এসেছিল একটা আলোর
ঝলকানির মাধ্যমে। তাহলে কি ধরে নেয়া যায় তখন হঠাত ইলিকট্রিসিটি চলে আসে বলে আসে পাশের বাড়িগুলা তে আলো জ্বলে উঠে আর এষা সেই আলোকেই আলোর ঝলকানি মনে করে? এই ঘটনা কে সাহায্য করতে আরেকটি ঘটনার বাস্তব রুপান্তর প্রয়োজন। এষা কেন ইলিক্ট্রিসিটি ফিরে আসা খেয়াল করবে না?
হতে পারে সে ইলেক্ট্রিসিটি ফিরে আসার সময় প্রচন্ড ভয় পেয়েছিল অর্থাৎ ছাঁয়ামূর্তিটাকে দেখেছিল?
আর যদি ছাঁয়ামূর্তিটা কে দেখেই থাকে তাহলে সেই ছাঁয়ামূর্তিটা এষার কাছ থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে গেল কেন? হতে পারে এষার কাছের বিল্ডিং থেকে যেই মানুষ টা এষার সাথে কথা বলছিল হঠাত
ইলেকট্রিসিটি চলে আসবার কারনে সে দ্রুত জানালা থেকে সরে যায় আর তাঁর ছাঁয়া ধীরে ধীরে দেয়ালে মিলিয়ে যায়? কিন্তু এষা লিখেছে ছাঁয়ামূর্তির মানুষের মত হাত পা ছিল কিন্তু শরীরের গঠন মানুষের
মত না। শরীরের গঠন মানুষের মত না বলতে সে কি বুঝিয়েছে? ছাঁয়ামূর্তিটিকে যদি তাঁর অবচেতন মন নিয়ে আসে তাহলে সেই অবচেতন মন তাঁর শরীরের গঠন মানুষের মত করে কেন আনল না? আর সে যদি কোন মানুষের সাধারন ছাঁয়া দেখেও ভয় পায় তাহলেই বা সেই ছাঁয়ার শরীর মানুষের মত ছিল না কেন? এখানেই যুক্তি কাজ করছে না। তাই ছাঁয়ামূর্তির অস্তিত্ব সত্যি কি মিথ্যা তা মোবাইলে ফিস ফিস কন্ঠ শুনবার মত সহজে প্রমাণ করা গেল না।
৪) ফরেনসিক বিভাগের সেই ডাক্তার কে?
এষা কেনই বা এধরনের স্বপ্ন আগে দেখত? তা একমাত্র এষার সাথে কথা বলেই জানা যাবে।
৫) উপরের কোন যুক্তিই কাজ করবে না যদি হাসান সাহেব এষার খুব কাছের মানুষ না হয়ে থাকেন। অর্থাৎ এষার অবচেতন মন যদি হাসান সাহেব এর দেখা পেতে না চায়। কিন্তু তা হবার সম্ভাবনা কম কারন এষা চিঠির শেষে লিখেছে যে হাসান সাহেব কি সত্যি এষা কে ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার এর
হাত থেকে রক্ষা করতে এসেছিল কিনা তা সে জানে না। খুব কাছের মানুষ না হলে দূরের কাউকে এভাবে ছুটে আসার কথা এষা কখনো চিন্তা করবে না। আর এসব কারনেই এষার সাথে কথা বলে আরো কিছু তথ্য জানতে হবে, যা রহস্য সমাধানে সাহায্য করবে। আপাতত শুধু একটা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে যে এষা আসলে মোবাইলে সেই কলারের ফিস্ ফিস্ কন্ঠ শুনেছিল। এই সূত্র ধরেই সামনে এগুতে হবে। এখন এষাকে যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
করতে হবে তা হলঃ
১) হাসান সাহেব কে ছিলেন?
২) জ্ঞান ফিরে পাবার পর এষা মোবাইলে সেই কলারের কল কতবার রিসিভ করেছিল সেটা কি চেক করেছিল ? দু’বার না তিনবার?
৩) সেই কলারের নাম্বার নিশ্চয়ই এষা মোবাইল থেকে সংগ্রহ করে রেখেছিল? সেই নাম্বারে কি পরে কখনো ফোন করা হয়েছিল কলারের সন্ধান জানতে?
৪) ছায়াঁমূর্তির শরীরের গঠন তাঁর কাছে মানুষের মত মনে হয়নি কেন?
৫) ফরেনসিক বিভাগের সেই ডাক্তার কে? এর পরদিন সিদ্দিকুর রহমান এষার সাথে ফোনে কথোপকথোন সেরে নিলেন এবং মূল পাঁচটি প্রশ্নের জবাব তাঁর ডায়েরীতে লিখে রাখলেনঃ
১) হাসান সাহেব এষার মেডিকেল কলেজের সিনিয়র স্টুডেন্ট ছিলেন। এষার সাথে তাঁর বিয়ে হবার কথা ছিল। হাসান সাহেব এম,বি,বি,এস শেষ করে লন্ডনে চলে যান লেখাপড়ার জন্য কিন্তু লন্ডনে একটা রোড
এক্সিডেন্টে তিনি মারা যান দু’বছর আগে। হাসান সাহেবের সাথে এষার সম্পর্ক খুব বেশিদিনের ছিল
না বলে এষা হাসান সাহেবের পরিবার এর ঠিকানা জানত না। তাই হাসান সাহেবের মৃত্যুর সংবাদটি পায় হাসান সাহেবের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে।
২) কল কতবার রিসিভ করা হয়েছিল কিংবা কলারের নাম্বার কি ছিল তা এষা জানতে পারেনি,কারন তাঁর মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছিল। সে যখন চিৎকার করে জ্ঞান হারায় তখন তাঁর চিৎকার শুনে হলের
ছাত্রীরা ছুটে এসে তাকে রুমে নিয়ে যায়, আর পরবর্তীতে কেউ তাঁর ফোনটি সরিয়ে ফেলে।
৩) তিন নম্বর মন্তব্য অনুযায়ী -জানা যায় নি।
৪)এষা বলতে চাচ্ছে ছাঁয়ামূর্তির বুক থেকে কোমরের দিকটা ছিল অস্বাভাবিক রকমের চওড়া অর্থাৎ তাঁর
শরীরের অনুপাত কখনোই মানুষের মত ছিল না। আর সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার ছিল যে ছাঁয়ামূর্তির
দুপাশে দু’টি পাখা ছিল। এই পাখার কারনেই সে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছিল যে এটা কোন মানুষের ছাঁয়া নয়।
৫) ফরেনসিক বিভাগের সেই ডাক্তার এষা কে পছন্দ করতেন। হাসান সাহেবের মৃত্যুর পর এষার সাথে তাঁর কিছুটা সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে অনেক রোগীর অভিযোগে সেই ডাক্তারের নামে একটা স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়লে এষা সেই সম্পর্ক কে আর এগুতে দেয়না। কিন্তু ডাক্তার তারপরও এষাকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে যায়। এর প্রায় পনের দিন পর
‘মাসিক হরর’
পত্রিকায় সম্পাদকের ব্যাখ্যা সহ এষার চিঠিটি ছাঁপা হয়।
সম্পাদকের ব্যাখ্যার
খানিকটা অংশঃ
…………লন্ডনে হাসান সাহেবের একটা রোড এক্সিডেন্ট হয় ঠিকই কিন্তু তিনি তাতে মারা যান না। বেঁচে গেলেও তিনি শারীরিকভাবে পংগু হয়ে যান এবং হুইল চেয়ার ব্যাবহার করতে শুরু করেন।
এমতাবস্থায় তিনি এষা ও তাঁর পরিবারের কথা চিন্তা করে এষা কে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন।কারন এই পংগুত্বকে এষা সহজভাবে নিলেও এষার পরিবার হয়ত সার্বিকভাবে এই বিয়েতে খুশী থাকবে না,
তাছাড়া তিনিও চান না তাঁর ভালবাসার মানুষটি সারাজীবন একজন হুইলচেয়ারে বসে থাকা মানুষের
সাথে ঘর করুক। তাই তিনি তাঁর বন্ধুর মাধ্যমে এষাকে তাঁর মৃত্যুর খবরটি পৌছে দিয়েছিলেন। হাসান সাহেবের বাবা মা গ্রামে থাকতেন বলে এষাও পরে আর তাঁর বাবা মা’র সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি। লন্ডন থেকে ডিগ্রী নিয়ে হাসান সাহেব তখন দেশে ফিরে এসেছিলেন। সম্ভবত অল্প কিছুদিন পর তিনি আবার লন্ডন ফিরে যেতেন কারন ফোনে তিনি বলেছিলেন তিনি অনেক দূর থেকে এষার সাথে দেখা করতে এসেছেন। এষা যেন জানতে না পারে তাই তিনি এষার হোস্টেলের পাশের একটি বাড়িতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন কিছুদিনের জন্যে। হাসান সাহেব যেহেতু একই মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন তাই তাঁর জন্য এ কাজটি করা খুব একটা অসুবিধের কিছু ছিল না। তিনি কিছুদিন এষা কে লুকিয়ে লুকিয়ে সেই বাড়ী থেকে দেখে চোখ জুড়াতেন। কখনো ভাবেন নি এষার সামনে তিনি যাবেন। এষা সাধারনত বিকেলের মধ্যে হলে ফিরে আসে, কিন্তু সেদিন এসেছিল অনেক রাত করে। তাই তিনি এষাকে দেখতে পাননি। আর এই না দেখার কষ্ট তাকে এষাকে ফোন করতে বাধ্য করে, কারন হয়ত পরদিনই
তিনি দেশে ছেড়ে চলে যাবার কথা ভাবছিলেন। ফোন ধরার পর এষা যখন জিজ্ঞেস করে কে ফোন করেছে তখন তিনি ভুল করে বলে ফেলেন ‘কেন চিনতে পারছ না?’ এর জবাবে এষা হাসান সাহেবের কন্ঠ
চিনে ফেললে তিনি তা অস্বীকার করেন আর তাঁর মিথ্যা কে আরো জোড়ালো করার জন্য তিনি ইচ্ছে করে এষাকে অশ্লীল একটা প্রশ্ন করেন বসেন, যেন এষা এটা কে একটা ব্ল্যাংক কল হিসেবে মনে করে। এষার অবচেতন মন সব সময়…………………
এষাকে ছাঁদে দেখে হাসান সাহেব প্রচন্ডভাবে এষার সাথে কথা বলতে ইচ্ছাপোষন করেন।তখন ছিল
গভীর রাত। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে মানুষের আবেগ অনেক সময় প্রবণ হয়ে উঠে এবং তা অনেক কিছু মানতে চায় না। তাই এই পর্যায়ে তিনি এষার সাথে দেখা করে সব কিছু খুলে বলতে চেয়েছিলেন। সেই সময় হঠাত ইলেকট্রিসিটি চলে আসে আর এষা হুইল চেয়ারে বসা হাসান সাহেবের ছাঁয়া ছাঁদের মেঝেতে দেখতে পায়। এষা যে হাসান সাহেবের ছাঁয়া দেখতে পেয়েছে তা তিনি বুঝতে পারেন
এবং সেকারনে দ্রুত তিনি জানালা থেকে সরে যান।
এখন প্রশ্ন
থাকতে পারে হাসান সাহেব ত এষার সাথে দেখা করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাহলে তিনি কেন দ্রুত সরে গেলেন? হতে পারে ইলেকট্রিসিটি চলে আসার পর তিনি এষাকে ছাঁদে আলোয় স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলেন আর তখন তিনি মত পাল্টান।চারদিকের আলো তাঁর আবেগ কে দমন করতে সাহায্য করে।
অথবা এমনো হতে পারে এষাকে শোবার পোষাকে দেখে ফেলায় এষা লজ্জিত হতে পারে বলে তিনি পাশের বাড়িতে থাকবার বিষয়টি গোপন করতে চেয়েছিলেন। এষাকে ফোন করা থেকে শুরু করে এষার জ্ঞান হারানো পর্যন্ত যা কিছু হয়েছিল তার সব কিছুর মূলে রয়েছে হাসান সাহেবের অনিয়ন্ত্রিত আবেগ। আর সেই আবেগ হাসান সাহেবকে অনেক যুক্তিহীন সিদ্ধান্ত নিতে কিংবা দ্রূত সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করেছিল। তিনি যখন হুইল চেয়ারে করে জানালা থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছিলেন তখন এষা তাঁর হুইল চেয়ারের ছাঁয়াকে ছাঁয়ামূর্তিটির পাখা ভেবে ভুল করে। আর তখনই এষা নিশ্চিত হয়ে যায় এটা কোন মানুষের ছাঁয়া নয়। হাসান সাহেবের হুইল চেয়ারে করে দ্রুত সরে যাবার ঘটনা কে এষা ছাঁয়ামূর্তির হামাগুড়ি দিয়ে দূরে সরে যাওয়া মনে করে…………
ফরেনসিক বিভাগের সেই ডাক্তারের সাথে এষার কিছুটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আর পরবর্তীতে তা এগুতে পারেনি ডাক্তারের স্ক্যান্ডালের কারনে ( সম্ভবত স্ক্যান্ডালটি নারীঘটিত কোন ব্যাপার ছিল )। তাই সেই সব মিলিয়ে এষা প্রায় সেই ডাক্তার কে নিয়ে এধরনের স্বপ্ন দেখত। সেদিন হাসান সাহেবের ফোনের রিং এ এষার কাঁচা ঘুম ভেংগে যায় আর ফোন ধরে সে হাসান সাহেবের কন্ঠ শুনতে পায়। হাসান সাহেবের পরিচিত কন্ঠ ও সেই স্বপ্ন এষার অবচেতন মনকে হাসান সাহেবের ছাঁয়ামূর্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে সাহায্য করে আর এষা তখন ভয়ে জ্ঞান হারায়। আমার এই ব্যাখ্যা শুধুমাত্র এষার সাথে কথোপকথোনের
মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে। ব্যাখ্যা তখনই গ্রহনযোগ্য হবে যদি হাসান সাহেব মারা না যান। তা জানা সম্ভব নয় কারন হাসান সাহেবের একমাত্র বন্ধু যাকে এষা চিনত তিনি কিছুদিন আগে মারা যান। এছাড়াও মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রি অফিস থেকে হাসান সাহেবের গ্রামের ঠিকানা সংগ্রহ করতে চাইলে খুবই অদ্ভুতভাবে হাসান সাহেবের ঠিকানার পাতাটি ছেঁড়া পাওয়া যায়। তবে এষার বর্ণিত ছাঁয়ামূর্তির সাথে প্রাচীন গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীর পাখাওয়ালা শয়তানের মিল পাওয়া যায়। কাহিনীর
বর্ণনা অনুযায়ী শয়তান অমাবশ্যার রাতে প্রজননের জন্য মৃত আত্মার উপর ভর করে কুমারী মায়েদের
সাথে মিলনের মাধ্যমে নতুন শয়তানের জন্ম দেয়। আর তার জন্য অবশ্যই পরিচিত মানুষের বেশ ধরা প্রয়োজন। হতে পারে এষার গর্ভে তখন ওই ডাক্তারের সন্তান ছিল যা সে সবসময় গোপন করে চলেছে এবং তাই সে লেখাতেও স্বপ্নের কারন উল্লেখ করেনি। হয়ত আমার কাছে সেই পৌরাণিক কাহিনীর শয়তানের কথা শুনে এষা নিজেই রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করে হাসান সাহেবের ঠিকানার পাতাটি ছিঁড়ে ফেলে, কেননা হাসান সাহেবের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটিত হলে হয়ত নতুন কোন অজানা তথ্য
বেরিয়ে আসবে যা এষা কাউকে জানতে দিতে চায় না।

(সংগ্রহীত গল্প)

জিমেইলে পাঠানো মেইল ফিরিয়ে আনা

জিমেইলে ই-মেইল পাঠানোর পর যদি মনে হয় কোনো ভুল হয়েছে তবে তাৎক্ষণিকভাবে মেইল ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। এজন্য জিমেইলে লগইন করে Settings থেকে Labs ট্যাবে যেতে হবে। সেখানে Undo Send এর অপশন Enable বাটন নির্বাচন করে সেভ করতে হবে।

এবার ট্যাবে এসে Undo Send এ ৫ সেকেন্ড নির্বাচন করা না থাকলে ৫ সেকেন্ড নির্বাচন করে দিতে হবে।
এরপর থেকে মেইল সেন্ড করার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে Undo তে ক্লিক করলে মেইল কম্পোজে ফিরে আসবে।

যে দশটি জিনিস আপনি ফেসবুকে কখনই করবেন না


১. বিব্রতকর ছবিতে কখনই কোনও বন্ধুকে ট্যাগ করবেন না
বিব্রতকর অবস্থায় আমরা জীবনে কে না পড়ি? সবাইকেই কম বেশি পড়তে হয়। একটা সময় ছিল, যখন আপনা বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেও তেমন কোন মানুষ জানতে পারতো না। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। কোনও একটা পার্টিতে গিয়েছেন। হয়তো আপনার একজন বন্ধু কখনই ড্রিংক করেন না; কিন্তু সেদিন কিভাবে যেন একটা গ্লাস হাতে তুলে নিলেন। আর যায় কোথায়! আপনি ছবি তুললন। তারপর আপলোড করে দিলেন ফেসবুকে। তারপর বন্ধুটিকে করলেন ট্যাগ। ব্যস। সেটা তখন দেখতে পেলো তার পরিবার, অফিসের বস এবং আরো অনেকেই। কোনও বন্ধুকে এভাবে বিব্রত করবেন না। এমন করতে থাকলে, ধীরে ধীরে আপনি একা হয়ে যাবেন। এবং এক পর্যায়ে আপনাকেও এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে।
২. মানুষকে মাত্রারিক্ত গেম/কুইজ/গ্রুপ রিকোয়েষ্ট পাঠাবেন না
ফেসবুকে অন্যদেরকে আপনার পছন্দের গেম কিংবা কুইজ অথবা কোনও গ্রুপে যোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ পাঠানো খুবই সাধারন একটি বিষয়। তবে, এটা মাত্রারিক্ত করবেন না। কাউকে বারবার এসব অনুরোধ পাঠানো, আর বাস্তবে তার মুখের উপর গিয়ে ঘ্যানর ঘ্যানর করার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এটা খুবই বিরক্তিকর একটি কাজ। নিজেকে সেই বিরক্তকর পরিস্থিতে ফেলা কি ঠিক হবে?
৩. আপনার প্রোফাইলের ছবিটি আপনার নতুন জন্মনেয়া শিশুর ছবি দিয়ে রিপ্লেস করবেন না
আমরা প্রায়শই নিজের সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর ছবি দিয়ে দেই নিজেদের প্রোফাইল ছবিতে। কিছু কিছু মা-বাবা আছেন যারা হয়তো গোটা পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষকে জানাতে চান, তারা একটি বাচ্চা জন্ম দিয়ে কতই না বুদ্ধিমানের মতো কাজ করেছেন।
মার্ক জুকারবার্গ এই ফেসবুক তৈরী করার আগে এই ধরনের মা-বাবাদের হাতে দুটো অপশন খোলা ছিল – ক). হাজারো মানুষের ইমেল ইনবক্স তারা ছবি পাঠিয়ে ভরে রাখতো; নয়তো খ). বিভিন্ন মানুষকে টেলিফোন করে বুঝানোর চেষ্টা করতো তাদের নবজাতকটি কেন আইনষ্টাইনের মতোই এই গ্রহের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এখন তাদের জীবনে যোগ হয়েছে তৃতীয় মাধ্যম – ফেসবুক। আপনি আপনার প্রোফাইল পিকচারটিতে আপনার নবজাতকের ছবি বসিয়ে দিয়ে সবাইকে এটাই জানিয়ে দিলেন যে, আপনি একজন বয়স্ক মানুষ। স্কুল জীবন থেকে আপনার অনেকগুলো বছর পেড়িয়ে গেছে। মানুষ ভাবতে শুরু করে, আপনি বুড়িয়ে গেছেন। আর পাশাপাশি, যাদের বাচ্চা নেই আপনি তাদের ইমোশনকে আঘাত করছেন। তাই, এটা করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. প্রতিনিয়ত দুঃখের স্ট্যাটাস দিবেন না
কিছু কিছু মানুষ আছে, তাদের কাছে প্রতিটা দিনই যেন একটি খারাপ দিন – অন্তত তাদের স্ট্যাটাস পড়লে তাই মনে হবে। সেসকল স্ট্যাটাসের অনেকগুলোই হয়তো খুব মন খারাপ কিংবা হতাশা থেকে লেখা হয়েছে। কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকুন যে, আপনার এই স্ট্যাটাস কেউ না কেউ আবার ব্রডকাস্ট করছে। এবং সেই হতাশা অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিচ্ছে।
আপনি যদি এমন হতাশার মূলটা হোন, তাহলে সেটা করা থেকে বিরত থাকুন। এক্ষেত্রে নীচের সূত্রটি মনে রাখবেন – যদি আপনার প্রিয় কোনও মানুষ মারা যায়, কিংবা আপনার চাকুরীটি চলে যায়, তখন আপনি অবশ্যই বন্ধুদের কাছে সমবেদনা চাইবেন। কিন্তু আপনি আপনার একটি নখ ভেঙ্গ ফেললেন, কিংবা বাস মিস করলেন, কিংবা পায়ে হালকা ব্যাথা পেলেন – এই কষ্টগুলো নিজের ভেতর বহন করতে শিখুন। এই সব কষ্ট সবার সাথে শেয়ার করবেন না।
৫. অফিসের বসকে কিংবা সহকর্মী/বন্ধুদেরকে হেয় করে কোনও মন্তব্য বা স্ট্যাটাস দিবেন না
অফিসের বসকে হেয় করে কথা বলা সব সময়ই খুব ঝুকিপূর্ণ। ফেসবুকে আমরা অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ইমোশনাল হয়ে মন্তব্য বা স্ট্যাটাস লিখে ফেলি। কিন্তু সেই মন্তব্য বা স্ট্যাটাসের কারণে আপনাকে সেই অফিস থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে বাসায় চলে আসা লাগতে পারে; এবং সেটা অন্যান্য সহকর্মীদের সামনে দিয়েই।
আপনার যখন একটি কাজে ব্যস্ত থাকার কথা, তখন আপনি সেই কাজটিকে সমালোচনা করে মন্তব্য বা স্ট্যাটাস দেয়াটা খুবই খারাপ একটি বিষয়। ধরুন, আপনার একটি রিপোর্ট তৈরী করার কথা যা আপনার মন মতো নয়; এবং আপনি স্ট্যাটাস দিলেন, “ধ্যুৎ, রিপোর্ট লেখা একটা শয়তানের কাজ!” – ব্যাস। আপনার বসের চোখে সেটা পড়বেই। আর তখুনি যদি সেটা চোখে না পড়ে, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, দু-তিন দিনের ভেতরই কেউ না কেউ তাকে সেটা জানিয়ে দিবেনই। তখন আপনার ওখানে কাজ করাটাই অসম্ভব হয়ে উঠবে।
৬. আপনার ছেলেমেয়ে, ভাগ্না/ভাগ্নি, ভাতিজা/ভাতিজী ইত্যাদি কাউকে ফ্রেন্ড অনুরোধ পাঠাবেন না
খুবই অবাক হচ্ছেন, তাই না? একটু ভেবে দেখুন – ফেসবুক কিভাবে শুরু হয়েছিল? ফেসবুক শুরু হয়েছিল হার্ভার্ডের ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের ভেতর ছবি শেয়ার করার জন্য। তারপর সেটা ছড়িয়ে গেলো আমেরিকার অন্যান্য কলেজে, তারপর পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, স্কুলে এবং যাদের বয়স ১৩-এর উপরে তাদের সবার ভেতর। তার অনেক পরে এসে আপনার মামা, চাচা কিংবা মা এটা বুঝতে পেরেছে এবং যুক্ত হয়েছে।
যখন কিশোরদের কোনও বিষয় মা/বাবারা পছন্দ করতে শুরু করেন, সাধারনত ধরে নিতে হয় যে, ওই ট্রেন্ডটার ওখানেই মৃত্যু হলো। তবে ফেসবুক এখনো সেই অবস্থায় পৌছুয়নি। এখনও এটি বুড়ো এবং যুবা – সবাই পছন্দ করছে। এবং কিছু কিছু অতি সচেতন মা/বাবা তাদের সন্তানরা ফেসবুকে কী করছে সেটা দেখার জন্য তাদেরকে বন্ধু হিসেবে যোগ করেন। আর বিপদটা সেখানেই। আপনি নিজে কি চাইবেন আপনার বন্ধুদের সাথে যাবতীয় আলাপ আপনার মা/বাবা শুনে ফেলুক? কিংবা আপনি বন্ধুদের নিয়ে কোথাও একটু বৈচিত্র করতে গিয়েছেন, সেই ছবি আপনার মা/বাবা দেখুক? যদি সেটা না চান, তাহলে ধরে নিন, আপনার ছেলেমেয়েরা কিংবা ভাগ্নে/ভাগ্নিরাও সেটা চায় না।
৭. পুরনো প্রেমিক/প্রেমিকার পিছু নেবেন না
সম্পর্ক গড়ে, সম্পর্ক ভাঙ্গে – এটাই মানুষের ধর্ম। কোনও সম্পর্কই সারাটা জীবন এক রকম থাকে না – সেটা কখনও আপনার দিক থেকে, কখনও অপর দিক থেকে। যে কোনও কারণেই হোক, আপনার হয়তো সম্পর্কটি আর টিকলো না – অনেক কষ্টে আপনি নিজেকে এমন একটা জায়গায় আনলেন যেন, আপনি আবার নতুন করে ভালোবাসার জন্য প্রস্তুত।
আপনি নতুন সম্পর্কে জড়ালেন। তার সাথে নতুন স্মৃতি তৈরী হচ্ছে। পুরনো সব কিছু ফেসবুকের পাতা থেকে মুছে ফেলেছেন। এমনকি, পুরনো প্রেমিক/প্রেমিকাকে “আনফ্রেন্ড”-ও করে ফেলেছেন। নতুন সম্পর্ক নিয়ে আপনি ডুবে আছেন।
কিন্তু হঠাৎ কী মনে হলো, আপনি দেখতে চাইলেন আপনার পুরনো মানুষটি কেমন আছে! আর তখুনি ঘটবে যত বিপত্তি। কখনও সিনেমা দেখতে গিয়ে, কিংবা শপিং মলে গিয়ে পুরনো মানুষের সাথে হুট করে দেখা হয়ে গেলে আপনি যেমন কিছুটা সময়ের জন্যও পুরনো সময়ে হারিয়ে যাবেন, ফেসবুকেও তাই। এবং সেটা আরো বেশি মাত্রায়, কারণ ফেসবুকে খুব সহজেই আপনি আপনার পুরনো মানুষকে খুঁজে পাবেন, সে কোথায় গেলো, কার সাথে মিশছে, কোথায় ডিনার করতে যাচ্ছে, কার সাথে লং ড্রাইভে যাচ্ছে – ইত্যাদি সব কিছুই আপনাকে তাড়া করে বেড়াবে। ভুলেও ফেসবুকে পুরনো সম্পর্কের পিছু নেবেন না। আপনার জীবন পুড়ে ছাড়খার হবে।
৮. বুঝতে অসুবিধা হয় এমন স্ট্যাটাস লিখবেন না
আমরা প্রায়শই দেখি, মানুস স্ট্যাটাস লিখেছ হরেক রকমের সিম্বল দিয়ে, হাসির চিহ্ন, এক্স, এক্স ইত্যাদি – যা বুঝতে সেটা পড়তে হয় কয়েক বার। এমন দুর্বোধ্য স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেকে সবার সামনে ছোট না করে, পরিস্কার ভাষায় স্ট্যাটাস দিন।
৯. হুট করেই রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস “সিঙ্গেল” করার মাধ্যমে কাউকে ডাম্প করবেন না
সম্পর্ক ভাঙ্গতেই পারে। তবে একটি সাধারন সম্পর্ক ভেঙ্গে দুটো মানুষের ভেতর যে পরিমান কথা এবং ইমোশন যুক্ত থাকে, হুট করে ফেসবুকে “সিঙ্গেল” লিখে দিলেই সেটা শেষ হয়ে যায় না। এটা খুবই ছোটমানুষী। নিজেকে সবার সামনে ছোটমানুষ হিসেব তুলে ধরার প্রয়োজন নেই।
সম্পর্ক ভাঙ্গার ঘোষনা দেয়ার জায়গা ফেসবুক যেন না হয়। একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে কিছুটা সময় নিয়ে, ধীরে সুস্থ্যে আপনার স্ট্যাটাস আপডেট করুন। কিন্তু ফেসবুকে এসে সম্পর্ক ভাংবেন না।
১০. একদম অপরিচিত কাউকে বন্ধু বানাবেন না
আপনি নিশ্চই একটি খাবারের দোকানে গিয়ে কাউকে দেখে তাকে জিজ্ঞেস করবেন না, আমি কি তোমার বন্ধু হতে পারি? আপনার কাউকে ভালো লাগলে হয়তো, তার সাথে সৌজন্য কা বলবেন, তাকে চেনার চেষ্টা করবেন, তারপর হয়তো কখনও সেটা বন্ধুত্বে রূপ নিতে পারে। কিন্তু এই কাজটি আমরা হরহামেশাই ফেসবুকে করে থাকি। একদম অজনা মানুষকে আমরা বন্ধু হিসেবে যোগ করে ফেলি।
ফেসবুকে এমন লক্ষ লক্ষ মানুষ আছেন যারা অপরিচিত মানুষকে বন্ধু রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে থাকেন। এবং তারা মনে করেন, এটা ঠিক একটি কাজ। তাদের ধারনা ভুল। এটা মোটেও ঠিক কোন কাজ নয়। কোনও অপরিচিত কারো সাথে যদি বন্ধুত্ব করতে হয়, তাহলে তাকে রিকোয়েষ্ট পাঠানোর সাথে কারনটিও ব্যাখ্যা করুন।
আশা করছি আপনারা এগুলো মেনে চলবেন; এবং নিজেকে সুন্দরভাবে কোটি কোটি মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।

বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট

সালাম সবাইকে আসা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি এলেক্সা র‍্যাঙ্কিং এর উপরে ভিক্তি করে ৩০টি বাংলা সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। পরিচয় করিয়ে দিবো বললে ভুল হবে। এই 20টি বাংলা ওয়েব সাইট বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয়, সব থেকে এগিয়ে আছে, সকলের পছন্দের ওয়েব সাইট। এলেক্সা পৃথিবীর সকল ওয়েব সাইটের র‍্যাঙ্কিং নিয়ে কাজ করে থাকে। জনপ্রিয় সাইট মানেই এই ওয়েব সাইট গুলোতে ভিসিটর এর উপচে পরা ভীর জমে থাকে। ভিসিটর যত বেশি এলক্সা র‍্যাঙ্কিং এর সেই সাইট তত বেশি জনপ্রিয়। চলুন দেখি তাহলে বাংলাদেশের সর্বসেরা ২০টি ওয়েব সাইট। এখানে বাংলাদেশের সকল প্রকার বাংলা ওয়েব সাইট গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এখন প্রতিদিন বাংলাতে অনেক অনেক সাইট তৈরি হচ্ছে। সেই সকল হাজার হাজার সাইটের মাঝে এখানের ২০টি সাইট সব থেকে এগিয়ে আছে পুরো বাংলাদেশের মাঝে।
১।

prothom-alo.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১ নং এ। দৈনিক পত্রিকার এর ওয়েব সাইট এর ওয়ার্ড র‍্যাঙ্ক হল  globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 2,728
২।

somewhereinblog.net

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ২ নং এ। আর বাংলা ব্লগ এর মাঝে এটি বাংলাদেশের ১নং বাংলা ব্লগ। অসাধারণ একটি বাংলা ব্লগ। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ব্লগিং করতে আসে। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 3,865
৩।

bdjobs.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ৩ নং এ। চাকরি খুঁজে পাবার এক অসাধারণ ওয়েব সাইট এটি। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 6,188
৪।

dsebd.org

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ৩ নং এ। Dhaka Stock Exchange (DSE) – এর উপরে ভিক্তি করে এই সাইটের শুরু। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 4,697
৫।

techtunes.com.bd

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ৫ নং এ। আর বাংলা ব্লগ এর মাঝে এটি আছে ২নং বাংলা ব্লগ। প্রযুক্তি নিয়ে এক অসাধারণ বাংলা ব্লগ এটি। এখানে প্রতিদিন ৫-৬ হাজার ভিসিটর আসে। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 5,824 বাংলাদেশের সর্ব প্রথম টেকনোলজি ব্লগ এটি। [আমার জানা মতে] এই সাইট টি গত ৫ বছর যাবত বাংলাদেশের রাজত্য করছে নিজেদের য্যগতা দিয়ে। আমরা আশাবাদী এভাবেই টেকটিউন্স আমাদের সাথে থাকবে ও আমাদের কে আরো সুযোগ করে দিবে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে।
৬।

bdnews24.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ৬ নং এ। দেশের সমস্ত প্রকার কহবরা খবর পাবেন এখানে।  এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 4,730
৭।

cellbazaar.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ৭ নং এ আছে। ক্রয় বিক্রয় করার এক অসাধারণ নাম সেল বাজার। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 13,033
৮।

clickbd.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ৮ নং এ আছে। ক্রয় বিক্রয় অ বিজ্ঞাপন এর এক অসাধারণ নাম ক্লিক বিডি। ই কমার্সের এক চমৎকার উদাহরণ এই সাইট টি। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 11,498
৯।

banglalionwimax.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ৯ নং এ আছে। দেশের অ্যাই ম্যাক্স এর সমাধান দিচ্ছে এই কোম্পানি। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 18,672
১০।

educationboardresults.gov.bd

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১০ নং এ আছে। এটি বাংলাদেশ সরকারি একটি সাইট। এই সাইটে আমাদের দেশের সকল প্রকার শিক্ষা ব্যাবস্থার খজ খুবর নেয়া যায়। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 44,248
১১।

amaderforum.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১১ নং এ আছে। আর বাংলাদেশের বাংলা ফোরামের মাঝে এটি ১নং ফোরাম। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 2,380
১২।

banglanews24.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১২ নং এ আছে। বাংলা সর্বশেষ সংবাদ গুলো এখানে পেতে পারেন আপনারা। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 15,571
১৩।

qubee.com.bd

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১৩ নং এ আছে। দেশের ওঁই ফাই ইন্টারনেট এর সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে এই কোম্পানি। বিস্তারিত জানতে সাইট ভিসিট করুন। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 18,551
১৪।

bigganprojukti.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১৪ নং এ আছে। আর বাংলা ব্লগ এর মাঝে এটি ৩নং ব্লগ। টেকনোলজি নিয়ে এক অসাধারণ বাংলা ব্লগ এটি। গত ৪ বছর যাবত এই ব্লগ টি সকলের সেবায় নিয়জিত আছে। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 29,074
১৫।

projanmo.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১৪ নং এ। এটি একটি ফোরাম। অনেক বছর যাবত এই সাইট টি সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।  এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 31,415
১৬।

amardeshonline.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১৬ নং এ। এটি আমার দেশ দৈনিক পত্রিকার একটি অনলাইন ভার্শন। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 18,987
১৭।

prothom-alojobs.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১৭ নং এ। প্রথম আলো পত্রিকার আরেকটি উদ্দগ এটি। চাকরি পাবার যে কনো খজ খবর পাবেন এখানে। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 31,864
১৮।

amarnatok.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১৮ নং এ। যে কনো ধরনের বাংলা নাটক আপনারা এখানে পাবেন। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 25,998
১৯।

prothom-aloblog.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ১৯ নং এ। আর বাংলা ব্লগ এর মাঝে এটি ৪নং বাংলা ব্লগ। এক অসাধারণ বাংলা ব্লগ এর নাম এটি। অনেক বছর যাবত এই সুস্থ ধারার ব্লগ টি চলছে। চমৎকার পরিবেশ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।  এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 33,648
২০।

tunerpage.com

বাংলাদেশের বাংলা ওয়েব সাইটে এর মাঝে এটি আছে ২০ নং এ। বাংলা ব্লগ এর মাঝে এটি বাংলাদেশের ৫নং ব্লগ। অবিশ্বাস হলেও সত্যি এই ব্লগ এর জন্ম মাত্র ৫মাস আগে। এই ৫মাসে এই ব্লগটি তাদের অসাধারণ প্রতিভা দেখিয়ে এখন অনেক সামনে চলে এসেছে। মজার ব্যপার হল এই ব্লগটির এতটাই নতুন যে এখনো অনেকেই নাম ই জানে না।তবুও এখানে প্রতিদিন ৫-৬ হাজার ভিসিটর আসেন। প্রযুক্তি বিষয়ক এই ব্লগে যে কেউ লিখা লিখি করতে পারে। টেকনোলজি নিয়ে এক অসাধারণ বাংলা ব্লগ। এটির ওয়ার্ড র‍্যাকিং globe sm বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সর্বসেরা ২০টি বাংলা ওয়েব সাইট 55,192
——————————————————————————————————————————–
এখানের র‍্যাকিং গুলো প্রতিদিন পরিবর্তন হয়ে থাকে। এবং আমার ভুল অ হতে পারে। হয়ত কনো সাইট বাদ পরে গেছে। নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন আসা করছি। আমি নিজেও একজন নতুন মানুষ। প্লিজ কেউ কিছু মনে করবেন না ভুল হয়ে থাকলে। আমি ক্ষমা চেয়ে নিলাম।  বাংলা ভাষায় আরো অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক নতুন নতুন ওয়েব সাইট শুরু হক সেই শুভ কামনায় বিদায়। সালাম সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন।

ওয়েব পেইজে সিম্পল ফোল্ডেবল সেকশন যোগ করা (জাভাস্ক্রিপ্ট)

আপনি আপনার ওয়েবপেইজে আপনি কিছু সেকশন যোগ করতে চাচ্ছেন যেগুলো মাউস-ক্লিক করে ভাঁজ করে রাখা যাবে বা প্রয়োজনমত খুলে রাখা যাবে। এরকম কিছুই আজকে দেখাবো আমার এই টিউটোরিয়ালে। আপনাদের বোঝার স্বার্থে আউটপুটের কিছু স্ক্রীণশট দিচ্ছি:

সব সেকশন কলাপস্‌ড:
ছবি

প্রথম সেকশনটি এক্সপান্ডেড:
ছবি

প্রথম ও দ্বিতীয় সেকশনগুলো এক্সপান্ডেড:
ছবি

তৃতীয় সেকশনটি এক্সপান্ডেড:
ছবি

আসুন শুরু করি। একটি নতুন এইচটিএমএল ফাইল নেই:

<html>
<head>

</head>

<body>

</body>
</html>


head ট্যাগের মাঝখানে আমাদের সেকশনগুলোর collapsed ও expanded অবস্থার জন্য স্টাইল ডিফাইন করি:

<html>
<head>
<style type = "text/css">
.title_at_collapsed
{
color: #0000FF;
font-weight: bold;
background-color: #999944;
cursor: pointer;
}


.title_at_expanded
{
color: #000000;
font-weight: bold;
background-color: #999944;
cursor: pointer;
}
</style>


</head>

<body>

</body>
</html>

এখানে আমরা collapsed ও expanded উভয় অবস্থাতেই টাইটেলের ফন্ট বোল্ড, ব্যাকগ্রাউন্ড জলপাই রংয়ের এবং কার্সর পয়েন্টার আকারে রাখছি। কার্সর পয়েন্টার আকারে (cursor: pointer;) রাখার কারণে ইউজার ওখানে মাউস নিলে সহজেই বুঝতে পারবে যে এখানে ঘটনা আছে, মানে এটা ক্লিকেবল। দুই অবস্থার জন্য শুধুমাত্র ফন্ট কালারটাই ভিন্ন ভিন্ন রাখছি আমরা (যথাক্রমে নীল ও কালো)।

উপরোক্ত স্টাইল ডেফিনিশন ফোল্ডিং ফাংশনালিটির জন্য অপরিহার্য নয়। আপনারা চাইলে অন্য স্টাইল ব্যবহার করতে পারেন, কিংবা আদৌ না ব্যবহার করলেও পারেন।

যাকগে, আসুন এবারে প্রয়োজনীয় জাভাস্ক্রীপ্টটি লিখি:

<html>
<head>
<style type = "text/css">
.title_at_collapsed
{
color: #0000FF;
font-weight: bold;
background-color: #999944;
cursor: pointer;
}

.title_at_expanded
{
color: #000000;
font-weight: bold;
background-color: #999944;
cursor: pointer;
}
</style>

<script type = "text/javascript">
function expand_collapse(parentDiv)
{
var content01_content = "Here are the todos......Here are the todos";
var content02_content = "<iframe src = 'http://forum.projanmo.com' width = '1000px' height = '700px'></iframe>";
var content03_content = "<iframe src = 'http://bdnews24.com/bangla/' width = '1000px' height = '700px'></iframe>";


var parent_div = document.getElementById(parentDiv);
var title_div = parent_div.childNodes[0];
var content_div = parent_div.childNodes[1];


if (content_div.style.display == "none")
{
title_div.className = "title_at_expanded";
content_div.style.display = "block";
if (content_div.innerHTML == "")
{
content_div.innerHTML = eval(content_div.id + "_content");
}
}
else
{
title_div.className = "title_at_collapsed";
content_div.style.display = "none";


}
}
</script>


</head>

<body>

</body>
</html>


এখানে আমরা "expand_collapse(parentDiv)" ফাংশনটিতে প্যারামিটার হিসেবে "parentDiv" নিয়েছি যা আমরা পরবর্তীতে নির্দিষ্ট <div>টিতে ক্লিক করে প্যারামিটার হিসেবে ফাংশনটির কাছে পাস করাব।

ফাংশনের প্রথম ৩ লাইনে ভেরিয়েবলে আমরা আমাদের তিনটি সেকশনের জন্য কনটেন্ট মজুদ করলাম।

পরবর্তী লাইনে "var parent_div = document.getElementById(parentDiv);" এর মাধ্যমে আমরা ক্লিক করা টাইটেলটির প্যারেন্ট ডিভটিকে খুঁজে এনে "parent_div" ভেরিয়েবলটিতে স্টোর করলাম। এখানে প্যারামিটার "parentDiv" হিসেবে আমরা "this.parentNode.id" ব্যবহার করবো প্যারামিটার পাস করার সময় যা আপনার পরবর্তীতে দেখবেন।

পরের লাইনে আমরা "title_div" নামক ভেরিয়েবলে টাইটেল <div> টিকে তুলে আনলাম। পরবর্তীতে <body> সেকশনের কোডটি দেখলে বুঝতে পারবেন এখানে টাইটেল হলো প্যারেন্ট কন্টেইনারটির প্রথম চাইল্ড (childNodes[0]) এবং মূল কনটেন্ট হবে দ্বিতীয় চাইল্ড (childNodes[1])।

পরবর্তীতে if .. else ব্লকে মূল কাজ করবে content_div.style.display = "block";content_div.style.display = "none"; এই দুটি লাইন। তবে আগে-পরের লাইনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেগুলোর ব্যাখ্যা প্রয়োজনে (কেউ যদি জানতে চান) পরে দেয়া যাবে।

এবারে আসুন <body> জন্য কোডিং যোগ করি।

<html>

<head>
<style type = "text/css">
.title_at_collapsed
{
color: #0000FF;
font-weight: bold;
background-color: #999944;
cursor: pointer;
}

.title_at_expanded
{
color: #000000;
font-weight: bold;
background-color: #999944;
cursor: pointer;
}
</style>

<script type = "text/javascript">
function expand_collapse(parentDiv)
{
var content01_content = "Here are the todos......Here are the todos";
var content02_content = "<iframe src = 'http://forum.projanmo.com' width = '1000px' height = '700px'></iframe>";
var content03_content = "<iframe src = 'http://bdnews24.com/bangla/' width = '1000px' height = '700px'></iframe>";

var parent_div = document.getElementById(parentDiv);
var title_div = parent_div.childNodes[0];
var content_div = parent_div.childNodes[1];

if (content_div.style.display == "none")
{
title_div.className = "title_at_expanded";
content_div.style.display = "block";
if (content_div.innerHTML == "")
{
content_div.innerHTML = eval(content_div.id + "_content");
}
}
else
{
title_div.className = "title_at_collapsed";
content_div.style.display = "none";

}
}
</script>
</head>

<body>

<div id = "div01" style = "border: 1px solid #000000"><div id = "title01" class = "title_at_collapsed" onclick = "expand_collapse(this.parentNode.id)">To Do</div><div id = "content01" style = "display: none"></div></div>

<div id = "div02" style = "border: 1px solid #000000"><div id = "title02" class = "title_at_collapsed" onclick = "expand_collapse(this.parentNode.id)">Projanmo Forum</div><div id = "content02" style = "display: none"></div></div>

<div id = "div03" style = "border: 1px solid #000000"><div id = "title03" class = "title_at_collapsed" onclick = "expand_collapse(this.parentNode.id)">BD News 24</div><div id = "content03" style = "display: none"></div></div>

</body>
</html>


এখানে divXX এক একটি সেকশনের প্যারেন্ট বা মূল কন্টেইনার যা টাইটেল ও কনটেন্টকে ধারণ করবে। এরপরে আছে টাইটেল <div> যাতে ক্লিক করলে ফাংশনটিতে প্যারেন্ট ডিভটির আইডি ("this.parentNode.id" এর মাধ্যমে) পাস হবে ও ফাংশনটি এক্সিকিউটেড হবে।

এখানে আমি কিছু প্রয়োজনীয় ইনলাইন স্টাইলও ডিফাইন করেছি। যেমন: বাই-ডিফল্ট, মানে পেইজটি লোড হওয়ার সময় কনটেন্ট না দেখানোর জন্য, অর্থাৎ সেকশনটিকে ঐ সময়ে কলাপস্‌ড রাখার জন্য style = "display: none" ব্যবহার করেছি।

আউটপুটের এনিমেটেড স্ক্রীণশট:

ছবি

ব্লগার টিউটোরিয়াল - নতুন ব্লগ তৈরী করুন (blogspot blog)

আজকে আমি এখানে শুধু দিবো কিভাবে ব্লগার এ একটা ফ্রি ব্লগ খুলবেন । আর ডিজাইন নিয়ে সামান্য কিছু টিউট দিবো। স্ক্রিনশট সহ দিলাম। তারপরও যদি কোন প্রশ্ন থাকে ব্লগ নিয়ে এখানে করতে পারেন।
মনে রাখবেন এ ব্লগারে ফ্রি ব্লগ খুলতে হলে আপনার একটা Gmail আইডি অবশ্যই থাকতে হবে।
ব্লগারে যেতে হলে এখানে ক্লিক করুন

তারপর
ছবি
ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ছবিতে ক্লিক করুন

G-MAIL আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে SIGN IN করুন।
তারপর CREATE A BLOG এ ক্লিক করুন ।


ছবি

Blog tittle এ আপনার ব্লগের জন্য একটা শিরোনাম দিন । বাংলায় অথবা ইংরেজীতে । শিরোনাম পরিবর্তনযোগ্য । যে কোন সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই আপাতত একটা নাম দিয়ে দিন।
Blog address ( url ) এ আপনার ব্লগের জন্য একটা ডোমেইন নাম দিন। চেক করুন এটা উপলভ্য আছে কিনা ।
তারপর ক্যাপচা পূরণ করে Continue এ ক্লিক করুন ।


ছবি

Choose a starter template
আপাতত এখান থেকে একটা টেমপ্লেট সিলেক্ট করুন । পরে সেটা পরিবর্তন করে নিবেন ।
Continue এ ক্লিক করুন।


ছবি

আপনার ব্লগ তৈরী হয়ে গেলে এই ব্ক্স টা আসবে । এখন Customize how your blog looks এ ক্লিক করুন ।


ছবি

Templates এ ক্লিক করে পছন্দের একটা templates বাছাই করুন ।


ছবি

এখন Background এ ক্লিক করুন ।
Background image এ ক্লিক করে পছন্দের একটা Background নিন ।


ছবি

Layout এ তিনটা অপশন আছে ।
Body layout
Footer layout
Adjust width
প্রত্যেকটা অপশন ভালো করে দেখে আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিন।


ছবি

এবার Advanced অপশন এ ক্লিক করুন।
২ >> Page text এ অনেকগুলো অপশন আছে । এখানকার সবগুলো অপশন পরিবর্তন করা যাবে। আপনি আপনার ফছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিন।
৩ >> Font এখানে সিলেক্ট করুন পছন্দের একটা ফন্ট।
৪ >> Font size ঠিক করে নিন ।
Text color ও পরিবর্তন করতে পারেন।


ছবি
ছবি বড় করে দেখতে চাইলে ছবিতে ক্লিক করুন

১ >>> আপনি যা কিছুই পরিবর্তন করছেন তার preview এখানে দেখা যাবে। সেজন্য পরিবর্তনটা ব্লগে apply করার আগে এখানে একবার দেখে নিন।

২ >>> Expand preview এ ক্লিক করে পুরোটা ভালো করে দেখে নিন । ঠিক আছে কি না ।

৩ >>> সবকিছূ ঠিকঠাক থাকলে এবার Apply to blog এ ক্লিক করুন । ব্যস আপনার ব্লগের ডিজাইন হয়ে গেলো।


পরবর্তীতে ব্লগের আরও কয়েকটা বিষয় নিয়ে টিউট দিবো । আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।কোথাও কোন ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন।

ভ্যালেন্টাইন দিবস সম্পর্কে কিছু কথা

 [দয়া করে মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণটা পাঠ  পড়বেন]
ভ্যালেন্টাইন দিবসকে সামনে রেখে চারিদিকে যেন উজ্জল লাল ও গোলাপি রং এর মেলা চলছে। কাপড়ের বিপনি বিতান গুলোতে দেখা যায় দামী ও ভারিক্কি লাল কাপড়ের সমারোহ, ফুলের দোকানে লাল গোলাপের দাম তাই চড়া, উপহারের বিভিন্ন দোকানে সুন্দর সুন্দর টেডি বিয়ারগুলির গায়ে গোলাপি কিংবা লাল রংয়ের সুদৃশ্য হার্টের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো। অলংকার ও ঘড়ি গুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে ভালোবাসা নিয়ে কোন লিখনী বা মনরঞ্জক কোন উক্তি দিয়ে। এমনকি মিষ্টির দোকানেও দেখা যাচ্ছে হার্টের আকৃতি সম্বলিত কেক বা চকোলেট এর ব্যাবস্থা করতে, তাতে আবার অনুরোধ বা অর্ডারের ভিত্তিতে চকমকে গোলাপি কাভারে সাজানোর ব্যাবস্থাও আছে।

দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ দিবসটি শুধু পাশ্চাত্যের দেশগুলোতেই নয় বরং প্রায় সবকটি মুসলিম দেশেই পালন করা হচ্ছে!

অভিবাবকদের চোখের আড়ালে তরুনদলের অনেকেই তাদের বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে দিনটিকে উদ্‌যাপন করবে বলে নানা রকম পূর্ব পরিকল্পনায় মত্ত থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার দল বেঁধে একাজ করার পরিকল্পনা আঁটে! আবার কেউ কেউ এ দিনটিতে একটু ভিন্নতা এনে নিজ ভাই বা বোন বা বাবা-মাকেও অভিবাদন জানায় বা শুভ কামনা বিনিময় করে থাকে।

এই দিনটির পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তাদের অনেককে বিশেষ পোশাক কিনতে দেখা যায়। টি-শার্ট, জুতা, অলংকার, নানা রকম আকর্ষনীয় পোশাকের বাহার, উঁচো হাই হিলের সাথে ম্যাচ করে লাল নেইল পলিস আরো কত কি! ওহ, লাল রংয়ের চকচকে হার্টের ছোট্ট একটি প্রতিকৃতি সংগ্রহ করতেও তারা ভুলে না।

সুবহানআল্লাহ্‌, চারিদিকে এসব ব্যাপার অবলোকন করে; মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সময়ের একটি ঘটনা স্মরণ করা যেতে পারে।

একজন যুবক নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলো এবং বল্লো, “ও আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)! আমি আপনাকে আমার নিজের প্রানের, পরিবারের এবং সন্তানদের থেকেও বেশী ভালবাসি। যখন আমি ঘরে থাকি আর মাঝে মাঝে যখন আপনার কথা মনে পড়ে তখন আপনার নিকট এসে আপনাকে না দেখা পর্যন্ত আমার অন্তর শান্তি পায় নাহ। যখন আমি আমার ও আপনার মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে ভাবি তখন আমার এই ধারনা হয় যে, আপনি জান্নাতে থাকবেন নবীদের সাথে আর আমার তাই ভয় হয়, আমি যদি জান্নাতে প্রবেশ করি তাহলে হয়ত আপনাকে দেখতে পাবো নাহ।”

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) প্রতি উত্তর করলেন না, নিরব থাকলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ ঐ যুবককে উদ্দেশ্য করে একটি আয়াত নাজিল করেন।

“আর যে কেউ আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত হয়, তবে তারা ঐ ব্যক্তিদের সংগী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবীগণ, সত্য সাধকগণ, শহীদ্গণ ও সৎকর্মশীলগণ এবং এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী”। সূরা আন-নিসা, আয়াতঃ ৬৯।

সুবহানাল্লাহ, সেই যুবক কতইনা সৌভাগ্যবান যে স্বয়ং আল্লাহ সাত আসমানের উপর থেকে তার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর মাধ্যমে!! সে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছিলো, সে তাঁকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ভালবেসেছিলো আল্লাহ এর সন্তুষ্টি ও করুনা প্রাপ্তির আশায় যাতে করে সে পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারে আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সান্নিধ্য পরকালেও যেন লাভ করতে পারে। তার চিন্তা চেতনার অধিকাংশই পরকালের প্রাপ্তির কথা বিরাজ করছিলো!

কিন্তু আজ আমাদের কি হয়েছে? আমরা অবিশ্বাসীদের রীতি-নীতি আর সংস্কার রপ্ত করার পিছনে মত্ত হয়ে পড়েছি!! মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে ভালবেসে তাঁর সুন্নাহ এর অনুসরন করার কথা আমাদের চিন্তা চেতনা থেকে কি করে লোপ পেয়ে গেলো! আমরা মুসলমানরা আজ আল্লাহ এর আদেশ এর প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছি আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহকে হাত থেকে ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে শেষ নিঃশ্বাস এর সাথে সাথে সব কিছুই ব্যার্থ পর্যবসিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আল্লাহ এর বিভিন্ন সতর্কতা মূলক আভাস সম্পর্কে ও বিভিন্ন রকম নিদর্শন সম্পর্কে পড়ছি, জানছি ও প্রত্যক্ষ করছি, অথচ তা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করছি না, অথবা সেসব আলামত গুলিকে সম্পূর্ণ রূপে উপেক্ষা করছি। কয়েক বছর পূর্বে গাজা উপত্তকায় ইহুদী কর্তীক মুসলমান গণ-হত্যার ঘটনা এবং ইসরায়লের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের উপর অমানবিক অত্যাচার নিপীড়ন, সারা বিশ্বের সকল জীবিত মুসলিমদের জন্য যেন ছিলো একটা চপেটাঘাতের মতন। যেন আল্লাহ আমাদেরকে ধারাবাহিকভাবে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যেন আমরা আমাদের শিকড়ে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সকল সতর্কতার বানীই ভুলে যাই।

দুঃখজনকভাবে, আর ক’দিন পরেই গোলাপী ও লাল টেডি বিয়ারগুলিই হবে আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু, তাদেরই রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির পদাঙ্ক অনুসরন করার মাধ্যমে যারা মানবতা বিরোধী ও বিশ্বের অপর প্রান্তে আমাদের মুসলমান ভাইদের হত্যাকারী। এই দুঃখজনক চিত্র বুঝা বড় দায়, কি করে আমরা এর পরেও তাদেরকে অনুসরনের মাধ্যমে আনন্দ পেতে পারি?

আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে অনুকরন করে (অন্য ধর্মালম্বীদের) সে তাদেরই একজন।”
(আহমাদ, ২/৫০; আবু দাঊদ, নাম্বারঃ ৪০২১) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, “তোমরা অবশ্যই তাদেরকে অনুকরন করবে যারা তোমাদের পূর্বেই এসিছিলো (ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে) এমনকি যদি তারা একটা টিকটিকির গর্তেও প্রবেশ করতো, তাহলেও তোমরা তাদেরকে অনুকরন করতে।” তখন সাহাবারা বল্লেন, “ও রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম), আপনি কি ইহুদী ও খৃষ্টানদের কথা বলছেন?” তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বল্লেন, “তবে আর কার কথা বলছি?” (আল বুখারী)

এটাই কি ঘটছে না আজকের দিনে? আমরা শুধু অন্ধের মত তাদের অনুকরনই করছি না বরং এর জন্য গর্বও করে থাকি। আমাদের ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার সময় এখনই। আমাদের অবশ্যই পূর্ণরূপে, হৃদয় দিয়ে আল্লাহ এর ইচ্ছার কাছে আত্নসমর্পন করতে হবে ও তাঁর আদেশ নিষেধ মান্য করতে হবে। আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহ, সাহাবাদের ও সততার সাধকদের অনুসরন করা আমাদের এখন একান্ত দরকার। কেবল এবং কেবল মাত্র তখনই আমরা সত্যিকার সাফল্য, আনন্দ ও শান্তি লাভ করতে পারবো।
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা হতে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম।”
(সূরা নূর, আয়াত ৫২)

মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন, “একজন ব্যাক্তি দুনিয়ার পরের জীবনে তাদের সাথেই অবস্থান করবে যাদের সে দুনিয়াতে ভালবাসে।” (আল-বুখারী)

আল্লাহ যেন আমাদের হৃদয়ে তাদের জন্য ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন যারা পরকালে হবেন জান্নাতী। 
আমীন

ওয়েব ডেভোলপারদের জন্য অসাধারন ১০টি টুলস – পর্ব-২


আপনাদের স্বাগতম।যারা ওয়েব ডেভোলপমেন্ট এর কাজ করে থাকেন তাদেরকে আজ পরিচয় করিয়ে দিব অসাধারন ১০টি ওয়েব টুলস এর সাথে যা কিনা আপনার ওয়েব ডেভোলপমেন্ট এর কাজের গতিকে দ্বিগুন করে দেবে।


undefined
একজন ওয়েব ডেভোলপার হিসাবে আমি জানি, কি পরিমান যন্ত্রনার সম্মুখীন হতে হয়, যখন কিনা একটি ওয়েব প্রজেক্ট এর কাজ চলতে থাকে। মাথায় রাখতে হয় অনেক বিষয় যেমনঃ প্রজেক্ট এর কাজের ধরন, ডেডলাইন, ক্লায়েন্টের অর্ডার, ডিজাইন ইস্যু, ব্রাউজার কম্পিটিবিলিটি(সব ব্রাউজার যেন ওয়েব সাইটটি দেখতে একই রকম হয়), ইউজার ফ্রেন্ডলি লুক ইত্যাদি। এত সব কিছুর পরে কোডিং এর ঝামেলাতো আছেই! এখন একজনে পক্ষে এত কিছু মনে রাখা সম্ভব নয় , তাই কিছু টুলস খুজতে চেস্টা করলাম। ইন্টারনেটে ঘুরে ঘুরে ভাল কিছু টুলস ও পেয়ে গেলাম যা কিনা আমার কাজের গতিকে দ্বিগুন করে দিয়েছে। তাই আজকে ভাবলাম টুলস গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি—
1. Bounce:
ওয়েব সাইট এনালাইসিস এর জন্য সাইটটি অসাধারন। এতে রয়েছে সাইট এনালাইসিস এর অসাধারন সব টুলস। সাইটিতে গেলে আপনি একটি ইনপুট বক্স দেখতে পাবেন। এই সাইটিতে আপনি যে কোন সাইটের এড্রেস লিখলে আপ্লিকেশনটি আপনাকে ওই সাইটের একটি স্ক্রীনশট দেখাবে। এর পরে আপনি এই স্ক্রিন শট এর উপরে আপনার পছন্দমত যত খুশি ট্যাগ করতে পারবেন। এই সাইটের সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে ট্যাগ করার পর আপনি ফেসবুক এবং টুইটারেও শেয়ার করতে পারবেন।

bounce

URL: http://www.bounceapp.com/

2. MindMeister
যে কোন প্রজেক্ট শুরু করার আগে প্রজেক্ট এ কি কি কাজ হবে, কিভাবে হবে, কে কোন অংশ করবে তা নির্ধারন করতে হয়, আর সেই সাথে প্রজেক্টে কার কি আইডিয়া তাও জানাটা জরুরী। এই সব কাজ যে কোন প্রজেক্টের সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। এই সাইটি আপনাকে এই সব সুবিধা দিচ্ছে, তাও আবার একদম ফ্রী। আপনি ইচ্ছা করলেই এই সাইটের ফিচার গুলো ব্যাবহার করে গ্রুপ এর সব মেম্বারের কাছে আপনার আইডিয়া গুলো ছবির মাধ্যমে বুঝাতে পারবেন। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যে সকল ক্লায়েন্ট কে শুধু টেক্সট লিখে প্রজেক্ট এর কাজের অগ্রগতি বা নিজের আইডিয়া তার সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব ছিল না, এই টুলটি ব্যাবহার করে খুব সহজেই তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। :) আপনিও চেস্টা করে দেখতে পারেন। আশা করি নিরাশ হবেন না!

mindmeister

URL: http://mindmeister.com/

3. Simplenote
ছাত্র থাকা অবস্থায় পড়ার টেবিলের সামনের দেয়ালে একটা ককশিট ঝুলিয়ে রাখতাম, আর টেবিলের উপরে থাকত পিন! কোন দিন কি পড়ব/কোন স্যারের কাছে যাব, সব কিছুই লিখে লিখে ককশিটে পিন দিয়ে আটকে রাখতাম যেন কোন কিছু মিস না হয়। এখন যখন ফ্রীলেন্সনিং এর কাজ করতে বসি তখনও একই কাজ করি কিন্তু একটু ভিন্নভাবে। ডেস্কটপে একগাদা টেক্সটফাইল জমা হয়ে যায় এক সপ্তাহের মধ্যেই! এক সময় নিজেই পুরা বিরক্ত হয়ে গেলাম। ইন্টারনেটে সার্চ করতে লাগলাম একটি সাইট যেখানে কিনা আমার কাজের নোটগুলো ফ্রী তে রাখতে পারব। সার্চ করতে গিয়ে পেয়ে গেলাম এই সাইটটি। দেখতে খুবই সাধারন একটি সাইট কিন্তু এর ফিচারগুলো অসাধারন আর সম্পুর্ন প্রফেশনাল। আপনি খুব সহজেই আপনার সাইটের নোটগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে পারবেন। দেখে আসতে পারেন সাইটটি।


simple note
 
URL: http://simplenoteapp.com/

4. Woorank
আপনি কি আপনার ওয়েব সাইটের পরিসংখ্যান দেখতে চাচ্ছেন? যেমন আপনার সাইটের পেজ র‍্যাংক, এলেক্সা র‍্যাংক, সাইটের আপ টাইম, সাইটের জনপ্রিয়তা, সাইটের ডোমেইন ও হোস্টিং তথ্য, সাইট ম্যাপের স্ট্যাটাস, কত গুলো ব্যাক-লিংক আছে আপনার সাইটে? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই সাইটটি থেকে। খুবই সহজ… শুধু সাইটটিতে গিয়ে আপনার সাইটের ডোমেইন নেম দিয়ে দিন। এর পরে বাকি কাজ এই সাইটটি করে দিবে। এক সাথে এত তথ্য প্রদানকারী সাইট এর আগে আমি দেখি নি। সাইটটি দেখার পরে শুধু একটা কথাই বলেছি “WOW”!

woorank
 
URL: http://woorank.com/

5.Resize My Browser

resize my browser

ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হল ব্রাউজার কম্পিটিবিলিটি। অর্থ্যাৎ সব ব্রাউজারে যেন একই রকম দেখা যায় আপনার ওয়েব সাইটটি। কারন আপনি তো আর জানেন না যে, ইউজাররা কোন ব্রাউজার ব্যাবহার করছে , আর তার মনিটরের রেজুলেশন বা কত? এই সমস্যায় যখন পড়েছিলাম তখনই খুজে পেলাম এই সাইটটি। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত চেক করে নিতে পারবেন কোন রেজুলেশন এ আপনার সাইট সব থেকে ভাল দেখা যায় এবং যদি রেজুলেশন বড় অথবা ছোট হয়ে থাকে তাহলে আপনার সাইটটি কেমন দেখা যাবে? খুবই কাজের একটি ওয়েব সাইট।
URL: http://resizemybrowser.com/

6. Ge.TT

ge.tt

যারা ইন্টারনেট ফাইল আপলোড এবং শেয়ার করতে ভালবাসেন তাদের জন্য এই সাইটটি। মাঝে মাঝে অনেক বড় ফাইল আপলোড এর দরকার হয় কিন্তু বড় ফাইল আপলোড এর জন্য মেইল এর বসে থাকতে বিরক্ত লাগে। আর অন্যান্য যে সব সাইট আছে- তাদের তো কাহিনী আরো “ঝিরঝির” :P রেজিস্ট্রেশন কর, ভেলিডেট কিনা তা প্রুফ কর, এর পরে আসে ব্যান্ডউইডথ লিমিট, স্পেস লিমিট ইত্যাদি ইত্যাদি…। এত টাইম কোথায়? তাই এই সাইটটি খুজে বের করলাম। খুবই সহজ… কোন কিছুরই ঝামেলা নেই… আপলোড এর পরে আপনাকে লিংক দিবে,সেই সাথে ফেসবুক ও টুইটারের অপশন ও থাকছে। আমি এই সাইটের একনিষ্ঠ ভক্ত :)
URL: http://ge.tt/

7. Coolender

coolender

এই সাইটটি সিম্পল নোট এর মত একটি ওয়েব সাইট। তবে পার্থক্য হচ্ছে এখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মত টাস্ক লিস্ট (To-Do-Lists) রাখতে পারবেন, আপনার গুগল ক্যালেন্ডার, আউটলুক এর সাথে কাজ গুলোকে গুছিয়ে রাখতে পারবেন। সব থেকে বড় সুবিধা হল- GTalk আপনি আপনার কাজের নোটিফিকেশন পাবেন, যার ফলে কক্ষোনই আপনার কাজ মিস হবে না। আহা … এক কথায় অসাধারন। এই সব সুবিধাগুলো এই সাইটটি আপনাকে দিচ্ছে একদম বিনামুল্যে।
URL: http://coolendar.com/
8. Font Struct

font struct

আপনার এপ্লিকেশন এর জন্য নিজের পছন্দের ও নিজের ডিজাইন করা একটি ফন্ট বানাতে চাচ্ছেন? তাহলে দেরী কেন? ঘুরে আসুন এই সাইটটি থেকে। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মত ফন্ট তৈরি , ফন্ট সম্পাদন এবং ডাউনলোড এর সুবিধা পাবেন । সব থেকে আনন্দের কথা হল- এই ফন্ট গুলো আপনি ম্যাক এবং উইনন্ডোজ দুই প্লাটফর্মেই ব্যাবহার করতে পারবেন। তাহলে বানিয়ে ফেলুন নিজের একটি স্টাইলিশ ফন্ট!
URL: http://fontstruct.com/
9. Wufoo:

wuffo

যারা কস্ট করে ফর্ম বানাতে চান না তাদের জন্য এটি হতে পারে কাজের একটি সাইট। আমার কাছে ফর্ম তৈরি করা দুনিয়ার সব থেকে বিরক্তিকর (!!) কাজ বলে মনে হয় ! :( এর আগে হয়ত এই সাইটটি অনেকেই ব্যাবহার করেছেন। যারা করেন নি, তাদের জন্য বলছি- এই সাইটটি বিনামুল্যে আপনাকে তিনটি ফর্ম তৈরি করতে দিবে এবং এই কাজটি আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। ড্র্যাগ-ড্রপ সুবিধা সহ এই সাইটটি দেখতে এবং কাজের ক্ষেত্রে খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি। আপনার ফর্ম তৈরি করতে যে সময় নষ্ট হয় তা এখন থেকে বেচে যাবে। :)
URL: http://wufoo.com/
10.  MockFlow

mockup flow

কাজের শুরুতে ক্লায়ন্টকে  কিভাবে কাজ করবেন তার একটি ছবি(ওয়ার্ক ফ্লো) পাঠালে মনে হয় মন্দ হয় না। এটাকে মক-আপ বলে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি ক্লায়েন্টরা এটাকে খুবই পজিটিভলি দেখে। এই সাইটটি আপনাকে দিচ্ছে আপনার কাজের আইডিয়াকে ছবিতে প্রকাশের সুযোগ। কাজের শুরুতে কিভাবে কাজ করতে চাচ্ছেন তার এইটা গ্রাফিকাল ইন্টারফেস বানিয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার কাজের গতি খুব ভাল থাকবে। আপনি কক্ষোনই দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকবেন না। ঘুরে আসতে পারেন সাইটটি থেকে।
URL: http://www.mockflow.com/

Facebook Twitter RSS