M.A.A. NAFISH PEEZON. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

ফায়ারফক্স ক্যাম্পাস

ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিশ্বের জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মোজিলা ফায়ারফক্সের রয়েছে একটি বিশেষ সংষ্করণ-ফায়ারফক্স ক্যাম্পাস সংষ্করণমূলত স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করেই এই সংষ্করণটি ছাড়া হয়েছেগবেষনা সহায়ক টুলের পাশাপাশি এতে গান শোনার জন্যও প্রয়োজনীয় টুল আছে
Foxytunes
বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীই কম্পিউটারে কাজ করা বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় গান শুনতে পছন্দ করেনতাদের জন্য মোজিলা ফায়ারফক্সের ক্যাম্পাস সংষ্করনে রয়েছে foxytunesfoxytunes এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া প্লেয়ার নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি আপনাকে গানের লিরিক, অ্যালবামের প্রচ্ছদ, ভিডিও ইত্যাদি খুঁজে পেতে সাহায্য করবেfoxytunes এর মাধ্যমে উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্সের প্রায় চল্লিশটির বেশি মিডিয়া প্লেয়ার নিয়ন্ত্রন করা যাবে এর মাঝে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার, আইটিউনস, রিয়েল প্লেয়ার, মিউজিক জুকবক্স, উইন্যাম্প, ইয়াহু মিউজিক জুকবক্স, জেট আডিও ইত্যাদি
ফায়ারফক্সের পাশাপাশি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারেও ফক্সিটিউনস ব্যবহার করা যাবেfoxytunes এর ডাউনলোড এবং সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে চাইলে ক্লিক করুনঃ http://www.foxytunes.com
Zotero
ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই তাদের গবেষনা সম্পর্কিত কোন তথ্য খুঁজে পেতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেনতাই ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষনায় সহায়তা করার জন্য ফায়ারফক্সের ক্যাম্পাস সংষ্করনে রয়েছে zoterozotero ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ভবিষ্যত প্রজন্মের গবেষনা সহায়ক টুল হিসেবেই বেশি পরিচিত গবেষনা সহায়ক তথ্য খুঁজে পেতে এই সফটওয়্যারটি টুলটি এক কথায় অসাধারনএর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি ইন্টারনেট থেকে গবেষনা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য (লেখা, ওয়েব পেইজ কিংবা ছবি) খুঁজে বের করে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য তা zotero লাইব্রেরিতে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন zotero-এর নির্মাতা হচ্ছে জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর হিস্টোরি এন্ড নিউ মিডিয়াএটি তৈরিতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মিউজিয়াম এন্ড লাইব্রেরি সার্ভিসেস সহ আরোও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জোটিরো ইনস্টল করতে আপনার কম্পিউটারে নূন্যতম ফায়ারফক্স সংষ্করণ থাকতে হবেএর আগের সংষ্করণগুলোতে zotero ব্যবহার করা যাবে নাজোটিরো ডাউনলোড এবং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ
http://www.zotero.org

Stumbleupon
সাধারনত আমরা আমাদের আগ্রহের বিষইয়বস্তুর উপর কোন ওয়েব সাইট খুঁজে পেতে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নেইকিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে মানসম্পন্ন ওয়েব সাইট খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নাতাই ফায়ারফক্স ক্যাম্পাস সংষ্করণে রয়েছে দরকারী ওয়েব সাইট খুঁজে পেতে একটি অসাধারন টুলএই টুলটির নাম stumbleuponএই টুলটির মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আবিষ্কার করতে পারবেন আপনার আগ্রহের বিষয়বস্তুর উপর অসাধারন সব ওয়েবসাইটstumbleupon অনেকটা কমিউনিটির মতোতাই বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের শেয়ার করতে পারবেন আপনার আবিষ্কৃত ওয়েব সাইটের খবর আপনার কোন ওয়েব সাইট পছন্দ হলে stumbleupon এর মাধ্যমে আপনি সাইটটি ভিজিটের জন্য পরামর্শ দিতে পারবেনএতে অন্য কেউ এই ওয়েব সাইটের খবর জানতে পারবেনকোন সাইট ভালো না লাগলে আপনি সেই সাইট ভিজিট না করার জন্য অন্যদেরকে উৎসাহিত করতে পারবেন stumbleupon আপনি মোজিলা ফায়ারফক্সের পাশাপাশি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারেও ব্যবহার করতে পারবেনstumbleupon ব্যবহার করতে চাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেনstumbleupon ডাউনলোড এবং সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানতে চাইলে ক্লিক করুনঃ http://www.stumbleupon.com/
যাদের কম্পিউটারে মোজিলা ফায়ারফক্স ইনস্টল করা আছে তারা শুধু অ্যাড-অনগুলো ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিলেই ক্যাম্পাস সংষ্করণের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করতে পারবেনআর যাদের কম্পিউটারে মোজিলা ফায়ারফক্স ইনস্টল করা নেই তারা ফায়ারফক্সের পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস সংষ্করণ ডাউনলোড করে নিতে পারেন
ওয়েব সাইটঃ
http://en-us.www.mozilla.com/en-US/add-ons/campus

ল্যাপটপ সম্পর্কিত টিপস

বাংলাদেশের বাজারে এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তি পন্যের নাম ল্যাপটপ বহনের সুবিধা থাকায় এই পন্যটি একজন প্রযুক্তি মনস্ক মানুষের জীবনযাপন অনেকটাই সহজ করে দেয়তাই আজকাল একজন আধুনিক মানুষের একটি ল্যাপটপ না থাকলেই নয়কয়েক বছর আগেও ল্যাপটপ ছিল সাধারনের নাগালের একেবারে বাইরে সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে কম মূল্যে বেশ কিছু ভালো ব্র্যন্ডের ল্যাপটপ এসেছেফলে ব্যবসায়ী এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের গন্ডি পেরিয়ে ল্যাপটপ এখন প্রায় সবর্স্তরের মানুষের হাতের কাছেইআর পুরো টাকা একসাথে যোগাড় না করতে পারলে রয়েছে কিস্তির ব্যবস্থাচলুন দেখে নেয়া যাক ল্যাপটপ সম্পর্কিত এমন কিছু টিপস যেগুলো ল্যাপটপ কেনার আগে ও পরে আপনাদের কাজে লাগবে
ল্যাপটপ কেনার আগে-
ল্যাপটপের দাম সাধারনত ডেস্কটপের চেয়ে অনেক বেশিতাই একটু ভেবে চিন্তেই ল্যাপটপ কেনা উচিতল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় ভেবে নেয়া প্রয়োজনঃ
>
আপনি কি কাজে ল্যাপটপ কিনবেন সেটা একটি বড় বিষয়আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের কনফিগারেশন ঠিক করুনযেমনঃ বেশি মেমোরি প্রয়োজন এমন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার না করলে সাধারন কাজের জন্য কম বাজেটের সেলেরন প্রসেসরের ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ঠকিন্তু আপনি যদি গেম খেলা বা গ্রাফিক্সের কাজ করতে চান তাহলে উচ্চ গতি সম্পন্ন হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপই কেনা উচিতকনফিগারেশন নির্ধারনের ব্যাপারে প্রসেসরের ক্লক স্পিডের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখুন
>
ল্যাপটপ যেহেতু কিছুটা দামী পণ্য তাই এক্ষেত্রে বাজেট বড় একটি বিষয় এছাড়া বাজারে ল্যাপটপেরর প্রায় সব ব্র্যান্ডই ভালোতাই ব্র্যান্ডের নামের চেয়ে ল্যাপটপ কেনার আগে দেখুন সাধ্যের মধ্যে কোন মডেলের ল্যাপটপে আপনি ভালো সবচেয়ে কনফিগারেশন পাচ্ছেন
>
ল্যাপটপ কেনার আগে দেখে নেয়া দরকার এর ব্যাটারি কতটুকু সময় ব্যাকআপ দিতে পারেআপনার যদি আউটডোরে ল্যাপটপ বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাহলে লক্ষ্য রাখুন ব্যাটারির ব্যাকআপ যেন একটু বেশি হয়
>
এখন অনেক জায়গাতেই স্বল্প মূল্যে ব্যবহৃত (সেকেন্ড হ্যান্ড) ল্যাপটপ পাওয়া যায়এ ধরনের ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার আগে ভালোভাবে ভাবুনকারন, সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বিক্রির সময় বিক্রেতারা অনেক ত্রুটির কথা চেপে যানআর ওয়ারেন্টি না থাকায় এসব ল্যাপটপ কিনে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতেও পারবেন না
>
ল্যাপটপের প্রধান সুবিধা হচ্ছে এটি খুব সহজেই বহন করা যায়তাই যে ল্যাপটপ কিনবেন তার ওজন কেমন সেটা জেনে নিনছোট স্ক্রিনের ল্যাপটপের ওজন সাধারনত কম হয় বলে বহন করা সুবিধাজনক; এসব ল্যাপটপের দামও তূলনামূলকভাবে বেশিতবে গ্রাফিক্সের কাজ যারা করবেন তাদের জন্য একটু বড় স্কিনের ল্যাপটপ কেনাই ভালোতবে আউটডোরে বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন হলে কম ওজনের ল্যাপটপ কেনাই ভালোতবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কথা হলো-আপনি কেমন স্ক্রিনের ল্যাপটপ ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন
ল্যাপটপ কেনার পরে-
ল্যাপটপ কেনার পর ল্যাপটপ ব্যবহারে বেশ কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরীএগুলো হলো-
>
ল্যাপটপ বেশিক্ষণ কোলের উপর রেখে ব্যবহার করা উচিত নয়বেশ কিছুদিন আগে একদল গবেষক ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের মাঝে এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, যারা কোলের উপর রেখে টানা অনেকক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে
>
দাম একটু বেশি হলেও ল্যাপটপ বহনে ল্যাপটপের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করুনএসব ব্যাগ ল্যাপটপকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারে এছাড়া ভ্রমণে ল্যাপটপ বহন করার জন্য কাঁধে ঝুলানোর সুবিধা যুক্ত (অনেকটা স্কুল ব্যাগের মতো) ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেনএক্ষেত্রে বহনে সুবিধার পাশাপাশি আরেকটি সুবিধা হলো বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না যে আপনি ল্যাপটপ বহন করছেনতাই ছিনতাইকারীর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে পারেন
>
ল্যাপটপে বিল্ট-ইন কিছু ডিভাইস আছে যেমনঃ ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই, ইনফ্রারেড ইত্যাদিপ্রয়োজন না থাকলে ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় এসব ডিভাইস বন্ধ করে রাখুনএতে ব্যাটারির শক্তি খরচ কম হবে
>
ডিসপ্লে সেটিংস থেকে বিভিন্ন অতিরিক্ত ফিচার যেমনঃ ClearType fonts , fade effects ইত্যাদি বন্ধ করে রাখুনফলে শক্তি খরচ কিছুটা কম হবে
>
ল্যাপটপে গেম খেলা বা কোন কিছু টাইপ করার জন্য এক্সটার্নাল কী-বোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করুনকারন, এসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহারে ল্যাপটপের টাচ প্যাড এবং কি-বোর্ডের আয়ু কমে যাবে
>
ঘরে বা বিদ্যুত ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন স্থানে সরাসরি বিদ্যুত ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালানপ্রত্যেকটি ল্যাপটপের ব্যাটারির একটি আয়ু আছেএকটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার চার্জ হবার পর এই ব্যাটারিটি নষ্ট অর্থা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়
>
ল্যাপটপ ডেস্কটপের মতো একটানা ব্যবহার করা ঠিক নয়বেশ কয়েক ঘন্টা ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ কিছু সময় বন্ধ রাখা উচিত
>
ল্যাপটপের এয়ার ভেন্টটি নিয়মিত পরিষ্কার করুনকারন এয়ার ভেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে প্রচুর তাপ উপন্ন হবে যা ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিকর
>
খাবার ও পানীয় থেকে ল্যাপটপ দূরে রাখুননাহলে অসাবধানতা বশত ল্যাপটপের উপর পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে
>
ল্যাপটপ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুনকারন, হাত থেকে একবার পড়ে গেলেই ল্যাপটপের আয়ু শেষ!

ফটোশপে ইচ্ছা মতো ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ করুন, খুব সহজেই। (আমার মতো ফটোশপ ভীতুদের জন্য)

অনক সময় দেখা যায় সুন্দর একটা ছবি তুললেন কিন্তু খারাপ ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য ছবিটা দেখতে ভালা লাগছেনা। সেইক্ষেত্রে ফটোশপ দিয়ে খুব সহজেই ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ করতে পারেন। এবং ছবিটা আরো সুন্দর করে তুলতে পারেন।

১.প্রথমেই ২টা ছবিরই ব্রাইটনেস এবং কনট্রাস্ট সেইম করে নিন যাতে আপনার এডিট করা ছবিটা আরো জীবন্ত হয়।

২. এবার যে ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করবেন সেটা ওপেন করুন।



এবার (Select থেকে All) তারপর (Edit থেকে Copy) করুন। এবার যে ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ করবেন, সেই ছবিটা ওপেন করুন।



তারপর (Edit>Paste) করুন। যে ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করবেন সেটা, যে ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ করবেন তার উপর চলে আসবে। হয়ত যে ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করবেন সেটা ছোট হয়ে আসবে। সাউজ মিলিয়ে নিন।

৩) এবার লেয়ার মাস্ক এ্যাড করুন, যাতে পুরোটা হাইড হয়ে যায়। (Layer>Add Layer Mask>Hide All). আপনার লেয়ার মেনুটা এরকম দেখাবে।



৪) ব্রাশ টুলে ক্লিক করুন। শিওর হন, আপনার কালার যেন সাদা এবং কালো হয়, নীচের ছবির মতো।



৫) এবার যে ছবিটার ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ করবেন সেটার উপর আরামসে ব্রাশ ঘষুন। ছবির যে অংশটুকু রাখতে চান সেটুকু বাদ দিয়ে বাকিটুকু মুছে ফেলুন। ব্রাশ টুল সিলেক্ট করলে উপরে ব্রাশ সাইজ চেন্জ করার একটা অপশন পাবেন, সেখান থেকে প্রয়োজন মতো ব্রাশ সাইজ চেন্জ করুন।



৬। কাজ শেষ। :)



বি:দ্র: আমার ছবির সাথে, ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেকশানটা ভালো হয়নি। আপনারা ভালো দেখে ছবির সাথে মিলিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেক্ট করুন। তারপর ইচ্ছামতো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ করুন।

ডেস্কটপ, মাই ডকুমেন্টস অন্যত্র স্থানান্তর


অনেক সময় উইন্ডোজ নতুন করে ইনষ্টল করার সময় ডেস্কটপ এবং মাই ডকুমেন্টে রাখা গুরুত্বপূর্ণ ফাইলসমূহ সরিয়ে রাখার কথা খেয়াল থাকে নাফলে মুছে যায় গুরুত্বপূর্ণ সব ডকুমেন্টতখন মাথার চুল ছেঁড়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার সব চেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ডেস্কটপ, মাই ডকুমেন্টস অন্যত্র স্থানান্তরতবে উইন্ডোজে মাই ডকুমেন্ট সরানো সহজ হলেও ডেস্কটপ সরানো সম্ভব নয়এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে ব্যবহার করতে পারেন TweakUi নামের সফটওয়্যার দিয়েমাত্র ১৪৭ কিলোবাইটের এই সফটওয়্যারটি খোদ মাইক্রোসফটের তৈরিবিনামুল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারেন মাইক্রোসফটের সাইট থেকেসরাসরি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
এবার দেখা যাক কিভাবে TweakUi Powertoy দিয়ে স্থানান্তর করবেন আপনার ডেস্কটপ এবং মাই ডকুমেন্টপ্রথমে আপনার কম্পিউটারে TweakUi সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করে নিনএবার start >All programs > PowerToys for Windows XP অনুসরন করে TweakUi প্রোগ্রামটি চালু করুনএবার My Computer > Special Folders এ যানএবার উইন্ডোজের বিশেষ ফোন্ডারসমূহের একটি লিস্ট দেখতে পাবেনযে ফাইলটি স্থানান্তর করতে চান তা সিলেক্ট করে Change Location বাটনে ক্লিক করে যে ড্রাইভে সরিয়ে ফেলতে চান তা সিলেক্ট করে Apply বাটনে ক্লিক করুন তাহলেই কাজ শেষ…এখন থেকে আর জরুরী ফাইল মুছে যাবার ভয় নেই…নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারেনকারন, এখন থেকে আপনার কাঙ্খিত ফাইলগুলো সেভ হবে নতুন লোকেশনে

টাস্কবারে ব্যক্তিগত নাম লেখা


টাস্কবারে সময়ের পাশে নিজের নাম লেখার জন্য Start “ Control Panel “ Regional and language options “ Customize “ Time ক্লিক “ এরপর AM ও PM-এর পাশে নিজের নাম লিখুন। শেষে Apply “ Ok (দুবার)। টাস্কবারে ঘড়ির পাশে নাম দেখাবে।
নাম বাতিল বা মুছে দেওয়ার জন্য একই নিয়মে গিয়ে AM ও PM-এর পাশে লেখা নাম মুছে দিয়ে Apply “ Ok (দুবার) করুন।

ব্লুটুথ কি এবং কিভাবে কাজ করে। (জেনে নিন)

 
ব্লুটুথ কি?

ব্লুটুথ হল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির মধ্যে সংযোগ সাধনের একটি আধুনিক পদ্ধতি। এটি তারহীন এবং স্বয়ংক্রিয়। ৯০০ খ্রীস্টাব্দের পরবর্তী সময়ের ডেনমার্কের রাজা Harald Bluetooth-এর নামানুসারে এই প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে।

যখন একাধিক যন্ত্রাংশ-এর মধ্যে সংযোগ সাধনের প্রয়োজন হয় তখন উহাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের পূর্বে বেশ কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত হতে হয়। প্রথম বিষয়টি হল বস্তুগত-যা নিশ্চিত করে যে যন্ত্রাংশ গুলো তার-এর মাধ্যমে নাকি বিনা তারে যোগাযোগ সাধন করবে।আবার তার ব্যবহৃত হলে কতগুলো প্রয়োজন তা-ও জানা প্রয়োজন। বস্তুগত ব্যাপারটি নিশ্চিত হবার পরে আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এসে হাজির হয়। সেগুলো হল-কতগুলো তথ্য একত্রে প্রেরিত হবে, অর্থাৎ ১বিট নাকি একাধিক বিট? আবার এটাও নিশ্চিত হতে হয় যে,ঠিক যেই তথ্য পাঠানো হয়েছে ঠিক সেই তথ্যই গৃহিত হল কিনা।অর্থাৎ সঠিক তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রয়োজন। ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে রেডিও ফ্রিকোয়ান্সির মাধ্যমে সংযোগ সাধন করা এবং সঠিক তথ্য প্রাপ্তী নিশ্চিত হয়।

ব্লুটুথ যেভাবে কাজ করে?

ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে কম ক্ষমতা বিশিষ্ট বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়। এই যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ২.৪৫ গিগাহার্ট্‌জ (প্রকৃতপক্ষে ২.৪০২ থেকে ২.৪৮০ গিগাহার্ট্‌জ-এর মধ্যে )-এর কম্পাংক ব্যাবহৃত হয়। শিল্প, বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত যন্ত্রের জন্য উপরিউক্ত কম্পাংকের সীমাটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।এখন প্রশ্ন হল যে ব্লুটুথ অন্যান্য তরঙ্গ নির্ভর যন্ত্রের কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করে কিনা?উত্তর হল "না"। কারণ ব্লুটুথ কর্তৃক প্রেরিত সিগন্যালের ক্ষমতা থাকে মাত্র ১ মিলিওয়াট, যেখানে সেল ফোন ৩ ওয়াট পর্যন্ত সিগন্যাল প্রেরণ করে।

অর্থাৎ ব্লুটুথের নিম্ন ক্ষমতার সিগন্যাল উচ্চ ক্ষমতার সিগন্যালে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে না।
ব্লুটুথ একসাথে ৮টি যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ সাধন করতে পারে।
তবে প্রত্যেকটি যন্ত্রকে ১০ মিটার ব্যাসার্ধের একই বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত হতে হয়, কারণ ব্লুটুথ প্রযুক্তি চারিদিকে সর্বোচ্চ ১০ মিটার পর্যন্ত ক্রিয়াশীল থাকে।

এখন প্রশ্ন যে, A যন্ত্রের সাথে B যন্ত্রের যোগাযোগের সময় কাছাকাছি অবস্থিত অপর দুটি যন্ত্র C ও D-এর মধ্যের ব্লুটুথ যোগাযোগ ব্যাবস্থা বাধাগ্রস্থ হয় কিনা?(কেননা দুই যন্ত্রযুগলই একই কম্পাঙ্কের ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যাবহার করছে)উত্তর হল "না"। কারণ এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্লুটুথ একটি পদ্ধতি ব্যাবহার করে যা কিনা "spread-spectrum frequency hopping" নামে পরিচিত।এই পদ্ধতিতে একই সময়ে একাধিক যন্ত্রযুগল একই কম্পাঙ্ক ব্যাবহার করে না।ফলে একে অপরের যোগাযোগ ব্যাবস্থাতে বাধার সৃষ্টি করে না।

এ পদ্ধতিতে কোন একটা যন্ত্র নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অবস্থিত কম্পাঙ্ক হতে ৭৯ টি পৃথক পৃথক কম্পাঙ্ক randomly গ্রহণ করে ও একের পর এক পরিবর্তন করে। ব্লুটুথের ক্ষেত্রে, ট্রান্সমিটার প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ বার কম্পাঙ্ক পরিবর্তন করে।ফলে একাধিক ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রযুগলের মধ্যে একই সময়ে একই কম্পাঙ্ক-এর তথ্য প্রেরণ অসম্ভব বললেই চলে।

ফটোসপের ব্রাশ যেভাবে ইনষ্টল করবেন

ব্রাশ কোন .exe ফাইল না তো তাই সেটআপ করতে হয় না। শুধুমাত্র কপি পেষ্ট করতে হয়। নিচে সচিত্র বর্ণনা দিলাম।

ফটোসপের কোন ব্রাশ ডাউনলোড করলে তার এক্সটেনশনে .abr থাকে। তাহলে এটি দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন এটি একটি ফটোসপের ব্রাশ। প্রথমে ব্রাশ টিকে কপি করুন। তারপর

C:\Program Files\Adobe\Photoshop CS\Presets\Brushes

এই লোকেশনে গিয়ে পেষ্ট করুন। ব্যাস কাজ শেষ।

তারপর ফটেসপে যান। নতুন ফাইল নিন। ব্রাশটুলটি কোথায় থাকে দেখে নিন

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_install_brush.jpg

এখানে ক্লিক করে ব্রাশটুলটি সক্রিয় করে নিন। অথবা কিবোর্ড থেকে B চাপুন। তারপর ফটোসপের ষ্ট্যান্ডার্ড টুলবারের চিহ্নিত অংশে ক্লিক করুন। তারপর ড্রপডাউন মেনু থেকে Load Brushes এ ক্লিক করুন।

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_install_brush-2.jpg

তারপর ব্রাশটির লোকেশন অর্থাৎ C:\Program Files\Adobe\Photoshop CS\Presets\Brushes থেকে ব্রাশটিকে ওপেন করুন।

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_install_brush-3.jpg

তারপর একেবারে শেষে দেখুন ব্রাশটি চলে এসেছে

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_install_brush-4.jpg

আশাকরি পেরেছেন। তারপর সাচ্ছন্দে ব্রাশ ব্যবহার করুন।

আর না পারলে তো আমি আছিই

ফটোসপ দিয়ে শরীরে ট্যাটু লাগান ইচ্ছেমত

নিচের ছবিগুলো ভাল করে দেখুন। শরীরে ট্যাটু লাগানো। অনেকেই এই ট্যাটুগুলো লাগান শরীরে। কি জন্য জানি না। আপনার শরীরে ট্যাটুর দরকার হলে। কিছুই লাগবে না। এই পোষ্টটি পড়ার পর সহজেই শরীরে ট্যাটু সংযোজন করতে পারবেন। হ্যা মশাই আমি ফটোসপের কথাই বলছি। ফটোসপ দিয়ে আপনি সহজেই শরীরে ট্যাটু সংযোজন করতে পারেন।

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_rasel_tatto-6.jpg

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_rasel_tatto-5.jpg

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_rasel_tatto-4.jpg

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_rasel_tatto-3.jpg

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_rasel_tatto-2.jpg

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_rasel_tatto-1.jpg


প্রথমে আপনার একটি খালি গায়ে ছবি তুলুন। তারপর সেটিকে কম্পিউটারে নিয়ে ফটোসপে ওপেন করুন। তারপর এখান থেকে ট্যাটুর ব্রাশটি ডাউনলোড করে আপনার ছবিতে ইচ্ছেমত ট্যাটু বসান।

আরও কিছু ট্যাটু ব্রাশ পাবেন এখানে এবং এখানে

ছবি

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_2v3hm3k.jpg

ফটোসপে গাড়ির স্পিড!!

এটা একটা অনুবাদ টিউটোরিয়াল।

ফটোসপে খুব সহজেই আপনি গাড়ির স্পিড বা গতি দিতে পারেন। প্রথমে ফটোসপে একটা গাড়ির ছবি ওপেন করুন। খেয়াল রাখবেন যাতে গাড়িটি রাস্তাসহ হয়। এখানে ওপেন করা হয়েছে নিচেরটি

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/race-car.jpg

তারপর চিত্রের গাড়ির অংশটি ব্লক করে নিন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-selection-outline.jpg

কিবোর্ড থেকে Ctrl+J চাপুন অথবা চিত্রের নির্দেশনা দেখে শুধুমাত্র গাড়ির লেয়ারটি কপি করে নিন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/layer-new-layer-via-copy.gif

নিশ্চিত হয়ে নিন যে, লেয়ার প্যালেটে গাড়ির লেয়ারটি এসেছে

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-layer-mask-thumbnail.gif

তারপর Filter > Blur > Motion Blur এ যান

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/selecting-motion-blur.gif

চিত্রের মত মান দিন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-motion-blur-filter.jpg

আপনার ইমেজ এমন হবে

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/image-motion-blur.jpg

তারপর এই লেয়ারটিকে ৫ বার কপি করুন। কিবোর্ড থেকে Ctrl+J চেপে।
লেয়ার প্যালেটে যেন ৫ টি কপি থাকে নিশ্চিত হয়ে নিন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/four-copies.gif

আপনার ইমেজ এমন হবে

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/image-motion-blur-streaks.jpg

লেয়ার ওয়ান অর্থাৎ প্রথম লেয়ারটি সিলেক্ট করুন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/selecting-multiple-layers.gif

তারপর Layer > Merge Layers এ ক্লিক করুন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-merge-layers.gif

তাহলে লেয়ার প্যালেটে এমন দেখতে পাবেন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-merged-layers.gif

চিত্রের মত করে লেয়ার মাস্ক সংযুক্ত করুন। এখানে আমরা গ্রেডিয়েন্ট টুল ব্যবহার করব।

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/add-layer-mask.gif

গ্রেডিয়েন্ট টুল সিলেক্ট করুন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-gradient-tool.gif

চিত্রের মত গ্রেডিয়েন্ট সিলেক্ট করুন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/select-gradient.jpg

তারপর চিত্রে দেখানো ২য় বিন্দু থেকে প্রথম বিন্দুতে ড্র্যাগ করুন

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/drag-gradient.jpg

আপনার লেয়ারের অবস্থা

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-layer-mask-thumbnail.gif

এবং আপনার চিত্রের অবস্থা

http://www.photoshopessentials.com/images/photo-effects/motion-blur/photoshop-motion-blur-effect.jpg

আশাকরি ইফেক্টটি দিতে পারবেন।


টিউটোরিয়ালটি অনুবাদ করেছি এখান থেকে।

মানুষ খেকো দানব ( কাল্পনিক )

undefined


এস.এস.সি পরিক্ষা শেষকি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না? একদিন আম্মা বলল চল সইয়ের বাড়ী থেকে বেড়িয়ে আসিআমি, আম্মা, বদরুল, হাদীমামা সবাই মিলে কিশোরগন্জের পাকুন্দিয়া আম্মার সইয়ের বাড়ী বেড়াতে গেলামহৈ হৈ রৈ রৈ করে দিনগুলো খুব ভালই কাটছেএর মাঝে একদিন ঐ এলাকায় মাইকে প্রচার হচ্ছে যাত্রা হবেআমরা খুবই উৎফুল্লরাত্রে আমি, মামা, নয়ন ভাই, স্বপন, শরিফ, আরও তিনজন মিলে রওনা হলামমোটামুটি তিন কি.মি. রাস্তাতার মাঝে নাকি আবার নদী পার হইতে হয়

প্রচন্ড শীতখোলা গলায় গান ছেড়ে নদীর পাড় দিয়ে চলছিপাশের ঘন কাশবনের ফাক দিয়ে মাঝে মাঝে একজোড়া...দুই জোড়া চোখ এসে উকি দেয়উকি দিয়েই শেয়াল গুলো পাশের ঝোপে হারিয়ে যায়
মামা বলল শেয়ালেরা রাত্রে নদীর পাড়ে আসে কাকড়া খাওয়ার জন্য
আমরা মূল নদীরঘাটে এসে পৌছালামদেখি মাঝি নাই কিন্তু নৌকা আছেআমরা মাঝিকে ডাকাডাকি করতে লাগলে কিছুক্ষণ পর মাঝিকে দেখলাম কাশবন থেকে বেড়িয়ে আসলকিছুটা অপৃকতস্থ কি লেগেছিল? মনে নাইনদী পার হলামআরও এক কিলোমিটার
এবার কিন্তু সোজা কাশবনের ভিতর দিয়ে যেতে হবেছোট একটা রাস্তাবোঝাই যাচ্ছে এটা একটা কাশবনই ছিলমানুষ হাটতে হাটতে কিছুটা রাস্তা হয়েছেহালকা চাদনীদুইধারের কাশের জন্য দু্ইপাশে কিছুই দেখা যাচ্ছেনাশুধু সামনে আর পিছনে দেখা যাচ্ছেকিন্তু সামনে আর পিছনের দুইপাশে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকারকেননা চাদের আলো এতনিচে এসে পৌছাচ্ছেনাআমরা সবাই হাটছি তো হাটছিইকুয়াশা পরে দুইপাশের কাশগুলো কিছুটা নুয়ে পড়েছেফলে হাটার সময় আমাদের মুখে এসে লাগছেখুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার
অনেকক্ষণ যাবৎ আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম যে কিছুক্ষণ পর পরই কাশবনের ভিতর একটা শব্দ হচ্ছেশেষবার যখন শব্দটা শুনলাম তখন আমার মনে হলো কিছু একটা আমাদের সাথে সাথে চলছেআর কিছুক্ষণ পরপর শব্দটা শুনিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছে বুঝলাম নাতবে একটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর একই শব্দটা শোনা যাচ্ছেবন-জঙ্গল পরিষ্কার করে করে সামনে যাওয়ার যে শব্দটা ঠিক সেই রকমআমি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলামতবে কারও কাছে কিছু বললাম না
সোজা সামনে হাটছি


থেকে থেকে শব্দটা আমি ঠিকই শুনতে পাচ্ছিএকটা জিনিস খুব অদ্ভুত লাগছিল যে সবাই কেমন জানি নির্বিকার, কেউ কি কিছু শুনতে পাচ্ছেনাতাহলে আমি কি কোন হ্যালুসেশানে আছিমানুষের চেচামেচি শোনা যাচ্ছেআমি আর মামাছাড়া আর বাকি সবাই দেখি দৌড় দিলআমরাও পিছনে পিছনে দৌড় লাগালাম
মোটামুটি সামনেই বসলামসবাই চিৎকার-চেচামেচি করছেদুইঘন্টা.........এরমাঝে আয়োজকদের একজন এসে বলে গেল চুপ করার জন্য এখনি নাকি যাত্রা শুরু হবে৫-১০ সেকেন্ট চুপ ছিল আবার চিল্লা-চিল্লিএবার স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুরোধসবাই চুপ 
নুপুরের আওয়াজ শোনা যাচ্ছেবাদ্যযন্ত্র বেজে উঠলনাচ শুরু হবে মনে হচ্ছেসে কি নাচ........নাচের তালে তালে দর্শকরা সবাই উন্মাতালমামার দিকে তাকিয়ে দেখি বসে বসে লাফাচ্ছেমামা আমার দিকে তাকিয়ে কিছুটা লজ্জা পেলকেউ কেউ টাকাও ছুড়ে মারছেনৃত্যশিল্পী টাকা কুড়িয়ে ব্লাউজের ফাক দিয়ে বুকে রাখছে আর গা থেকে ধীরে ধীরে কাপড় খুলে ফেলছেমামাকে দেখি বসা থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে লাফাচ্ছেএদিকে দর্শক সারি থেকে কে জানি কাগজ দিয়ে বল বানিয়ে নৃত্যশিল্পীর গায়ে মারলশিল্পী কিছুটা বিব্রত বোঝাই যাচ্ছে
আয়োজককারীদের মধ্য থেকে একজন এসে অনুরোধ করে যাচ্ছে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেঅহেতুক জামেলা কার সহ্য হয়? কেউ একজন ঐ আয়োজককারীর গায়ে জুতা ছুড়ে মারলসেচ্ছাসেবক দলের আট-দশজন মিলে একটা লোককে সনাক্ত করে মাইর শুরু করলসাথে সাথে দর্শকরাও ঝাপিয়ে পড়লমুহুর্তের মাঝেই হাজার হাজার মানুষ দৌড়াদৌড়ি শুরু করলশরীফ, স্বপন বলল মামা দৌড় দেন....বিরাট মাইর লাগব.......এই এলাকা খুব খারাপ
আমরা দৌড় লাগালাম
শরীফ, স্বপনরা সামনে দিয়া আমরা পিছনেদৌড়াচ্ছিতো... দৌড়াচ্ছিতো...পিছন দিয়া ধর ধর....জইল্যারে ছাড়িসনা.........মজিত্যা কই? এরকম হাজারও চিৎকার কানে ভেসে আসছেপিছনে তাকিয়ে দেখি হাজারও মানুষ দ্বিক-বেদ্বিক হয়ে দৌড়াচ্ছেআমরা তখন রাস্তাছেড়ে কাশবনের ভিতর দিয়া হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে আগাচ্ছিমামার জুতা ছিড়ে গেছেবেচারা ঐ জায়গায় বসে জুতার জন্য শোক করা শুরু করলমামা আবার ভীষন কৃপণতোআমরা মামাকে ধরে টেনে হিচড়ে ভিতরে যাচ্ছিধীরে ধীরে ধর ধর আওয়াজটাও স্তিমিত হয়ে আসছে
আমরা নদীরপাড়ে এসে দাড়ালামহালকা চাদনিঘাটে কেউ নেইসহজেয় বুঝতে পারলাম ভয়ে কেউ এদিকটায় আসেনিশরিফ বলল এখানে দাড়ানো মোটেও নিরাপদ নয়যে কোন ভাবেই নদীপাড় হতে হবেআমি আবার সাতার জানিনামামা বলল ভাগ্নে তুমি আমার কাদে উঠআমি রাজি হলামনাআমি সারাজীবন সব জায়গায় মাতব্বরি করতাম শুধু পানি ছাড়াকেননা হাজার চেষ্টা করেও যে সাতারটা শিকতে পারলামনাআমার সবসময় ভয় বেশী পানিতে গেলে নিচ দিয়ে যদি কেউ টান দেয়সবাই আমাকে অনেক বুঝানোর পরও রাজি হলাম নাসবাই নদীর পাড়ে দাড়িয়ে আছিএকটা অজানা আতংক সবার ভিতরে কাজ করছে
আল্লাহু... আল্লাহু... সবাই একটু ছড়ানো-ছিটানো থাকলেও দেখলাম মুহুর্ত্তের মাঝে একসাথে জড়ো হয়ে গেলশব্দটার উৎপত্তি বুঝার চেষ্টা করতে লাগলামএর মাঝে শুনলাম 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু....কাশবনের ভিতর দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে সে দিকে একটা ক্ষীণ আলোর রেখা কাশবনের উপরদিয়ে দেখা যাচ্ছেআমরা সবাই সেদিকে তাকিয়ে রইলামআলোর তীব্রতা এবং শব্দের তীব্রতা বেড়েই চলছে


সবাই একদৃষ্টিতে ঐ দিকে তাকিয়ে আছিদেখি দুইজন মানুষ ঐ কাশবনের পথ দিয়ে বের হয়ে আসছেদুইজনের হাতে দুইটি হারিকেনপিছনে চারজনে কাদে করে একটি খাটিয়া নিয়ে আসলোসাদা কাপড়ে ঢাকাবুঝলাম কোন লাশ নিয়ে এসেছেতার পিছনে আরও দুইজন হারিকেন হাতেঅবাক হয়ে গেলাম
আসসালামু ওয়ালাইকুমসবাই সালামের জবাব দিলামসবার চোখে-মুখে উৎকন্ঠা স্পষ্টআমি একটু আগ বাড়িয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার বলুনতোসবচেয়ে বৃদ্ধ যে লোকটা সে বলল "মৃত ব্যাক্তিটি হলো এই এলাকার জামাইশশুর বাড়ীতে এসেছিলসাপের কামড়ে সন্ধায় মৃত্যু হয়েছেএখন ঐ পাড়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে দাফনের জন্য।" সবার জড়তা মনে হয় একটু কাটল 

-
বাবা নৌকা নাই
-
না চাচা দেখি না তো
-
ঠিক আছে তাহলে আপনারা এইখানে লাশের পাশে দাড়ান আমরা গিয়ে নৌকা নিয়ে আসছি
এইটা কি কয়? মাথাটা আবার ঝিনঝিন করে উঠলএকটু সন্দেহও লাগছিলশেষে আমি বললাম আপনারা চারজন এবং আমর চারজন মিলে গিয়ে নৌকা নিয়ে আসবআর বাকি সবাই এখানে থাকুকচাচা মনে হয় আমার মনের কথা বুঝতে পারলচাচার মুখে যে হাসিটা দেখলাম সেই হাসির রহস্য হাজার রকমের হতে পারে
আমরা আটজন মিলে রওনা হলামনদীর পাড়ে ধরে হাটছিসাথে দুইটি হারিকেনচাচা মনে হয় মাঝির বাড়ি চিনেসেই দেখলাম চিনিয়ে চিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছেএকটা জায়গায় এসে চাচা থামলটর্চলাইট মেরে দেখলাম ঘাটে ঐ বিশাল নৌকাটা বাধা আছেজায়গাটা অনেক অন্ধকারনদীর পাড়ের উপরে বাড়ি ঘরও আছেকিন্তু মনে হচ্ছে যেন মৃত্যুপুরীকিছুটা ভয় ভয় লাগছেএকটা প্যাচা উড়ে গেলপানিতে কিছু পড়ার শব্দঐ হাইল্যা... হাইল্যারে........বুঝতে পারলাম মাঝির নাম হালিমকোন সারাশব্দ নাইচাচা রাগে বলতে লাগল সবাই কি মইরা ভূত হয়ে গেছেশেষে আমরাই নৌকা নিয়ে আসলাম 
অনেক বড় নৌকানৌকার ছাদ নেইউপরে কাঠ দিয়ে মেঝে করা হয়েছেতবে মাঝখানে চার হাতের মত জায়গা ফাকাপানি সেচের সুবিধার জন্য এটা করা হয়আমরা এই ফাকের এক পাশে বসলামঅন্য পাশে ওরাআমি নৌকার শেষ মাথায় বসলামনৌকা যখন ছাড়বে, ঠিক তখনি কাশবনের ভিতর থেকে একটা আওয়াজ আসল 

-
বাবারা আমারে একটু নিয়া যাও
টর্চ লাইট মেরে দেখি এক বৃদ্ধলোকভাবলাম এতরাত্রে আমরা নিয়া না গেলে বেচারা কিভাবে পার হবে? তাই আমিই সবাইকে অনুরোধ করলাম নেওয়ার জন্যনৌকাটি ভাসিয়ে লোকটি লাফ দিয়ে নৌকায় উঠলনৌকাটি দোলনার মত দোল খেতে লাগলআমার কাছে মনে হলো সবাই নৌকায় উঠার পর নৌকাটি যতটুকু ডুবল ঐ লোকটি উঠার পর আরও বেশী ডুবললোকটি লাশের ঠিক পায়ের কাছে বসলনৌকা চলতে লাগল
খুব বেশী বড় নদী নাকিছুটা স্রোত আছেমনের ভিতর অজানা আশংকটা যতই ভুলে থাকার চেষ্টা করছি ততই মনে পড়ছেএই হালকা চাদনী রাতে কাশবনের উপরে কুয়াশার ধোয়া যে মায়াবী জাল সৃষ্টি করেছে তা আলিফ লায়লার কথা মনে করিয়ে দিলভয় কাটানোর জন্য মনে মনে গান গাওয়ার চেষ্টা করলামজোরকরেই কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে যেতে চাইলামদূরে ভেসে যাওয়া কলাগাছরুপী লাশগুলোকে একমনে দেখছিলাম
হঠাৎ যে নৌকা চালাচ্ছিল তার বিকট চিৎকারকেউ একজন পানিতে ঝাপিয়ে পড়ার শব্দআমি ঘুরে তাকাতে তাকাতেই সমস্ত নৌকাটা দুলে উঠল যেন কোন নীলদড়িয়ায় নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়েছেসবাই লাফিয়ে পানিতে পড়ছেমামা চিৎকার করে পানিতে লাফ দেওয়ার জন্য বলছেআমি উঠে দাড়ালামনৌকার শেষমাথায় টর্চলাইট মেরে দেখি বৃদ্ধটি লাশের একটি পা ধরে পা'র মাংস খাচ্ছেপায়ের হারটি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিবৃদ্ধটির মুখে আলো পড়তেই আমার দিকে তাকিয়ে রইলোচোখ থেকে নীলআলো বিচ্ছুরিত হচ্ছেমুখে রক্তের দাগের মত এ্যাবরো-থেবরো মাংস লেপটানোবিবৎস দৃশ্যখুব বমি আসতে লাগলআমি জোড়করে চেষ্টা করছি সবকিছু আটকিয়ে রাখতেতীরের দিকে তাকালামবুঝতে পারছি এতটুকু সাতার দিয়ে পার হওয়া আমার পক্ষে সম্ভবনাসবাইকে দেখলাম চিৎকার করছে আর দৌড়াচ্ছেআমি বৃদ্ধের দিকে টর্চলাইট মেরে দাড়িয়ে রইলামবৃদ্ধটি আমার দিকে তাকালো...... উঠে দাড়ালো.....ঝপাৎ
যতক্ষণ পারলাম সাতার কাটতেই থাকলামশেষে মাটি হাটুতে বাজলবুঝতে পারলাম তীরে এসে পৌছেছিদৌড় লাগালামচিৎকার অনুসরণ করে কাশবনের ভিতর দিয়ে দৌড়াতে লাগলামহাজার-হাজার মানুষের চিৎকারচারদিকে মশাল আর মশালকেউ কেউ ডাকাত ডাকাত করেও চিল্লাচ্ছেকাশবনের ঐ পাশেই একটা বাড়ী আছে সেখানে সবাই পরে রইলোআমিও গিয়ে ঐ খানে শুয়ে পড়লামচারদিকে মানুষ ঘিরে ধরেছেকেউ কেউ আমার কাছে ঘটনা জানতে চাইলো....আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছিলনাএর মাঝে একজন সবাইকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দিলসবার মাথায় পানি ঢালার ব্যাবস্থা করতে বললমামার হুশ হওয়ার পর আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল- ভাইগ্না বাইচ্যা আছ? আপা আমারে মাইরাই ফালতোএকে একে সবাই হুশ হলোআমি সব ঘটনা খুলে বললামএর মাঝে দেখি শরীফের আব্বাও লোক নিয়ে হাজিরকেউ কেউ নদীর পাড়ে যাওয়ার সাহস দেখালোশেষে আমি সবাইকে নিয়া নদীর পাড়ে গেলামনৌকা নাইআমরা স্রোতের অনুকুলে হেটে যাচ্ছিসবাই চিৎকার করে উঠল এই যে নৌকাদেখলাম শুধু কংকালটা আছেএর মাঝে একজন বলল দেখিতো মাটিতে রাক্ষসটার পায়ের দাগ আছে কিনা? আমরা নদীর পাড়ে কোন পায়ের দাগও পাইনি
শেষে ঐ কংকালটিই মাটি দেওয়া হলো

Facebook Twitter RSS