M.A.A. NAFISH PEEZON. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

ব্রাজিল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের খেলোয়াড় ও কোচদের নামের তালিকা


 আগামী ১২ জুন ব্রাজিলে শুরু হবে ২০তম ফিফা বিশ্বকাপ। আটটি গ্রুপে মোট ৩২টি দল অংশ গ্রহণ করবে । অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের খেলোয়াড় (বন্ধনীর মধ্যে খেলোয়াড়দের জার্সি নাম্বার) ও কোচদের নামের তালিকা দেওয়া হলো।
গ্রুপ ‘এ’
ব্রাজিল
দল :

গোলরক্ষক : হুলিও সিজার (১২), জেফাসন (১), ভিক্টর (২২)।
ডিফেন্ডার্স : মার্সেলো (৬), দানি আলভেজ (২), মাইকন (২৩), ম্যাক্সওয়েল (১৪), থিয়াগো সিলভা (৩), ডেভিড লুইজ (৪), দন্তে (১৩), হেনরিক (১৫)।
মিডফিল্ডার : পলিনহো (৮), রামিরেজ (১৬), উইলিয়ান (১৯), অস্কার (১১), হার্নানেস (১৮), লুইজ গুস্তাভো (১৭), ফার্নানদিনহো (৫)।
ফরোয়ার্ড : বার্নার্ড (২০), নেইমার (১০), ফ্রেড (৯), জো (২১), হাল্ক (৭)।
কোচ : লুইজ ফেলিপ স্কলারি (ব্রাজিল)।

মেক্সিকো
দল :

গোলরক্ষক : গুইলার্মো ওচোয়া (১৩), হোসে করোনা (১), আলফ্রেডো তালাভেরা (১২)।
ডিফেন্ডার : পল আগুইলার (২২), মিগুয়েল লিয়ান (৭), ফ্রান্সিস্কো রড্রিগুয়েজ (২), হেক্টর মরেনো (১৫), দিয়াগো রেইস (৫), কার্লোস সালসিদো (৩), রাফায়েল মার্কুয়েজ (৪), মিগুয়েল পঞ্চ (১৬) আন্দ্রেস গুয়ারদাদো (১৮)।
মিডফিল্ডার : মার্কো ফ্যাবিয়ান (৮), কার্লোস পেনা (২১), হোসে হুয়ান ভাজকুয়েজ (২৩), হেক্টর হেরেরা (৬), ইসাক ব্রিজুয়েলা (১৭), জাভিয়ার একুইনো (২০)।
ফরোয়ার্ড : রাউল জিমেনেজ (৯), জাভিয়ার হার্নান্দেজ (১৪), ওরিবে পেরালটা (১৯), অ্যালান পুলিডো (১১), জিওভানি ডস স্যান্টোস (১০)।
কোচ : হেরেরা মিগুয়েল (মেক্সিকো)।

ক্রোয়েশিয়া
দল :

গোল রক্ষক : স্টিপ পেলেতিকোসা (১), ড্যানিয়েল সুবাসিচ (২৩) অলিবার জেলেনিকা (১২)।
ডিফেন্ডার : দারিজো সরনা (১১), দোমাগোজ ভিদা (২১), সিমে ভরসালকো (২), দানিজেল পরানজিচ (৩), ভেডরান করলুকা (৫), দিজেন লভরেন (৬), গর্ডন সচিনডেলফেল্ড (১৩)।
মিডফিল্ডার : লুকা মড্রিচ (১০), ইভান রাকিটিক (৭), মাটেও কোভাচিচ (২০), মার্সেলো ব্রোজোবিচ (১৪), অগনিজেন ভুকোজেভিচ (৮), ইভান মসিনিচ (১৫), সামির (১৯), ইভান প্যারিসিচ (৪)।
ফরোয়ার্ড : ম্যারিও মানজুকিচ (১৭), নিকিচা জেলাভিচ (৯), ইভিচা অলিচ (১৮), ইডুরাডো দ্য সিলবা (২২), ও আনটে রেবিচ (১৬)।
কোচ : কোভাক নিকো ( ক্রোয়েশিয়া)।
ক্যামেরুন
দল :

গোলরক্ষক : চার্লস ইতান্দেই (১৬), স্যামি এন’ডিয়ক (২৩), লুক ফিউদিউ (১)।
ডিফেন্ডার্স : এল্যান নিয়ম (২২), সেডরিক দিয়েউগু (৪), ড্যানি নুনকেউ (৫), অরেলিয়েন চেদিউ (১৪), নিকোলাস এনকুলু (৩), হেনরি বেডিমো (১২), বেনন্ট আসু-একোটো (২)।
মিডফিল্ড : এনো ইয়ং (১৮), জিন এল মাকুন (১১), জোয়েল ম্যাটিপ (২১), স্টেফানে মাবিয়া (১৭), ল্যান্ড্রি ্এনগুয়েনো (৭), আলেক্সান্দ্রে সং (৬), এডগার সলি (২০)।
ফরোয়ার্ড : স্যামুয়েল ইতো (৯), এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মটিং (১৩), বেঞ্জামিন মুকান্ডিও (৮), ভিন্সেন্ট আবুবকর (১০), পিয়েরে আচিলি ওয়েবো (১৫), ফ্যাব্রিচ ওলিঙ্গা (১৯)।
কোচ : ফিনেক ভলকার (জার্মানি)।
গ্রুপ ‘বি’
স্পেন দল :
গোলরক্ষক : ইকার ক্যাসিয়াস (১), পেপে রেইনা (২৩), ডেভিড ডি গেয়া (১২)।
ডিফেন্ডার্স : সার্জিও রামোস (১৫), গেরার্ড পিকে (৩), রাউল আলবিওল (২), জাভি মার্টিনেজ (৪), হুয়ানফ্রান (৫), জর্ডি আলবা (১৮), চেজার আজপিলিকুয়েটা (২২)।
মিডফিল্ডার্স : জাভি হার্নান্দেজ (৮), জাভি আলনসো (১৪), আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (৬), কোক (১৭), সার্জিও বসকুয়েটস (১৬), সান্তি কাজরলা (২০), চেজে ফ্যাব্রেগাজ (১০), হুয়ান মাতা (১৩), ডেভিড সিলভা (২১)।
ফরোয়ার্ডস : পেড্রো (১১), দিয়েগো কস্তা (১৯), ডেভিড ভিয়া (৭), ফার্নান্দো তোরেজ (৯)।
কোচ : ভিসেন্তে দেল বস্ক (স্পেন)
চিলি
দল
:
গোলরক্ষক : ক্লাদিও ব্রাভো (১), জনি হেরেরা (২৩), ক্রিস্টোফার তোসেলি (১২)।
ডিফেন্ডার্স : গ্যারি মেডেল (১৭), হোসে রোয়াস (১৩), ইউজেনিও মেনা (২), গনজালো জারা (১৮), মিকো আলবোরনোজ (৩), মরিচিও ইসলা (৪)।
মিডফিল্ডার্স : আরতুরো ভিদাল (৮), মার্সেলো ডিয়াজ (২১), ফ্রান্সিসকো সিলভা (৫), ফেলিপ গুটিয়েরেজ (১৬), হোসে ফুয়েল জালিডা (১৯), কার্লোস কারমনা (৬), জিন বিউসেজিউর (১৫), চার্লস আরাঙ্গুইজ (২০), জর্জ ভালদিভিয়া (১০)।
ফরোয়ার্ড : আলেক্সিজ সানচেজ (৭), এডুয়ার্ডো ভারগাস (১১), মরিসিও পিনিলা (৯), এস্তাবেন প্যারেডস (২২), ফ্যাবিয়ান ওরেলানা (১৪)।
কোচ : স্যামপাওলি জর্জ (আর্জেন্টিনা)।
অস্ট্রেলিয়া
দল :

গোলরক্ষক : ম্যাথু রায়ান (১), মিচেল ল্যাঞ্জেরাক (১২), ইউগেনে গালেকোভিচ (১৮)।
ডিফেন্ডার্স : ইভান ফ্রাঞ্জিচ (২), জেসন ডেভিডসন (৩), ম্যাথু স্পিরানোভিচ (৬), বেইলি রাইট (৮), অ্যালেক্স উইলকিনসন (২২), রায়ান ম্যাকগোয়ান (১৯)।
মিডফিল্ড : মিল জেডিনাক (১৫), মার্ক মিলিগান (৫), জেমস হল্যান্ড (১৬), মাসিমো লুঙ্গো (২১), ওলিভার বোয়ানিক (১৩), ম্যাট ম্যাককে (১৭), মার্ক ব্রেসিয়ানো (২৩), টমি ওয়ার (১১), জেমস ট্রয়সি (১৪), ড্যারিও ভিডোসিচ (২০)।
ফরোয়ার্ড : টিম চাহিল (৪), বেন হ্যালোরান (১০), এডাম টাগার্ট (৯), ম্যাথু লেকি (৭)।
কোচ : পোস্টেকোগ্লু (অস্ট্রেলিয়া)
হল্যান্ড (নেদারল্যান্ডস)
দল :

গোল রক্ষক : জেসপার সিলেসেন (১), মাইকেল ভরম (২২) ও টিম ক্রুল (২৩)।
ডিফেন্ডার : পল ভারহেগ (১২), ড্যারিল জানমাট (৭), জুয়েল ভেল্টম্যান (১৩), স্টেফেন ডি ভরিজ (৩), রন ভলার (২), ব্র“নো মার্টিন্স ইন্ডি (৪), টেরেন্সে কনগোলো (১৪) ও ড্যালে বি¬ন্ড (৫)।
মিডফিল্ডার : লেরয় ফের (১৮), নাইজেল ডি জং (৬), জর্ডি ক্ল্যাসি (১৬), জোনাথন ডি গুজম্যান (৮), জেওরজিনিও উইজনালডাম (২০) ও ওয়েসলি স্নেইডার (১০)।
ফরোয়ার্ড : অ্যারিয়েন রোবেন (১১), রবিন ভ্যান পর্সি (৯), ক্লাস জ্যান হান্টেলার (১৯), ডির্ক কুয়েট (১৫), জেরেম্যাইন লেনস (১৭) ও মেমফিস (২১) ।
কোচ : লুইস ভ্যান গাল (নেদারল্যান্ডস)
গ্রুপ ‘সি’
কলম্বিয়া
দল :

গোলরক্ষক : ডেভিড ওসপিনা (১), ফারিদ মন্ড্রাগন (২২), ক্যামিলো ভার্গাস (১২)।
ডিফেন্ডার্স : পাবলো আরমেরো (৭), হুয়ান জুনিগা (১৮), ক্রিস্টিয়ান জাপাটা (২), এডার আলভারেজ বালান্টা (১৬), মারিও আলবার্তো ইয়েপেস (৩), কার্লোস ভালদেস (২৩), সান্তিয়াগো আরিয়াস (৪)।
মিডফিল্ডার্স : আবেল আগুইলার (৮), ফ্রেডি গুয়ারিন (১৩), হুয়ান গুইলার্মো কুয়াড্রাডো (১১), জেমস রড্রিগুয়েজ (১০), আলডো লিয়াও রামিরেজ (৫), কার্লোস স্যানচেজ (৬), আলেকজান্ডার মেইয়া (১৫), হুয়ান ফার্নান্দো কুইন্টেরো (২০)।
ফরোয়ার্ডস : জ্যাকসন মার্টিনেজ (২১), কার্লোস বাক্কা (১৭), টিওফিলো গুটিয়েরেজ (৯), আদ্রিয়ান রামোস (১৯) , ভিক্টর ইব্রাবো (১৪)।
কোচ : পেকারমেন্ট (আর্জেন্টিনা)।
গ্রিস
দল :

গোলরক্ষক : ওরেসটিস কার্নেজিস (১), পানাগিওটিস গ্লিকস (১২), স্টেফানোস ক্যাপিনো (১৩)।
ডিফেন্ডার্স : কস্তাস মানোলাস (৪), জোসে হোলেবাস (২০), সক্রেটিস পাপাসটাথোপুলোস (১৯), ভানগেলিস মোরাস (৫), গিয়র্গস তাজাভেলাস (৩), লুকাস ভিন্ট্রা (১১), ভ্যাসিলিস টোরোসিডিস (১৫)।
মিডফিল্ডার্স : আলেক্সান্ড্রোস টিজিওলিস (৬), আন্দ্রেয়াস সামারিস (২২), জোয়ানিস ম্যানিয়াটিস (২), কস্তাস কাতসুরানিস (২১), গিয়র্গস কারাগুনিস (১০), প্যানাজিওটিস টাচসিডিস (২৩), জিয়ানিস ফাটফাটিডিস (১৮), লাজারোস ক্রিস্টোডুলোপুলোন (১৬), প্যানাগিওটিস কোন (৮)।
ফরোয়ার্ডস : দিমিত্রিস সালপিঙ্গডিস (১৪), গিওর্গস সামারাস (৭), কস্তাস মিট্রোগলু (৯), ফানিস গেকাস (১৭)।
কোচ : ফার্নান্ডো সান্তোস (পর্তুগাল)।
আইভরি কোস্ট
দল :

গোলরক্ষক : বুবাকার ব্যারি (১), সেউবামান্ডে (২৩), সিলিভেইন গোবোহোউ (১৬)।
ডিফেন্ডার্স : কোলো তোরে (৪), আর্থার বোকা (৩), জিন ড্যানিয়েল আকপাআকপ্রো (৭), সের্গে অরিয়ার (১৭), ওসমান ভেরা দিরাসুবা (২), দিদিয়ার জোকোরা (৫), কনস্ট্যান্ট জাকপা (১৮), বামবা সুলাইমান (২২)।
মিডফিল্ডার্স : ইসমাইল ডায়মন্ড (১৪), ম্যাক্স অ্যালেইন গ্রাডেল (১৫), ইয়া তোরে (১৯), ইসমায়েল চেইক টিটো (৯), জিওফ্রে সেরে ডাই (২০), দিয়ার ইয়া কোনান (১৩), ম্যাথিস বলি (৬)।
ফরোয়ার্ড : দিদিয়ার দ্রগবা (১১), গারভিনহো (১০), সলোমন কালু (৮), উইলফ্রাইড বনি (১২), জিওভানি সিও (২১)।
কোচ : লামুসি সাবর্ড়ি (ফ্রান্স)।
জাপান
দল :

গোলরক্ষক : ইজি কাশিমা (১), শুসাকু নিশিকাওয়া (১২), সুইচি গোন্ডা (২৩)।
ডিফেন্ডার্স : ইয়াসুইকুই কোনো (১৫), মাশিকো ইনোহা (১৯), ইউন্তু নাগাতোমো (৫), মাসাতো মরিশিগে (৬), আতসুতো উচিদা (২), মায়া ইয়োশিদা (২২), হিরোকি সাকাই (২১), গোটোকু সাকাই (৩)।
মিডফিল্ডার্স : ইয়াসুহিতো এন্ডো (৭), মাকোতো হাসেবে (১৭), তোশিহিরো অয়োয়ামা (১৪), হোতারু ইয়ামাগুচি (১৬), কেইসুক হোন্ডা (৪), শিনজি কাগাওয়া (১০)।
ফরোয়ার্ডস : ইয়োসিতো ওকুবো (১৩), শিনজি ওকাজাকি (৯), হিরোশি কিয়োতাকে (৮), ইয়োচিরো কাকিতানি (১১), মানাবু সেইতো (২০), ইউয়া ওসাকো (১৮)।
কোচ :
গ্রুপ ‘ডি’
উরুগুয়ে
দল

গোলরক্ষক : ফার্নান্ডো মুসলেরা (১), মার্টম সিলভা (২৩), রড্রিগো মুনোজ (১২)।
ডিফেন্ডার্স : দিয়েগো লুগানো (২), দিয়েগো গডম্যান (৩), হোসে মারমা গিমেনেজ (১৩), মার্টম্যান ক্যাসেরেস (২২), ম্যাক্সিমিলানো পেরেইরা (১৬), জর্জ ফুচিল (৪), সেবাস্তিয়ান কোটস (১৯)।
মিডফিল্ডার্স : এজিডিও আলভারো রামোস (১৭), ওয়ালটার গার্গানো (৫), দিয়েগো পেরেজ (১৫), আলভারো গনজালেজ (২০), আলভারো পেরেইরা (৬), ক্রিস্টিয়ান রড্রামগুয়েজ (৭), গ্যাস্টন রামিরেজ (১৮), নিকোলাস লোডেইরো (১৪)।
ফরোয়ার্ডস : লুইজ সুয়ারেজ (৯), এডিনসন কাভানি (২১), দিয়েগো ফোরলান (১০), ক্রিস্টিয়ান স্টুয়ানি (১১), আবেল হার্নান্দেজ (৮)।
কোচ : অস্কার তাবারেজ (উরুগুয়ে)
ইংল্যান্ড
দল :

গোলরক্ষক : জো হার্ট (১), বেন ফস্টার (১৩), ফেসার ফ্রস্টার (২২)।
ডিফেন্ডার্স : লেইটন বেইনস (৩), গ্যারি চাহিল (৫), ফিল জাগিয়েলকা (৬), গ্লেন জনসন (২), ফিল জোন্স (১৬), লুক শা (২৩), ক্রিস স্মালিং (১২)।
মিডফিল্ডার্স : রস বার্কলি (২১), স্টেভেন গেরার্ড (৪), জর্ডান হেন্ডারসন (১৪), এডাম ললনা (২০), ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড (৮), অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিন (১৫), রাহিম স্টালিং (১৯), জ্যাক উইলশায়ার (৭), জেমস মিলনে (১৭)।
ফরোয়ার্ডস : রিকি ল্যাম্বার্টস (১৮), ওয়েইন রুনি (১০), ড্যানিয়েল স্টুরিজ (৯), ড্যানিয়েল উইলবেক (১১)।
কোচ : রয় হডসন (ইংল্যান্ড)।
কোস্টারিকা
দল :

গোলরক্ষক : কেইলর নাভাস (১), প্যাট্রিক পেমবারটন (১৮), ড্যানিয়েল ক্যাম্ব্রোনেরো (২৩),
ডিফেন্ডার্স : গিয়ানকার্লো গনজালেজ (৩), জনি অ্যাকস্টা (২), মাইকেল উমানা (৪), রয় মিলার (১৯), ক্রিস্টিয়ান গামবোয়া (১৬), অস্কার ডুয়ার্ট (৬), হেইনার মোরা (৮), জুনিয়র দিয়াজ (১৫), ওয়েলন ফ্রান্সিস (১২)।
মিডফিল্ডার্স : ইয়েলেতসিন তেজেদা (১৭), চেলসো বোরগেস (৫), মিউগেল কুবেরো (২২), মাইকেল ব্যারান্টেস (১১), এস্তেবান গ্রানাডোস (১৩), ক্রিস্টিয়ান বোলানস (৭), দিয়েগো চালভো (২০)।
ফরোয়ার্ডস : মার্কো উরেনা (২১), র‌্যান্ডাল ব্রেনেস (১৪), রায়ান রুইজ (১০), জোয়েল ক্যাম্পবেল (৯)।
কোচ : পিন্টো জর্জ লুইস (কলম্বিয়া)।
ইতালি
দল :

গোলরক্ষক : গিয়ালুইজি বুফন (১), সালভাতোরে সিরিগু (১২), মাতিয়া পেরিন (১৩)।
ডিফেন্ডার : ইগনাজিও আবাতে (৭), আন্দ্রে বারজাগলি (১৫), লিওনার্দো বনুচ্চি (১৯), গিওর্গিও চিয়েলিনি (৩), মাত্তেও ডারমিয়ান (৪), মাতিয়া ডি সিগলিও (২), গ্যাব্রিয়েল পালেত্তা (২০)।
মিডফিল্ডার : আলবার্তো অ্যাকুইলানি (১৪), এন্টোনিও কানড্রেভা (৬), ড্যানিয়েল ডি রোসি (১৬), ক্লডিও মারসিজিও (৮), থিয়াগো মোতা (৫), মার্কো পারোলো (১৮), আন্দ্রে পিরলো (২১), মার্কো ভেরাত্তি (২৩)।
ফরোয়ার্ড : মারিও বালোতেল্লি (৯), এন্টোনিও কাসানো (১০), আলেসিও সেরসি (১১), সিরো ইমোবিলে (১৭), লোরেনজো ইনসিগনে (২২)।
কোচ : চেজার প্রানদেল্লি (ইতালি)।
গ্রুপ ‘ই’
সুইজারল্যান্ড
দল :

গোলরক্ষক : দিয়েগো বেনাগলিও (১), রোমান বুয়ের্কি (২১), ইয়ান সামার (১২)।
ডিফেন্ডার্স : জোহান দিউরু (২০), মাইকেল ল্যাং (৬), স্টেফান লিচটেইনার (২), রিকার্ডো রড্রিগুয়েজ (১৩), ফ্যাবিয়ান শায়ের (২২), ফিলিপ সেন্ডেরস (৪), স্টিভ ভন বারজেন (৫), রেটো জেগলার (৩)।
মিডফিল্ডার্স : ট্রানকুইলো বারনেতা (৭), ভ্যালন বেহরামি (১১), ব্লেরিম ডিমেইল (১৫), জেলসন ফার্নান্দেস (১৬), জোয়েখান ইনলার (৮), জেরডান শাকিরি (২৩), ভ্যালেন্টিন স্টকার (১৪)।
ফরোয়ার্ডস : জোসিপ ডারমিক (১৯), মারিও গাবরানোভিচ (১৭), অ্যাডমির মেহমেদি (১৮), হ্যারিস সেফেরোভিচ (৯), গ্রানিট ঝাকা (১০)।
কোচ : ওটমার হিটজফ্লেড (জার্মানী)।
ইকুয়েডর
দল :

গোলরক্ষক : ম্যাক্সিমো ব্যাঙ্গুয়েরা (১), আদ্রিয়ান বোন (১২), আলেক্সান্ডার ডোমিনগুয়েজ (২২)।
ডিফেন্ডার্স : ফ্রিকসন এরাজো (৩), জর্জ গুয়াগুয়া (২), অসকার বেগুই (১৮), গাব্রিয়েল আচিলিয়ার (২১), হুয়ান কার্লোস প্যারেডস (৪), অ্যালেক্স ইবারা (৫)।
মিডফিল্ডার্স : সেগুন্ডো ক্যাসিলিও (১৪), কার্লোস গুয়েজো (২৩), ক্রিস্টিয়ান নবোয়া (৬), লুইস সারিতামা (১৯), এন্টোনিও ভ্যালেন্সিয়া (১৬), এডিসন মেন্ডেজ (৮), ফিডেল মার্টিনেজ (২০), জেফারসন মন্টেরো (৭), ওয়াল্টার আইওভি (১০), মাইকেল আরোইয়ো (১৫)।
ফরোয়ার্ডস : জোয়াও রোজাস (৯), ফেলিপ কেইসেডো (১১), জামি আইওভি (১৭), ইনার ভ্যালেন্সিয়া (১৩)।
কোচ : রুয়েডা রেইনালডো (কলম্বিয়া)।
ফ্রান্স
দল :

গোলরক্ষক : হুগো লোরিস (১), স্টিফেন রাফিয়ার (১৬), মাইকেল লানড্রেও (২৩)।
ডিফেন্ডার : ম্যাথিউ ডেবাচি (২), লুকাস দিগনে (১৭), প্যাট্রিস ইভরা (৩), লরেন্ট কোসিনলে (২১), এলিয়াকুইম মানগালা (১৩), বাকালে সাগনা (১৫), মামাডু সাকো (৫), রাফায়েল ভারানে (৪)।
মিডফিল্ডার : ইয়োহান কাবায়ে (৬), ক্লেমেন্ট গ্রেনিয়ার (২২), ব্লেইসে মাটুইদি (১৪), রিও মায়ুবা (১২), পল পোগবা (১৯), মোসা সিসোকো (১৮), ম্যাথিউ ভালবুয়েনা (৮)।
ফরোয়ার্ড : করিম বেনজেমা (১০), অলিভার গিরাড (৯), এন্টোনিও গ্রিয়েজমান (১১), লুইস রেমি (২০), ফ্র্যাংক রিবেরি (৭)।
কোচ : দিদিয়ার দেশ্যাম (ফ্রান্স)।
হন্ডুরাস
দল :

গোলরক্ষক : নোয়েল ভ্যালাডারেস (১৮), ডোনিস এস্কোবার (২২), লুইস লোপেজ (১)।
ডিফেন্ডার্স : এডার ডেলগাডো (১২), মেনর ফিগুয়েরাও (৩), ভিক্টর বার্নাডেজ (৫), এমিলো ইজাগুইরে (৭), ওসমান চাভেজ (২), হুয়ান কারের্লাস গার্সিয়া (৬), ব্রায়ান বেকেলেস (২১), হুয়ান পাবলো মন্টেস (৪)।
মিডফিল্ডার্স : বনিয়েক গার্সিয়া (১৪), এন্ডি নায়ার (১৭), রজার এসপিনোজা (১৫), উইলসন প্যালাসিওস (৮), লুইস গ্যারিডো (১৯), মারিও মার্টিনেজ (২৩), মার্ভিন চাভেজ (১০), জর্জ কালোর্স (২০)।
ফরোয়ার্ডস : জেরি বেঙ্গস্টন (১১), জেরি প্যালাসিওস (৯), কার্লো কস্টলি (১৩), রনি মার্টিনেজ (১৬)।
কোচ : লুইস সোয়ারেজ (কলাম্বিয়া)।
গ্রুপ ‘এফ’
আর্জেন্টিনা
দল :

গোলরক্ষক : মারিয়ানো আন্দজার (২১), আগাস্টম ওরিয়ন (১২), সার্জিও রোমেরো (১)।
ডিফেন্ডার : হোসে বসন্ত (২৩), মার্টিন ডেমিচেলিস (১৫), এজেকুয়েল গ্যারি (২), মার্কোস রোয়ো (১৬), পাবলো জাবালেটা (৪), হুগো ক্যাম্পাগনারো (৩), ফ্রেডেরিকো ফার্নান্দেজ (১৭)
মিডফিল্ডার : রিকার্ডো অ্যালভারেজ (১৯), লুকাস বিগলিয়া (৬), অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (৭), আগুস্টো ফার্নান্দেজ (১৩), ফার্নান্দো গ্যাগো (৫), জাভিয়ার মাশচেরানো (১৪), এনজো পেরেজ (৮), ম্যাক্সি রড্রিগুয়েজ (১১)।
ফরোয়ার্ড : সার্জিও এগুয়েরো (২০), গঞ্জালো হিগুয়েন (৯), এজেকুইয়েল ল্যাভেজ্জি (২২), লিওনেল মেসি (১০), রড্রিগো প্যালাসিও (১৮)।
বসনিয়া
দল :

গোলরক্ষক : আসমির বেগোভিচ (১), জেসমিন ফেজিচ (১২), আসমির আবদুকিচ (২২)।
ডিফেন্ডার্স : এমির স্পাহিচ (৪), টনি সানজিচ (১৫), সিয়াদ কোলাসিনাচ (৫), ওগ্নিয়েন ভার্নিয়েস (৬), এমিন বিকাকচিচ (৩)।
মিডফিল্ডার্স : মিরালেম পিয়ানিচ (৮), লাজেট হাজরোভিচ (২০), মেনসুর মুজদাজা (১৩), হ্যারিস মেদুনজানিন (১৮), সেনাড লুসিচ (১৬), আনেল হাডজিচ (২১), টিনো সুজিচ (১৪), সেজাদ সালিহোভিচ (২৩), জেভেজদান মিসিমোভিচ (১০), সেনিজাদ ইব্রিচিচ (১৭), এডভিজা ভার্সজেভিচ (২) মুহাম্মদ বেসিচ (৭)।
ফরোয়ার্ডস : ভেডাড ইবিসেভিচ (৯), এডিন জেকো (১১), এডিন ভিসচা (১৯)।
কোচ : সুচিজ সাফেত (বাহরাইন)
ইরান
দল :

গোলরক্ষক : দানিয়েল দাভারি (২২), রহমান আহমাদি (১), আলিরেজা হকিকি (১২)।
ডিফেন্ডার্স : হোসেইন মাহিনি (১৩), জালাল হোসেইনি (৪), আমির হোসেন সাদেকি (৫), হাশেম বেকজাদেহ (১৯), মেরদাদ পুলাদি (২৩), আহমেদ আলেনেমেহ (১৭), পেজমান মন্তাজেরি (১৫), স্টেভেন বেইতাসুর (২০), মোহাম্মদ রেজা খানজাদেহ।
মিডফিল্ডার্স : রেজা হাগিগি (৮), আন্দ্রানিক তেইমুরিয়ান (১৪), ঘাশেম হাদাদিফার (১১), বখতিয়ার রাহমানি (১৮), জাভেদ নেকুনাম (৬), এহসান হাজিসাফি (৩)।
ফরোয়ার্ড : খসরু হেইদারি (২), করিম আনসারিফার্দ (১০), রেজা গুচানেজহাদ (১৬) আলিরেজা জাহানবক্স (৯), মাসুদ সোজাই (৭), আশখান দেজাগহ (২১)।
কোচ : কার্লোস কুইরোজ (পর্তুগাল)।
নাইজেরিয়া
দল :

গোলরক্ষক : ভিনসেন্ট এনিয়ামা (১), সিগোজিয়ে আজবিম (২১) ও অস্ট্রিন এজিদে (১৬)।
ডিফেন্ডার : এলডারসন এচিয়েজিলে (৩), ইফে অ্যামব্রোস (৫), গডফেরি ওবুয়াবুনা (১৪), আজুবুইকে এগুয়েকভি (৬), ক্যানেথ ওমেরুও (২২), জুয়োন ওসানিভা (১৩), জোসেফ ইয়বো (২) ও কুনলে ওদুনলামি (১২)।
মিডফিল্ডার : জন মাইকেল ওবি (১০), ওগেনিয়ি ওনাজি (১৭), গ্যাব্রিয়েল রিয়াবেন (৪), মিশেল ওসেবো (২০) ও র‌্যামন আজিজ (১৫)।
ফরোয়ার্ড : আহমেদ মুসা (৭), শলা আমেওবি (২৩), ভিক্টর মসেস (১১), ইমান্যুয়েল এমিনিক (৯), পিটার ওদেমভিনজি (৮), উচে নওফর (১৯) ও ব্যাবাটুনডে মাইকেল (১৮)।
কোচ : স্টেফেন কেশি (নাইজেরিয়া)
গ্রুপ ‘জি’
জার্মানি
দল :

গোলরক্ষক : ম্যানুয়েল ন্যুয়ার (১), রোমান ওয়েইডেন ফেলার (২২). রন রবার্ট জিলার (১২)।
ডিফেন্ডার্স : জেরোমে বোয়াটেং (২০), এরিক ডার্ম (১৫), কেভিন গ্রসকেরুয়েটস (২), বেনেডিক্ট হোয়েডেস (৪), ম্যাটস হুমেলস (৫), পার মারতেসকার (১৭), ম্যাথিয়াস গিনটার (৩)।
মিডফিল্ডার্স : জুলিয়ান ড্রাক্সলার (১৪), মারিও গোটশে (১৯), ক্রিস্টোফ ক্রামের (২৩), সামি খেদিরা (৬), টনি ক্রুস (১৮), মেসুত ওজিল (৮), মার্কো রিউস (২১), আন্দ্রে চুরলে (৯), বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগার (৭), ফিলিপ লাম (১৬)।
ফরোয়ার্ডস : মিরোস্লাভ ক্লোসা (১১), থমাস মুলার (১৩), লুকাস পোডোলস্কি (১০)।
কোচ : জোয়াচিম লো (জার্মানি)
ঘানা
দল :

গোলরক্ষক : এডাম লারসেন কাওয়াসে (১২), ফাতাউ ডুডা (১৬), স্টেফেন এডামস (১)।
ডিফেন্ডার্স : স্যামুয়েল ইনকুম (২), ড্যানিয়েল অপারে (৪), হ্যারিসন আফুল (২৩), জন বয় (২১), জসাথস মেনশা (১৯), রশিদ সুমাইলা (১৫)।
মিডফিল্ডার্স : মাইকেল এসিন (৫), সুলে আলি মুনতারি (১১), রবিউ মোহাম্মদ (১৭), কুয়াডু আসামোয়া (২০), ইমানুয়েল এজিম্যাং বাদু (৮), আফ্রিই অ্যাকুয়া (৬), আন্ড্রে আইউ (১০), মুবারক ওয়াকাসো (২২), ক্রিস্টিয়ান আতসু তোয়াসাম (৭), আলবার্ট আদমোয়া (১৪)।
ফরোয়ার্ডস : আসামোয় গায়ান (৩), কেভিন প্রিন্স বোয়াটেং (৯), আব্দুল মজিদ ওয়ারিস (১৮), জর্ডান আইউ (১৩)।
কোচ : আপিয়াহ (ঘানা)।
পর্তুগাল
দল :

গোলরক্ষক : রুই প্যাট্রিসিও (১২), বেটো (২২), এডুয়ার্ডো (১)।
ডিফেন্ডার্স : আন্দ্রে আলমেইদা (১৯), ব্রুনো আলভেস (২), ফ্যানিও কোয়েন্ট্রাও (৫), হোয়াও পেরেইরা (২১), নেটো (১৪), পেপে (৩), রিকার্ডো কস্তা (১৩)।
মিডফিল্ডার্স : জোয়াও মুতিনহো (৮), মিগুয়েল ভেলোসো (৪), রাউল মিরেলেস (১৬), রুবেন আমোরিম (২০), উইলিয়াম কারভালহো (৬)।
ফরোয়ার্ডস : ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো (৭), এডার (১১), হেলডার পস্টিগা (২৩), হুগো আলমেইদা (৯), নানি (১৭), রাফা (১৫), সিলভেস্টার ভারেলা (১৮), ভিয়েরিনহা (১০) ।
কোচ : বেনেটো পাওলো (পর্তুগাল)
যুক্তরাষ্ট্র
দল :

গোলরক্ষক : ব্রাড গুজান (১২), টি হাওয়ার্ড (১) ও নিক রিমান্ডো (২২)।
ডিফেন্ডার : ডামার্কাস বিসলি (৭), ম্যাট বেসলার (৫), জন ব্রুকস (৬), জিওফ ক্যামেরন (২০), টিমি চান্ডলার (২১), ওমর গঞ্জালেজ (৩), ফ্যাবিয়ান জনসন (২৩) ও ডিআন্দ্রে ইয়াডলিন (২)।
মিডফিলডার : কাইল বেকারম্যান (১৫), আ্যালেজান্দ্রো বিদয়া (১১), মাইকেল ব্রাডলি (৪), ব্রাড ডেভিস (১৪), মিক্স ডিসকেকেরুদ (১০), জুলিয়ান গ্রীন (১৬), জারমেইন জোন্স (১৩) ও গ্রাহাম জুসি (১৯)।
ফরোয়ার্ড : যজি আলটিডোর (১৭), ক্লিন্ট দেম্পশে (৮), অ্যারন জোহানসন (৯) ও ক্রিস অন্ডোলস্কি (১৮)।
কোচ : ক্লিন্সম্যান জার্গেন (জার্মানী)
বাসস/এমএসএইচ/১৬৪৫/মোজা/স্বব
গ্রপ ‘এইচ’
বেলজিয়াম
দল :

গোলরক্ষক : থিবাউত কুরটয়েস (১), সিমন মিগনোলেট (১২), স্যামি বসুত (১৩)।
ডিফেন্ডার্স : টবি আল্ডারউইরলেড (২), অ্যান্থনি ভ্যান্ডেন বোরে (২১), ড্যানিয়েল ভ্যান বাইটেন (১৫), ভিন্সেন্ট কোম্পানি (৪), ইয়ান ভারটনগেন (৫), টমাস ভারমালেন (৩), নিকোলাস লম্বার্টস (১৮), লরেন্ত সিম্যান (২৩)।
মিডফিল্ডার্স : অ্যাক্সেল উইটসেল (৬), ম্যারুয়েন ফেলাইনি (৮), স্টেভেন ডিফোর (১৬), মুসা ডেম্বেলে (১৯), নেসার চাদি (২২), কেভিন ডি ব্রাইন (৭), এডেন হ্যাজার্ড (১০), দ্রিস মার্টেনস (১৪), আদান জানুজাই (২০)।
ফরোয়ার্ডস : রোমেলু লুকাকু (৯), ভিক ওরিজি (১৭), কেভিন মিরালাস (১১)।
কোচ : উইলমটস মার্চ (বেলজিয়াম)।
আলজেরিয়া
দল :

গোলরক্ষক : রাইস মা’বোলহি (২৩), মোহাম্মদ জেমামুচে (১৬), সেডরিক মোহাম্মদ (১)।
ডিফেন্ডার্স : এসাইদ বেলকালেম (৪), মজিদ বুঘেরা (২), লিয়াসিন কাডামুরো (১৭), ফৌজি গুলাম (৩), রফিক হালিচ (৫), আইসা মান্ডি (২০), কার্ল মেদিয়ানি (১২), জামল মেসবাহ (৬)।
মিডফিল্ডার্স : নাবিল বেনতালেব (১৪), ইয়াসিন ব্রাহিমি (১১), সাফির তাইদার (১৯), হাসান ইয়েবদা (৭), মেদি লাচেন (৮), মেহদি মোস্তেফা (২২)।
ফরোয়ার্ডস : আব্দেলমুমেন দিয়াবু (১৮), সোফিনে ফেঘুলি (১০), রিয়াদ মাহরেজ (২১), ইসলাম স্লিমানি (১৩), হিলাল সৌদানি (১৫), নাবল ঘিলাস (৯)।
কোচ : হালি হদিস বাহিত (বাহরাইন)
রাশিয়া
দল :

গোলরক্ষক : ইগর আকিনফিব (১), ইউরি লডিজিন (১২), সার্গেই রিজিকভ (১৬)।
ডিফেন্ডার্স : ভাসিলি বেরেজুটস্কি (১৪), সার্গেই ইগনাসেভিচ (৪), গিওর্গি চেনেনিকভ (৩), ভ­াদিমির গ্রানাট (১৩), আলেক্সি কজলভ (২), আন্দ্রেই ইয়েসচেনকো (২২), দিমিত্রি কমবারভ (২৩), আন্দ্রেই সেমেনভ (৫)।
মিডফিল্ডার্স : ইগর ডেনিসভ (৭), ইউরি ঝিরকভ (১৮), এলান দাজাগোয়েভ (১০), রোমান শিরকভ (১৫), ডেনিস গ্লুসাকভ (৮), ভিক্টর ফাইজুলিন (২০), ওলেগ শাটভ (১৭)।
ফরোয়ার্ডস : আলেক্সান্ডার কারঝাকভ (১১), আলেক্সি ইয়োনভ (২১), আলেক্সান্ডার কোকোরিন (৯), ম্যাক্সিম কানুনিকভ (৬), আলেক্সান্ডর সামেডভ (১৯)।
কোচ : ফ্যাবিও ক্যাপেলো (ইতালি)
দক্ষিণ কোরিয়া
দল :

গোলরক্ষক : জুং সুং-রিয়ং (১), কিম সং-জিউ (২১), লি বাম-ইয়ং (২৩)।
ডিফেন্ডার্স : হং জেয়ং-হো (২০), হুয়াংসেয়ক-হো (৬), কিম চ্যাং-সু (২), পার্ক জু-হো (২২), কিম ইয়ং-গন (৫), ইউন সুকিয়ং (৩), কাওয়াক তায়ে হু (৪), লি ইয়ং (১২)।
মিডফিল্ডার্স : হা ডে-সুং (৮), হ্যান কুক-ইয়ং (১৪), ডং ওন (১৯), কি সুং-ইউয়েং (১৬), কিম বো-কিউং (৭), লিচুং-ইয়ং (১৭), পার্ক জং-ঊ (১৫), সন হিউং-মিন (৯)।
ফরোয়ার্ডস : কিম সিন-উক (১৮), কু জা-চেওল (১৩), লি কিউন-হো (১১), পার্ক চু ইয়ং (১০)।
কোচ : হং মিউংবো (কোরিয়া)

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১৯] :: ভালো বা মন্দা অর্থনীতিতে ফরেক্স কারেন্সি ভেলুর মূল্যমান কতুটুকু !

সাধারনভাবে আমরা জানি যে অর্থনীতির চাকার সাথে টাকার ভেলুর একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। যখন অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয় তখন একটি প্রতিষ্ঠান লাভ করে সাথে সাথে উন্নতি হয় ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের। ফরেক্স ট্রেডাররা এই ধরনের কিছু অর্থনৈতিক অবস্থার উপর তাদের ট্রেডকে সাজিয়ে সুন্দর প্রফিটেবল ট্রেড করে থাকে। ইন্টারেস্ট রেইট বাড়ার বা কমার সাথে সাথে ঐ কারেন্সির ও পরিবর্তন হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন কারেন্সির ইন্টারেস্ট রেইট এর উঠানামার সাথে সাথে ঐ কারেন্সির ভেলু ও পরিবর্তন করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি হলে consumer price index (CPI) এবং  producers price index (PPI) এর মাধ্যমে কারেন্সি ইন্টারেস্ট রেইট বাড়িয়ে থাকে।
মুদ্রাস্ফীতি হলে কি হয়?

অর্থনীতি যত শক্ত হবে কর্মচারীদের ডিমান্ড তত হাই হবে। তাদের ডিমান্ড যত বেড়ে যাবে মজুরীও তত বেড়ে যাবে। মজুরী বেড়ে গেলে সাথে সাথে খরচ ও বেড়ে যায় ফলে ভিবিন্ন পন্যর বিক্রয় ও বেড়ে যায় এবং ঐ পণ্যটির দাম ও বেড়ে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো (CPI) এবং  (PPI) এর উপর ভিত্তি করে তাদের ডিসিশন তৈরি করে আর (CPI) এবং  (PPI) এর জন্য তারা মুল চারটি ইন্ডিকেটর নিউজ কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই জেনে নেই কিভাবে একটি কারেন্সির ভেলু বাড়ে অথবা কমে এবং সেই কারেন্সিকে আপনার মূল্যয়ন কেমন হবে।
  • Gross domestic product (GDP)
  • Payroll Employment
  • Durable goods orders
  • Retail sales

Gross domestic product (GDP):

হল সমষ্টিগত অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এর বিস্তৃত পরিমাপ। অর্থাৎ একটি সময়ে সারা দেশের সার্বিক GDP বৃদ্ধিই হল অর্থনীতির মুল শক্তি। GDP একটি নির্দিষ্ট সময়ের একটি দেশের ব্যাক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা সরকারি সকল প্রকার আভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং ক্রয়ের মোট মূল্যর হার প্রকাশ করে থাকে প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর। তাই প্রতি রিপোর্টে পূর্বের ভলাটিলিটি এবং হার বছরের পর বছর পর্যালোচনা করা হয় পরিবর্তনের ট্রেন্ড বা গতি বোঝার জন্য এবং অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা বা অর্থ শক্তির মাত্রা বোঝার জন্য। ক্রমানগতিক High GDP এর ফলে ইনটারেস্ট রেইট ও বাড়তে থাকে।
Payroll Employment:

কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান ফরেক্স ট্রেডিং এর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যারা ব্যাক্তিগতভাবে ট্রেড করে। এটি একটি দেশের অর্থনীতির বিশেষ ইনডিকেটর হিসেবে কাজ করে যার প্রভাব ফরেক্স মার্কেটে খুব ভালো ভাবে দেখা জায়। এই ক্ষেত্রে Nonfarm Payroll নামক একটি নিউজ ফরেক্স মার্কেটে বেশ ভালো ইমপ্যাক্ট এনে দেয়। যা United States Bureau of Labor Statistics এর মাধ্যমে হিসাব করা হয়ে থাকে। এটি সরকারি, ব্যাক্তিগত এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এর কর্মচারী ছাড়া বাকি সব কর্মসংস্থান এর কর্মচারীদের মোট বেতনের হাররের উপর ভিত্তি করে হিসেবে করা হয়ে থাকে। প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবারে প্রকাশিত এই রিপোর্টে ঐ মাসের মোট অর্জিত আয় এবং কাজের ঘণ্টা অনুসারে সার্বিক পরিস্থিতি বোঝায় এবং প্রতি পূর্বের সূক্ষ্মতম পরিবর্তনে মার্কেট একটা ভালো ফ্লাকচুয়েশন ঘটে। এই নিউজ এর মুল যে সব কারেন্সিগুলোর ভালো পরিবর্তন হয় সেগুলো হলঃ EUR, GBP এবং JPY.
Durable goods orders:

এটি হল অর্ডার এর ভিত্তিতে মোট উৎপাদিত পণ্য। যেখানে নির্দিষ্ট মাসের মোট উৎপাদিত পণ্যর USD রেইট নির্ণয় করে ভবিষ্যৎ বাজারে এর ভেলু তথা ঐ কারেন্সির একটি অবস্থা বা কার্যকলাপ এর একটি বিশেষ নির্দেশক। এই রিপোর্টটি প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে (২৬ তারিখে) প্রকাশিত হয় এবং মোট উৎপাদিত পণ্যর হিসাব করা হয়ে থাকে যে উৎপাদনের তুলনায় এর বিক্রির হার কেমন, কিংবা যে হারে উৎপাদন হচ্ছে তা ভোক্তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম কিনা, কিংবা আদো বাজারে পণ্যর চাহিদা বেড়েছে কিনা ইত্তাদির ভিত্তিতে USD কারেন্সির একটি ভেলু কমার বা বাড়ার একটি প্রবনতা দেখা দেয় এবং শেষে যা ফরেক্স মারেক্টে USD কারেন্সি গুলোর একটি পরিবর্তন আনে। সাধারন ভাবে যদি পূর্বের তুলনায় বর্তমান অর্ডার রেইট কম থাকে তাহলে বুঝতে হয় যে ভোক্তার চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে বা পণ্যর প্রতি ভোক্তার নেগেটিভ কোন প্রভাব পড়েছে যার ভিত্তিতে US কারেন্সির সমসাময়িক পরিবর্তন আসে।
Retail sales:

US. Census Bureau and the Department of Commerce এর মাধ্যমে এই ডাটা রিপোর্টটি মাসিক ভিত্তিকে মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ হয়ে থাকে, যেখানে উল্লেখ থাকে যে বিগত মাসের মোট আনুমানিক বিক্রিত পণ্যর পরিমান কিংবা এর বাজার অবস্থা। মুলত এই ডাটাটি তৈরি করা হয়ে থাকে সকল রিটেইলারদের সার্বিক বিক্রিত পণ্যর রিসিট এর মাধ্যমে। যেখানে শুদু বিগত মাসের হিসাবি নয় বরং বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রতি মাসের মোট বিক্রির হারের একটি তুনলামুলক চার্ট বা গ্রাফ করা থাকে যা দেখে খুব ভালো ভাবেই বোঝা যায় যে আসলে বাজার এর অবস্থা কি এবং সেই অনুসারে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বিক্রি বাড়ানো কিংবা ভোক্তার চাহিদা মেটানোর। এই ডাটা রিপোর্টটি Gross domestic product (GDP) সাথে সম্পর্কিত একটি টোটাল সেলস রিপোর্ট যার প্রভাব ফরেক্স মার্কেটে খুবই পরিবর্তন সাধিত হয়। তাই ট্রেডারদের সতর্ক থাকতে হয় এই সকল ডাটা নিউজ প্রকাশের সময়। যেমন USD এর নেগেটিভ পরিবরতনের সময় কেমন মুভমেন্ট কিংবা পজেটিভ পরিবর্তনের সময় মভমেন্ট কেমন ইত্যাদি বুঝে ট্রেড চালিয়ে যেতে হয় খুব সতর্কতার সহিত।

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১৮] :: ফরেক্স মানি ম্যানেজমেন্ট – Forex Money Management

প্রথমে একটা আর্জি টেকটিউনস এর কাছে, আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন এবং উপলব্ধি করেছেন ফরেক্স ট্রেডিং বিষয়টা কতটূকু জনপ্রিয়, ইউনিক এবং ট্রাস্ট্রেট মানি ম্যাকিং ফর্মুলা সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাপকতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার প্রমান টেকটিউনসে ভিবিন্ন ফরেক্স প্রেমিদের অসংখ্য ফরেক্স ভিত্তিক টিউনস।
কিন্তু টেকটিউনসে এখনো পর্যন্ত ফরেক্স কোন বিভাগ (ক্যাটাগরি) নাই। তাই সকল ফরেক্স প্রেমীদের হয়ে টেকটিউনস এর কাছে ফরেক্স একটি ইউনিক বিভাগ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আশা করছি। আশা করি ফরেক্স প্রেমি ভায়েরা আমার সাথে একমত হয়ে, কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের আগ্রহের কথা জানাবেন।

ফরেক্স মানি ম্যানেজমেন্ট - Forex Money management

ফরেক্স মানি ম্যানেজমেন্ট বিষয়টা নিয়ে উদাসীনতা অনেকের, মানি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে কতটা সফল এবং রিস্ক ফ্রী ট্রেড করা সম্ভব তা যারা এই বিষয়টা জানি একমাত্র তারাই অনুধাবন করতে পারি। তাই আমি এইবার আলোচনা করব ফরেক্স ট্রেডের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। আমার আলোচনায় চেষ্টা করব সম্পূর্ণ বিষয়টাকে বোধগম্য এবং ব্যাবহারিক উপযোগী করে উপস্থাপন করতে, কারণ আমি সবসময় একটি সুশৃঙ্খল শিখার প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করি, আমি বিশ্বাস করি একটি সুন্দর মান সম্মত সুশৃঙ্খল শিক্ষা আপনাকে যত তাড়াতাড়ি একটি বিষয় বুঝতে সাহায্য করবে, এলোপাথাড়ি শিক্ষা আপনাকে তার চেয়ে বেশি বিরক্ত করবে এবং আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে।
তাই চেষ্টা করব বিষয়টা যতটুকু সম্ভব আমার সামান্য ফরেক্স জ্ঞানে আপনাদের সামনে সহজ করে তুলে ধরতে। কারণ পেচগোছ আমিও পছন্দ করি না, সহজ সাপটা কিছু না পেলেও আমি নিজে ও বেশিদূর যেতে পারিনা, আর এই রোগ অনেকের আছে সব মিলিয়ে শুরু করে দিতে চাই আপনাদের সার্বিক অংশগ্রহণে। বিষয়টার প্রতি অনুরাগীরা ফোরামে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার জিজ্ঞাসা গুলো ফোরামে তুলে ধরবেন তাতে করি শেখানোর উদ্ধিপনাটা বেড়ে যাবে অনেকটুকু।
প্রথম দিনের আলোচনায় ২-৩ টা পয়েন্ট এর উপর বিস্তারিত করব তারপর ধারাবাহিকভাবে আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ বিষয়টা নিয়ে এগিয়ে যাবো আপনাদের সার্বিক অংশগ্রহনে।
ফরেক্স এক্সপার্টদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি http://www.bdforexpro.com তে আপনার মূল্যবান ফরেক্স স্ট্রেটিজি শেয়ার করে অন্যদের জানার পাল্লাটা ভারি করতে এবং ফরেক্স মার্কেট থেকে ভালো একটা আরনিং করে নিজেদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন গঠাতে। আশা করছি সকল ফরেক্স প্রেমি বিডিফরেক্সপ্রো.কম এর সঙ্গী হবেন।

What is Forex money management?মানি ম্যানেজমেন্ট কি?

এক কথায় বলা যায় আপনার ফরেক্স ট্রেডের মুল ব্যাল্যান্সকে ঠিক কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় এবং কতটুকু হাতে রেখে ট্রেডের জন্য নিরাপদ ভাবে ব্যাবহার করতে পারবেন, ট্রেড নেভেটিভ হলে স্বইচ্ছায় কত লস করবেন এবং প্রফিট করলে কত প্রফিট করবেন তা ই হল মানি ম্যানেজমেন্ট বা মানি ব্যাবহার করণ পদ্ধতি। একজন ট্রেডারের সফল এবং ঝুঁকিহীন ট্রেডের জন্য মানি ম্যানেজমেন্ট অসম্ভব গুরুত্তপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের অনেকের ফরেক্স নিয়ে একটি স্বপ্ন থাকে যে আমি সারাজীবনে ফরেক্স থেকে ১ লক্ষ ডলার ইনকাম করব। যা আপনার পক্ষে এই জনমেও সম্ভব নয় আবার এটাও সত্যি যে কেউ কেউ এই জনমেই মিলিয়ন ডলার ফরেক্স থেকে নিয়ে নিচ্ছেন বেশ কয়েকবার; কিভাবে? এক লক্ষ ডলার কি একটু বেশি বলে ফেললাম ! না বস , আপনি জানেনতো এটা ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য অচিন্তনীয় কিছু নয়। আর আপনার ১ লক্ষ ডলার ইনকাম এর ব্যাবস্থাপনা আপনি মানি ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে করে নিতে পারেন অর্থাৎ মানি ম্যানেজমেন্ট জানলে আপনি ঠিক করে নিতে পারবেন আপনার ড্রিম মানি এচিভ এর জন্য আপনার মূলধন কত হতে হবে এবং আপনি তা কিভাবে ব্যাবহার করে কতদিনে আপনার স্বপ্ন সফল  করতে পারবেন। আপনার ট্রেডের বিশাল সফলতা মানি ম্যানেজমেন্টের উপর নির্ভর করে। Larry Williams $10,000 দিয়ে ট্রেড শুরু করে এক বছরে ১ মিলিয়ন ডলার এর বেশি ইনকাম করে নেয়। আশা করি এইটুকুতে আইডিয়া পেয়ে গিয়েছেন মানি ম্যানেজমেন্ট আসলে কি।

Why is Forex money management?মানি ম্যানেজমেন্ট কেন?

  • মানি ম্যানেজমেন্ট আপনার ট্রেডিং মূলধন কে একটি সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত করবে।
  • গাণিতিক সূত্রে আপনার মূলধন এর সময়ভিত্তিক রিটার্ন তৈরির ফর্মুলা দিবে।
  • আপনার ট্রেডের রিস্ক ফ্রী লাভ এবং লস রেশিও তৈরি করে দিবে।
  • প্রোপার এবং ইম্প্রোপার ট্রেডিং তৈরিতে সাহায্য করবে।
  • আপনার মূলধনের সেইফ রিটার্ন ফর্মুলা তৈরি করে দিবে।
  • একাউন্ট ফায়ারিং থেকে আপনাকে সেভ করবে।
  • লং এবং শর্ট টাইম ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন ধারনায় ট্রেড করতে সাহায্য করবে।
  • আপনি কখন থেকে এই ফর্মুলায় ট্রেড করবেন তা নিশিত করবে।
  • আপনার ফরেক্স আল্টিমেট গোল কি হতে পারে তার সঠিক ব্যবস্থাপনা দিবে।
  • মার্কেটে লং লাইভ হওয়ার মত স্টেবিলিটিতে সাহায্য করবে।
আপনারা হয়ত লক্ষ করেছেন, যে সময়ে আপনি ৫০০ ডলার মেইক করতে পারেন আরেকজন ঠিক একই সময়ে একই ডিপোজেটে তার ডাবল মেইক করতে পারে অথবা আপনি যে পরিমানে লস করেন এবং আপনার রিটার্ন এর যে হার আরেকজন তার অনেক কম হারে লস করে এবং তার রিটার্ন ও বেশি, আসলে এইসব বিষয়গুলো কারো এক্সট্রা কোন পাওয়ার নয় , পাওয়ার যদি থেকে থাকে তা হল তার জানার পরিধি ভালো, যা আপনিও করতে পারেন। তাই আপনার ট্রেডিং চালিয়ে যেতে যে যে বিষয় গুলো প্রয়োজন তা আগে ভালোভাবে ক্যাপচার করে নিন তারপর ট্রেড শুরু করুন আপনি লস করবেন না।

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১৭] :: ফরেক্স কি, শিখতে কোথায় যাব? কতদিন লাগবে? কত টাকা আয়ের গ্যারান্টি? কত ইনভেস্ট করতে হয়? ইনভেস্ট ছাড়া কি ট্রেড করা সম্ভব? প্রফেশন হিসেবে কেমন, এটা কি আউটসোর্সিং? – এই সবকিছু ট্রেডার, নন-ট্রেডার সবার জন্য।

মুল আলোচনায় যাওয়ার আগে হালকা একটু জেনে নেয় ফরেক্স কি এর কি কি সুবিধা আছে এবং প্রফেশন হিসেবে এটা কেমন হতে পারে। বিষয়টা আসলে শেয়ার করছি অনেকজানার ভেতর সামান্য অজানার তাগিতে, বেশ কদিন ধরে একটা প্রশ্ন ফেইস করছি অনেকে ফরেক্স, ফরেক্স শব্দটা শুনতে শুনতে বিরক্ত, যে ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব? অনেকে অনেক ধরনের সুবিধার কথা বলছে, কেউ কেউ বলছে ট্রেনিং করলে নিশ্চিত আয়, আবার এটাও অনেকে বলছে মাসে ৫০,০০০-৭০,০০০ টাকা সহ আনলিমিটেড আয়ের ব্যবস্থা ,আবার এমন কাউকে শো করছে যারা নাকি প্রতিমাসে ১,০০,০০০(এক লক্ষ) টাকার চেয়ে বেশী ইনকাম করে ফরেক্স ট্রেডিং এর মাধ্যমে। সব মিলিয়ে বিষয়টা অনেকের কাছে এখনো অস্পষ্ট। তাই আমার ফরেক্স ট্রেডিং এর  অভিজ্ঞতা এবং উপরোক্ত সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলোর যথাযথ সমাধানের চেষ্টায় এই অভিপ্রায়। আশা করছি আপনাদের ফরেক্স ট্রেডিং অভিজ্ঞতা ও শেয়ার করবেন। তাতে করে মিনিমাম একটা লাভ যে নতুনরা মিসগাইড হবে না।

ফরেক্স কিঃ

নতুন ভাবে মনে হয় কাউকে বোঝানোর দরকার নেই যে ফরেক্স কি তারপরও আলোচনার স্বার্থে এবং একেবারে নভিস যারা তাদেরকে বলছি; ফরেক্স হল এমন একটি ট্রেডিং মার্কেট যেখানে একটি মুদ্রার বিপরিতে আরেকটি মুদ্রা কেনাবেচা করে প্রফিট করা যায়।  আর এই মার্কেটে ট্রেডিং সুবিধাগুলোও নতুনরা একবার জেনে নিতে পারেন।

ফরেক্স শিখতে কোথায় যাব?

খুব সহজ উত্তর হল কোন ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারে চলে যান অথবা আপনার পরিচিত কেউ ফরেক্স জানলে তারকাছ থেকে যেকোনভাবে শিখতে শুরু করুন। আসুন এইবার একটু গভীরে যায়। ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে ফরেক্স শিখলে কেমন হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে মোটামুটি সব ফরেক্স ট্রেনিং সেন্টারের সাধারণ ফরেক্স ট্রেডিং এর ট্রেনিং ফি ৮,০০০-১০,০০০ টাকার মধ্যে। সময় ২-৪ সপ্তাহ। ভালো। কোন বিষয় সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হলে ট্রেনিং আর কোন বিকল্প নেই। নিজে নিজে সবাই সব কিছু পারে না। ট্রেনিং সেন্টারের এই এক মাসের ট্রেনিং এ আপনি ফরেক্স ট্রেডিং রাজ্য একটু পা দিলেন এখন বাকি কাজ আপনার, নিয়মিত অধ্যায়ন এবং চেষ্টায় আপনাকে একজন ট্রেডার রুপে গড়ে তুলতে পারে। সে জন্য দরকার লম্বা একটা সময় নিয়ে অনুশীলন শুরু করা। আর এই কাজটি করতে আপনি ট্রেনিং সেন্টারে জেতে বাধ্য নন, আপনি চাইলে নিজে নিজে বিষয়টা আয়ত্তে আনতে পারেন। তবে রেডিমেইড হলে সময়টা কম লাগে। খেয়াল করুন প্রথমত ফরেক্স কোন ডাক্তার দ্বারা বানানো কোন বড়ি নয় যে এক নিমিষে গুলিয়ে গেয়ে নিলেন অথবা এমন কোন প্যাকেজ নয় যে এক মাসের মধ্যে সব বুঝে গেলেন। ফরেক্স হল একটা “ লং টাইম লার্নিং প্রসেস ফর লাইফ টাইম এন্ড লাইভ আর্নিং ”। অল্প বিদ্যা যেমন ভয়ংকর তেমনি সামান্য কদিনের প্রচেষ্টায় বিষয়টি আয়ত্তে আনার চিন্তাও তেমনি ভয়ংকর। তাহলে আপনি

কিভাবে শুরু করবেন?

:arrow: স্টেপ ১#
আপনি প্রথমে দেশি-বিদেশি (বাংলাভাষায় ফরেক্স ট্রেনিং এর লেসন পেতে ফরেক্স ক্যাম্পাস অথবা বাংলা ভাষায় ফরেক্স শিখার সম্পূর্ণ লেসন ভিত্তিক বইটি এবং ইংরেজি লেসন এর জন্য http://www.babypips.com ) যেকোন একটা সাইট মার্ক করেন তারপর প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় বের করেন আপনার রেগুলার রুটিন থেকে তারপর একটু একটু করে স্টাডি শুরু করেন মনে রাখবেন তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে লোড নিবেন না। জোর পূর্বক কিছু আয়ত্তে আনার চেস্টা করবেন না।  আপনি যদি সময় কে সময় দেন তাহলে সময় আপনাকে সময় দিবে। আপনার স্টাডি কে তিনটি ভাগে ভাগ করে নিন নয়ত তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারেন (বিগেনিং, প্রফেশনাল এবং এডভান্সড এই তিনটি লেভেলে).
:arrow: স্টেপ ২#
স্টাডি চালিয়ে যেতে অনেক বিষয় অনেক সময় অস্পষ্ট থাকতে পারে সেই ক্ষেত্রে ফোরামে (www.bdforexpro.com) আপনার সমস্যাটি বা যে বিষয়টি বুঝতে পারছেন না তা জিজ্ঞেস করুন। অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডার আছে যারা আপনার সমসাটির ভালো সমাধান দিতে পারবেন।
স্টাডির যখনি ডেমো ট্রেডিং অধ্যায় শেষ করে ফেলবেন তখন থেকেই ডেমো প্র্যাকটিস শুরু করেন। আর পাশাপাশি চালিয়ে যেতে থাকুন আপনার নিয়মিত স্টাডি। নিয়মিত স্টাডি যেভাবে ফিক্সড করেছেন সেভাবে ডেমো ট্রেডিং প্র্যাকটিসটা ফিক্সড করবেন।
:arrow: স্টেপ ৩#
ধরে নিলাম আপনার ব্যাসিক স্টাডি কোর্স শেষ এখন আপনি মোটামুটি ট্রেড বোঝেন এবং ট্রেড করতে পারেন। তাহলে এখন কি করবেন।
আসলে এখনি আপনি ডিসিশন নিবেন আপনার দ্বারা কি আসলেই ট্রেড সম্ভব? এতদিনের ফরেক্স শেখার অভিপ্রায় কতটা আপনাকে আনন্দ দিতে পেরেছে কিংবা যতটুকু ফরেক্স করেছেন তাতে আপনি কতটুকু হ্যাপি? নিজে নিজে এই প্রশ্নের উত্তরটা নিয়ে নিন, যদি আপনার উত্তরটা হয় আপনি বেশ উপভোগ করছেন এবং এই প্রকার আর্নিং কনসেপ্টটা আপনাকে বেশ আনন্দ দিচ্ছে তাহলে আমি বলব আপনি ফরেক্স করবেন বলে ডিসিশন নিতে পারেন। এবং আপনার পরবর্তী স্টেপ শুরু করুন। আর যদি এতোদিনের প্রচেষ্টায় আপনি নিজেকে এই প্রকার আরনিং সিস্টেম এর সাথে কোপ করাতে পারছেন না, কিংবা বিশয়টা আপনার ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না, আপনি ঠিক আনন্দ পাচ্ছেন না তাহলে আমি বলব আপনি জোর করে কিছু করতে যাবেননা, আপনাকে বুঝতে হবে এই প্রকার আর্নিং আপনার জন্য সুইটেবল না, আপনি আর জোর করে বেশিদুর চেষ্টা না করে আপনার পছন্দের অন্য কোন ব্যবসা করুন। কারন প্রথম অবস্থায় যতটুকু বুঝেছেন অন্তত আশা করি অতটুকু বুঝে গেছেন যে এটা একটা আর্ট আপনি যত ভালো-ভাবে আনন্দের সাথে সময় দিতে পারবেন আপনি তত তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। তাই আপনার এসেসমেন্ট পিরিয়ড যেহেতু পজিটিভ না তাহলে আপনি এই প্রকার ব্যবসার চিন্তা বাদ দিন। কারন সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না এটা আপনি ভালো ভাবে জানেন।
:arrow: স্টেপ - ৪ #
ঠিক আছে ধরে নিলাম আপনি ডিসিশন নিয়েছেন আপনি ট্রেড করবেন। তাহলে এখন সময় এসেছে নিজেকে মুল ট্রেডার রুপে তোলার। আপনি স্টুডেন্ট কিংবা, চাকুরীজীবী। আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মের বাইরে প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা সময় বের করে নিন যেহেতু বিষয়টাতে আপনি বেশ আগ্রহি এবং ইনজয় করছেন।

এইবার হল আপনার দ্বিতীয় এসেসমেন্ট:-

আমি খুব করে ভালো লাগার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি, কারন জোর করে করা কাজের ফলাফল ভালো হয় না। এইবার আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রেখে সম্পূর্ণ অপশনাল একটি বিষয় হিসেবে ফরেক্স প্র্যাকটিস করুন, অতিদ্রুত এই মার্কেট থেকে রিটার্ন আশা করতে যাবেন না। অতিরিক্ত একটি বিষয় হিসেবে এগুতে থাকেন এক পর্যায়ে আপনি যখন আবিষ্কার করবেন না আপনি ভালো ট্রেড করছেন এবং আপনার ৪-৬ মাসের রেগুলার অনুশীলন যদি আপনাকে সার্বিকভাবে পজেটিভ রেজাল্ট দেয় তাহলে আপনি ইনভেস্ট আর কথা চিন্তা করতে পারেন।
:arrow: স্টেপ - ৫ #
মুলত আপনি এখন জেনে গেলেন যে ফরেক্স ট্রেডিং এর অনেক গুলো ফর্মুলা এবং অনেক স্ট্রেটিজি আছে। তেমনি আপনি আরো জানলেন যে একেকটি বিষয় দিয়ে একেকভাবে  স্ট্রেটিজি তৈরি করা যায়। কিন্তু সবগুলো বিষয় দিয়ে একসাথে আবার ট্রেড করা সম্ভব নয়। তাই এখন আপনার কাজ হল ডিসিশন নেওয়া যে কোন স্টাইলে রেগুলার ট্রেড করবেন। আপনি জানেন যে মুলত ট্রেড করার ফর্মুলা তিনটাঃ
  1. টেকনিক্যাল এনালাইসিস
  2. ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস
  3. এবং ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস ।
মুলত বেশিরভাগ ট্রেড হয়ে থাকে টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে এবং এই স্ট্রেটিজিই সবচেয়ে বড় এবং সময় সাপেক্ষ।
:arrow: স্টেপ - ৬ #
ধরে নিলাম আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস স্ট্রেটিজিতে ট্রেড করবেন বলে স্থির করলেন তাহলে এইবারকার লক্ষ্য হল টেকনিক্যাল টার্মস গুলো শেখা। আপনি ইতিমধ্য জেনে গেছেন যে ট্রেন্ড পাওয়ার ট্রেডিং এর জন্য বিশেষ পদ্ধতি হল ট্রেন্ড সনাক্ত করে ট্রেড করা সেই জন্য অনেক অনেক টুল এবং স্টাডি করতে হবে আপনাকে। আর তাই শুরু করে দিন বিভিন্ন প্যাটার্ন ড্রয়িং, অ্যান্ডস্ট্যান্ডিং এবং এক্সিকিউশন । এতে করে প্যাটার্ন সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা চলে আসবে তারপর এডভান্স পিভট পয়েন্ট এবং ফিভনাসি রিট্রেসমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিন
:arrow: স্টেপ - ৭ #
এই স্টেপে আপনি আরো একধাপ এগুবেন চার্ট নিয়ে, এতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জেনে গেলেন প্যাটার্ন ড্রয়িং পূর্বক তাকে নিশ্চিত করতে হয় কিভাবে ফিভনাসি দিয়ে। এখন মুলত সেই কাজটি আবার করবেন আগের চেয়ে বেশী স্ট্রেনথ নিয়ে। চলে আসুন Trading Classic Chart Patterns ধরে, মুলত বইটী ফলো করার মাধ্যমে আপনি পরিষ্কার হয়ে যাবেন যে চার্ট প্যাটার্ন গুলো কতদুর কাজ করে কতটা ইফেক্টিভলি বিভিন্ন মার্কেট সিচুয়েশনে। আপনার রেফারেন্সে ভালো কোন চার্ট প্যাটার্ন বই থাকলেও সেটা ফলো করতে পারেন। মুলত উদ্দেশ্য একটাই। চার্ট প্যাটার্ন শেখার সাথে সাথে সবগুলো প্যাটার্ন একসাথে মাথায় নিতে যাবেন না এতো করে ভয়ংকর অবস্থা হতে পারে। তাই সামান্য কয়েকটা প্যাটার্ন আয়ত্তে আসার পর এগুলো দিয়ে নিজে নিজে ৪-৫ টা স্ট্রেটিজি দাড় করান এবং ডেমো ট্রেডিং এর মাধ্যমে এদের ট্রেডিং সাকসেস মার্ক করুন। এইভাবে এগুতে থাকুন।
:arrow: স্টেপ - ৮ #
এইবার একটু সহজ স্বচ্ছ পথে এগুই , ইনডিকেটর MACD নিশ্চয়ই পেয়েছেন, একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নাই এই ইনডিকেটরটাকে, কারন আপনি হয়ত জানেন না এই ইন্ডিকেটরের কত পাওয়ার, আপনি জেনে খুশি হবেন অনেক অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার যারা ফরেক্স থেকে অনেক বেশি টপ ইনকাম করছেন তাদের প্রিয় ট্রেডিং স্ট্রেটিজি কিন্তু MACD কে নিয়ে। তাই প্যাটার্ন যখন বুঝে নিয়েছেন এইবার MACD এর সাথে একটু মাথা খাটিয়ে স্ট্রেটিজির সুচনা করুন এবং নিয়মিত ট্রেড করুন। মনে রাখবেন আপনি ফরেক্স মার্কেটে  ট্রেড করার জন্য হাজার হাজার স্ট্রেটিজি পাবেন সবগুলোর রশাতলে যদি নিজেকে ফেলেন তাহলে আপনার আর ট্রেড করতে হবে না, তাই এতো স্ট্রেটিজি এক্সপার্ট হওয়ার দরকার নেই।
:arrow: স্টেপ - ৯ #
আপনি অনেকদুর চলে এসেছেন এখন এতদূর পর্যন্ত যখন এসেছেন তাহলে নিশ্চয় ট্রেডও ভালো করছেন। তাহলে আপনি জেনে রাখুন যে আপনি দ্বিতীয় এসেসমেন্টেও পাশ করেছেন সো ফরেক্স আপনি করতে পারেন। এটা ফাইনাল। এখন সময় এসেছে এক্সপার্ট হওয়ার। সেটা কিভাবে সম্ভব? আসলে বিষয়টা খুব বেশী কঠিন নয় আপনার জন্য। এক্সপার্ট ট্রেডিং মানে কি? এটা কি কোন পদক বা কোন স্বীকৃতি? এক্সপার্ট ট্রেডিং হল আপনি ভালো ট্রেড করেন আপনার ম্যাক্সিমাম ট্রেডই প্রফিট করে এবং আপনি মার্কেট সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান রাখেন এবং মার্কেট ভলাটিলিটি বুঝেন এবং সেই মতে ট্রেড করতে পারেন। এখন এই সব গুলো বিষয় কিন্তু আপনি এক রকম এনালাইসিসে পাবেন না, আপনাকে সেইজন্য জ্ঞান রাখতে হবে কারেন্সি ফলিং এবং রাইসিং ইস্যু সম্পর্কে যা আপনি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে অনেকটুকু পেয়ে যাবেন, মনে রাখবেন ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস মানে কিন্তু  শুধু ইকোনমিক ক্যালেন্ডার রিড করতে পারা নয় বরং কি কি কারনে কারেন্সি ফ্লাকচুয়েট হয় তা ও জানা অর্থাৎ ইকোনমিক ডাটা পয়েন্ট সম্পর্কে জ্ঞান রাখাকে বুঝায়। তাই বুঝতে পারছেন আপনার টেকনিক্যাল এনালাইসিসের সাথে সাথে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস কতটা জুরুরি।
আসুন এইবার আরেকটা কমন এনালাইসিস সম্পর্কে জানতে হবে আপনাকে, নিজেকে যদি ফরেক্স এক্সপার্ট রুপে গড়ে তুলতে চান। সেটি হল ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস । একেবারে মামুলি ভাবার দরকার নেই  ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিসকে কারন অনেক ভিন্ন নেগেটিভ মতামত আছে ক্যান্ডেলস্টিক ভিবিন্ন প্যাটার্ন সম্পর্কে আমি নিজেও অস্বীকার করছি না, তবে কিছু ফর্মুলা দিতে পারি যাতে করে আপনার ট্রেড সাকসেস হতে পারে, খেয়াল করুন যখন আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ট্রেডে ঢুকতে জান তখন যদি সাথে সাথে আপনার ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নটা ও একটু মিলিয়ে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ট্রেডটা নেগেটিভ হওয়ার কথা নয়। এখন হয়ত মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে বা ভাবছেন এতো এনালাইসিস করতে করতেতো আর ট্রেড ই করা হবে না, প্রারতপক্ষে এখন এমন মনে হলেও আসলে ব্যাপারটা তা নয়। কারন আপনি বিভিন্ন এনালাইসিস সম্পর্কে যখন ভালো ধারনা নিয়ে আসবেন তখন একটা অর্ডারে বিভিন্ন এনানলাইসিস দিয়ে অর্ডারকে পজেটিভ করা কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার মাত্র তাই খাবড়াবেন না বস।
:arrow: স্টেপ - ১০ #
হ্যাঁ, আপনি অনেক কিছুই জেনে গেছেন ফরেক্সে। তো এখন কি আর তাহলে শেখার কিছু নাই? শুধুই ট্রেড করবেন আর বেশী বেশী ডলার কামাতে থাকবেন? আমি আপনার স্বাদটাকে গুড়িয়ে দিচ্ছি না, তবে একটু মনে করিয়ে দিতে চাইছি যে ফরেক্স ট্রেডিং মার্কেট সারা বছর এক রকম থাকে না, আপনি যে স্ট্রেটিজিতে এখন ট্রেড করে প্রফিট নিচ্ছেন সেই একই স্ট্রেটিজি কিন্তু আরেকটি সময় অর্থাৎ বছরের অন্য আরেকটি মাসে সেই কাজ নাও দিতে পারে বা পুরোপুরি আপনার টার্গেট ফিল নাও করতে পারে কিংবা ট্রেড আপনার অর্ডারের বিপরীতে চলে যেতে পারে। তাহলে সারা বছর ট্রেড কিভাবে করবেন? নো-টেনশন বস ! আমি এমন বললে ও সব সময় এমন ঘটে না তবে একেবারে যে ঘটেনা তা কিন্তু নয় তাই একটু সাবধান করে দিলাম। এই ক্ষেত্রে সিমপ্লি আপনি সারা বছরকে তিনটা ভাগে ভাগ করে ফেলুন। যেমনঃ
  • অক্টোবর-জানুয়ারি,
  • ফেব্রুয়ারি-মে
  • এবং জুন-সেপ্টেম্বার।
খেয়াল করলে কিংবা ভালো ট্রেডিং এক্সপিরিয়েন্স হয়ে গেলে নিজেও ধরে ফেলতে পারবেন যে সারা বছরে মার্কেট যতই ভালো বা খারাপ থাকুক না কেন ৩-৪ টি টাইম সার্কেল আর বাইরে রিয়াক্ট করে না। তাই বাৎসরিক চার্ট ধরে আইডিয়াটা নিয়ে ফেলুন। হাঁপিয়ে উঠেছেন এতো সব স্টেপ ক্লিয়ার করতে করতে, আসলে আপনি তো বস একদিনে এগুলো করতে যাবেন না এবং পারবেনও না। তাই শেখার মাঝখানে যদি কিছুটা হলেও ক্লান্তি এসে যায় কিংবা একটু করে বিরক্তি কাজ করে তাহলে একটা শর্ট ব্রেক নিয়ে নেন, কারন বিরক্তির শিক্ষা আপনাকে আরো বিরক্ত করে ফেলবে তাই, রিফ্রেশ হয়েই আবার শুরু করেন তবে প্রতিদিন সামান্য করে এগিয়ে গেলে বিরক্ত হওয়ার কথা নয় বরং কিউরিসিটি আরো বেড়ে যাবে। কারন ফরেক্স হচ্ছে একটা টোটাল আর্ট যেখানে আপনার মেধার একটা চরম মূল্য পাওয়া যায়।
অবশ্য এতদূর আশার আগেই আপনি আপনার সাধ্যমত এমাউন্ট ইনভেস্ট করে অনেক অনেক ট্রেড করে ফেলেছেন আশা করি, তারপর ও রিকমন্ডিশন  হিসেবে বলতে চাই, ভালো রিটার্ন চাইলে ভালো ইনপুট দিতে হবে। আমি বলছি না আপনি ৫০০,১০০০,২০০০ বা ৫০০০ ডলার দিয়ে ট্রেড শুরু করতে হবে শুধু বলতে চাই আপনি ট্রেড বুঝে গেছেন তাই আপনার সব দিক চিন্তা করে আপনার মত করে ইনভেস্ট করুন, হতে পারে সেটা $১০০০০ বা তারও বেশী। আপনার সব এনালাইসিস আর পাশাপাশি ইনভেস্টটা একটা বিরাট ফেক্টর, হ্যাঁ, আপনার কাছে হিউজ এমাউন্ট থাকতে পারে ইনভেস্ট করার মত কিন্তু আপনাকে ব্যাবহার করতে জানতে হবে রিস্কফ্রী ভাবে। আর আপনি যখন আমার আলোচনার এই পর্যায় পর্যন্ত শেখা শেষ করে ফেলতে পারবেন তাহলে আমি সিউর আপনাকে আর বলে দিতে হবে না আপনাকে কত ইনভেস্ট করতে হবে।

ইনভেস্ট ছাড়া কি ট্রেড করা সম্ভব?

উত্তরটা আমি খুব সিমপ্লি দিতে চাই,  ইনভেস্ট ছাড়া ট্রেড করা সম্ভব নয় বস ! যখন এই মার্কেটে আছেন তখন শুনে থাকতে পারেন যে ফরেক্সের বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে পোস্ট করলে বোনাস ডলার দেয় যা দিয়ে ট্রেড করতে পারা যায় কিংবা কোন কোন ব্রোকার তাদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য ৫-১০ ডলার বোনাস দিয়ে থাকে। বিষয়টা সত্যি, এই সুযোগটা অনেকেই নিয়ে থাকে কিন্তু আপনি একজন প্রফেশনাল ট্রেডার কিংবা ভালো ডিসিপ্লিন এবং আনকন্ডিশনাল ট্রেডিং এর জন্য এমন চিন্তা করার দরকার নেই। বিষয়গুলো অনেকের কাছে অনেক পছন্দের হলে ও প্রকৃতপক্ষে এই উপায়ে ট্রেডিং মানি কালেকশন করতে গেলে মুল ট্রেডিং এর প্রতি আপনার ভালো লাগাটা  হারিয়ে ফেলতে পারেন এবং আপনার বিজনেস সেন্টিমেন্টটা হারিয়ে যাবে আর কন্ডিশন অব্লাইজড করতে করতে আপনি বিরক্তই হবেন তাই এই সকল বিষয়ের প্রতি আসক্তি না রেখে সরাসরি ট্রেডে আসুন। এটাকে একটা বিজনেস হিসেবে চিন্তা করুন, সুযোগ সন্ধানী হওয়ার দরকার নেই। আর যেহেতু ব্যবসা-ই করতে বসছেন সো ইনভেস্ট ছাড়া প্রফিট হয় না সেটাতো জানেন, তা-ই মাথায় রাখুন।
যারা এখনো ফরেক্স এর কিছুই জানেন না কিন্তু আমার এই লিখাটা পড়েছেন তাদেরকেও বলছি আশা করছি আপনারা নতুন একটা ব্যবসার কনসেপ্ট পেয়েছেন এখন এই নতুন ব্যবসার জন্য আপনি কিভাবে এগুতে চান আপনার সব কিছু চিন্তা-ভাবনা মাথায় রেখে একটা প্ল্যান করুন ঠিক কিভাবে শুরু করতে চান। নিশ্চয়ই জানেন কোন কিছুর সুন্দর একটা শুরুই হল ঐ বিষয়ের অর্ধেক সমাপ্ত। এখন পর্যন্ত যারা ফরেক্স ট্রেড করে হয়রান, বিরক্ত, লুসার তাদের হিস্টোরি একটু রিসার্চ করুন দেখবেন তারা এলোমেলো ট্রেড করেছে কিংবা রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কিংবা মুল বিষয়গুলোর পর্যাপ্ত অনুশীলন ছাড়াই ট্রেড শুরু করেছেন। তাই আপনাদের বলছি স্বাভাবিক আর কয়টা ব্যাবসার মতই এটা চিন্তা করুন, ব্যবসার সফলতার মূলে যেমন রয়েছে কঠিন পরিশ্রম এবং অদ্ধাবসায়। হাঁ ফরেক্স যেহেতু একটি ভিন্ন ধারার ব্যবসা এখানে পরিশ্রম হল আপনার মেধার পরিশ্রম। তাই ব্যবসাটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং সবাই পারে না। অতিমাত্রায় উৎসাহিত হয়ে এক্সিডেন্ট করতে জাবেন না, কিংবা কারো কাছে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মেথড হিসেবে এই ব্যবসাকে চিন্তা করবেন না।

ফরেক্স কি ফুল-টাইম না পার্টটাইম, প্রফেশন হিসেবে কেমনঃ

বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ফুল-টাইম ফরেক্স ট্রেডাররা সারাদিন সময় দিয়ে যে পরিমান ইনকাম করেন পার্টটাইম ট্রেডাররাও তা করতে পারেন। তাছাড়া ফরেক্সের টোটাল ট্রেডারদের ৬৫%+ হল পার্টটাইম ট্রেডার। তাছাড়া ফুল-টাইম ট্রেডাররা খুব ভালো মেন্টাল প্রেসার নিয়ে থাকেন যে কারণে তারা কিছুটা অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে। অন্য কিছু খুব একটা তাদের ধারা হয় না হয়ে উঠেনা । শুরুর দিকে ফুল-টাইম হিসেবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মুলত ফুল-টাইম এবং পার্টটাইম ট্রেডিং এর মুল পার্থক্য হল প্রেসার, আপনি কত বেশী প্রেসার নিতে পারছেন। তাই বিষয়টাকে খুব বেশী জটিল করে না দেখে নিজের সেন্টিমেন্ট অনুসারে এগুতে থাকুন। আপনি ফরেক্স তিন ধরনের   ক্যারিয়ারে বেশ ভালো সুবিধা করতে পারেন।
  • প্রফেশনাল ট্রেডার বা ইন্সটিটিউশনাল ট্রেডার।
  • ফরেক্স এনালিস্ট বা কারেন্সি রিসার্চার
  • E.A ডেভেলপার
এছাড়া ও রেগুলেটর এবং এক্সচেঞ্জ ম্যানেজার সহ নানা রকম আকর্ষণীয় পোস্টে অনেক হাই লেভেল জব করতে পারেন।
আপনি দক্ষ ট্রেডিং এ যদি একজন ভালো এনালিস্ট হতে পারেন তাহলে ট্রেডিং ছাড়াও আপনার জন্য আরেকটি বিশাল সম্ভাবনা আছে তা এনালিস্ট হিসেবে কাজ করা। আপনাকে ফরেক্স ইন্সটিউশন গুলোর কেন দরকার, সব ব্রোকারের, ভিবিন্ন ফরেক্স সার্ভিস প্রোভাইডারদের একটি বিশাল সেক্টর হচ্ছে কারেন্সি এনালাইসিস মুলত যে যত বেশী এবং যত ভালো ইফেক্টিভ এনালাইসিস গ্রাহকদের উপহার দিতে পারবে সেই তত ভালো মার্কেট দখল করতে পারবে আর সকল ফরেক্স প্রতিষ্ঠানের লং-জাম্প কিন্তু এই এক বিষয়তে হয়। তাই যদি নিজেকে একজন দক্ষ এনালিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে ফরেক্স প্রতিষ্ঠান গুলো আপনাকে লুফে নিবে এবং হাই রাইজ সেলারি দিবে যা হতে পারেন মাসিক ৩-৫ লক্ষ টাকা। আপনি আপনার ঘরে বসেই কাজটি চালিয়ে যাবেন আপনার দায়িত্ব অনুসারে যেভাবে আপনি আপনার ঘরে বসে ট্রেড করেন। তাই এই সেক্টরে সম্ভাবনা অনেক। ফরেক্স শব্দটাকে আলাদা করার কোন কারন নাই এটা নেহায়েত অন্য কটা ব্যবসার মত তবে তুলনামুলক অনন্য ব্যবসার চেয়ে এই ব্যাবসার আউটকাম অনেক ভালো এবং ফাস্ট তাই যারা বিষয়টি জানেন তারা কম্পেয়ার করে ফরেক্স ট্রেডিং কে পেশা হিসেবে পছন্দ করছেন।
ফরেক্স মার্কেটে সফলতার মূল হল আপনার বিষয় হলঃ
ধ্যর্য + বিনম্রতা + শিক্ষা = সফলতা
তাই অনেকে অনেক সময় নিয়ে ট্রেড করছেন এবং ভিবিন্ন উপায়ে এনালিস্ট স্কিল তৈরি করছেন যেমনঃ চার্ট প্যাটার্ন, পিভট পয়েন্ট, ভিফনাসি রিট্রেস্মেন্ট, এলিয়ট ওয়েভ সহ নানা বিষয়ের গাণিতিক ব্যাখ্যাগুলো নিয়ে রিসার্চ করছেন এবং প্রাইস মুভমেন্ট বোঝার ক্ষমতা অর্জন করছেন। তাই যদি টার্গেট থাকে এনালিস্ট হবেন তাহলে তাহলে প্রথম থেকেই নিজের ট্রেডের ফর্মুলা গুলো নোট ডাউন করে রাখুন আপডেট করুন এবং প্রত্যেকটি স্ট্রেটেজির লজিক গুলোর একটি রুপ দাড় করান এইভাবে এগুতে পারেন। আসলে আপনি কিন্তু এনালিস্ট কারন আপনার প্রত্যেকটা ট্রেডে কিন্তু এনালাইসিস দরকার হচ্ছে যেভাবে আপনি ট্রেডে ঢুকেন। তাই বিষয়টার প্রতি সব সময় জোর দিন । অনুশীলন করতে করতে এক পর্যায়ে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার টার্গেটেড এরিয়া। তবে ঐ অবস্থানে পৌছাঁতে আপনাকে ৩-৫ বছর বা তার ও বেশী সময়ের একটা মাইল ফলক অতিক্রান্ত করতে হবে নিয়মিত অধ্যায়নের সাথে । তাই স্বাভাবিক ভাবেই কয়েকবছর ট্রেড করতে থাকুন ঐ সব বিষয়গুলো’র মাধ্যমে।
কিছু স্ট্রেইট কথাঃ  মানলে সুফল পাবেন না মানলে দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে।
  •  লোন করে ট্রেড করবেন না।
  •  টার্গেট ফিল করার জন্য ফোর্স ট্রেড করবেন না।
  • লাইভ ট্রেডে যত টাকা ইনভেস্ট করবেন ঠিক তত দিয়েই ডেমো ট্রেড করুন।
  • Yes বা No ফাংশনে ট্রেড অর্ডার করবেন না।
  •  মাঝে মাঝে ট্রেড থেকে বিরতি নিন।
  •  কম্পিটিশন করবেন না।
  • সবগুলো ট্রেডের রেকর্ড রাখুন, পজেটিভ এবং নেগেটিভ ট্রেড কম্পেয়ার করুন। নেগেটিভ ট্রেড পর্যালোচনা করে শুধরে নিন।
  •  পরপর দুটি ট্রেডে পজেটিভ রেসাল্ট পেয়ে ৩ নাম্বার ট্রেডে ভলিয়ম বাড়িয়ে দিবেন না।
  •  মনে না চাইলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ট্রেড করবেন না।
  • ট্রেড ওপেন করার আগে মিনিমাম ৫ মিনিট চার্ট এনালাইসিস করুন।

ট্রেডিং এর জন্য আপনার কি যোগ্যতা থাকা দরকারঃ

যেহেতু ফরেক্স একটা ওপেন প্লাটফর্ম যেখানে বয়সের কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন মাপকাঠি  আপনাকে ক্রস করতে হবে না। এখানে যা দরকার তা হল আপনার যে কোন কাজের জন্য মিনিমাম স্টেবিলিটি অর্থাৎ আপনার একটা রেস্পন্সিবিলিটি বা একটা সফল নির্ভরতা। এই ক্ষেত্রে আপনার মানসিক কিংবা শিক্ষাগত বিষয়টা আপনি নিজেই পরিমাপ করবেন। তবে আমি যেটা প্রেফার করি তা হল যদি আপনি মিনিমাম 12 Class পর্যন্ত পড়াশুনা শেষ করে ফরেক্স শুরু করেন তাহলে আপনার মানসিক স্টেবিলিটি টা ঠিক মত কাজ করবে। পড়ালেখা বা বয়সের বিষয়টা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি, কারন আপনি যখন এই ব্যবসায় পা দিবেন কিংবা বুঝতে শুরু করবেন তখন যদি আপনার বয়সের মেচুরিটি না থাকে তাহলে আপনার দ্বারা যেকোন এক্সিডেন্ট(ট্রেডিং লস) হওয়া খুবই স্বাভাবিক । আর যেহেতু এটা ফুল একটা এনালিটিকেল টার্মস ট্রেডিং তাই আপনার মিনিমাম বোধ ছাড়া আপনার দ্বারা ভালো কিছু করা সম্ভব না।

আউটসোর্সিং বা ফ্রিলেন্সিং জব এর সাথে ফরেক্স এর মিল বা পার্থক্যটা কোথায়?

উপরের আলোচনায় অনেকটুকু বুঝে নিয়েছেন যে আউটসোর্সিং জব কিংবা ফরেক্স ট্রেডিং বিষয় দুটি আসলে কি , কনসেপ্ট এর দিক থেকে চিন্তা করলে দুটিই একই। আপনি যেটায় করতে যান প্রথমে আপনাকে ভালো একটা শিক্ষা এবং নিয়মিত অনুশীলন রাখতে হবে , আউটসোর্সিং জব এর ক্ষেত্রে আপনি বিড করে নিজের যোগ্যতা প্রমান করে তারপর বায়ার থেকে কাজ নিবেন যেখানে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে না। তবে  আউটসোর্সিং জব এর অধিক কাজ পেতে আপনি ইনভেস্ট করে অর্থাৎ প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ নিয়ে অধিক কাজের জন্য বিড করতে পারেন। আর ফরেক্স ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে বিডিং এর কোন সিস্টেম নেই, এখানে আপনার এসেসমেন্ট আপনি নিজেই করবেন। তারপর আপনি ইনভেস্ট করে ট্রেড শুরু করবেন। তাই অনেক ক্ষেত্রে অনেকে ফরেক্স ট্রেডিং এর প্রতি বেশী মনোযুগি হচ্ছেন।   আউটসোর্সিং জব এর রেইট এবং সময়ের তুলনায় ফরেক্স ট্রেডিং প্রফিট অনেক দ্রত পাওয়া যায়। আউটসোর্সিং কাজের জন্য যে পরিমান শ্রম এবং সময় দিতে হয় ফরেক্স ট্রেডিং এ তার তুলনামূলক অর্ধেক সময় দিতে তার চেয়ে বেশী ইনকাম করে নিতে পারেন। তবে পেশা হিসেবে যার যেটা ভালোলাগে সেটাই করা উচিত।
তাই ফরেক্সকে এক প্রকার আউটসোর্সিং বলা জব বা ব্যবসা বলা হয়। যেহেতু দুটিই ভার্চুয়ালি পরিচালিত হয়। আধুনিক যুগে সব বয়সের সব মানুষের পার্ট টাইম বা মুল জব/ব্যবসা হিসেবে ফরেক্স ট্রেডিং বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কারন ফরেক্সই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ফিনেন্সিয়াল মার্কেট যেটার তুলনায় অন্য সব ফিনেন্সিয়াল প্রতিষ্ঠান কিছুই না, আর যেহেতু ফরেক্স এত বড় একটা প্লাটফর্ম তাই সেখানে আপনার টাকা হারানোর বা চুরি হয়ে যাওয়ার কোন চিন্তা নেই।
চেষ্টা করেছি ফরেক্স বিষয়টাকে  নন-ট্রেডার সবাইকে মোটামুটি একটা  কনসেপ্ট দিতে, ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন আর ফরেক্স নিয়ে আরো বেশী জানতে এবং ফরেক্স নিয়ে আপনার অভিরুচি জানাতে লিখুনঃ http://www.bdforexpro.com- এবং ফরেক্স সম্পর্কে যেকোন সাহায্য পেতে  পোস্ট করুন, শেয়ার করুন আপনার ফরেক্স অভিজ্ঞতা , স্ট্রেটিজি এবং ট্রেডিং স্টাইল...... !

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১৬] :: ব্রোকার রেগুলেশন, ফরেক্স ডিসকাশন

ফরেক্স ব্রোকার

ট্রেড শুরু করতে একাউন্ট অপেন করা জন্য প্রয়োজন হয় একটি ব্রোকাররের। ফরেক্স মার্কেটের অসংখ্য ব্রোকাররের মধ্য থেকে কোন ব্রোকারটি কেমন, কার সুবিধা কেমন, কিংবা কার কি অসুবিধা, কোন ব্রোকার লেনদেন এর দিক দিয়ে কতটা স্বচ্ছ বা কোন ব্রোকারটি রেগুলেটেড ইত্যাদি নানা বিষয় জেনে শুনে ব্রোকার সিলেক্ট করতে হয়। আপনি নতুন কিংবা পুরাতন যেমন ট্রেডার হোন না কেন, বিষয়টির উপর নির্ভর করছে আপনার ট্রেডিং স্বচ্ছতা।
তাই এখন আমরা দেখব একটি ব্রোকার এর কি কি সুবিধা এবং স্বচ্ছতা থাকলে তাকে রিয়েল ব্রোকার বলা যায়।
কোন ব্রোকার কে রিয়েল প্রমাণিত করতে চাইলে সেই ব্রোকার এর নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর স্বচ্ছতা অনুধাবন একান্ত প্রয়োজন।

১। ব্রোকারটি রেগুলেটেড (Regulated)?:

ব্রোকার নির্বাচনে আপনার প্রথম প্রশ্নটি হল আপনি যে ব্রোকারটি সেলেক্ট করতে যাচ্ছেন তা ব্রোকার নিয়ন্ত্রক অর্গানাইজেশন বা অথোরিটি থেকে রেগুলেটেড কিনা। কারন প্রত্যেকটি রেগুলেটেড ব্রোকার কে তার ফাইনেনশিয়াল রিপোর্ট সাবমিট করতে হয় রেগুলেটরি অথোরিটির কাছে। আর যখন কোন ব্রোকার তা সাবমিট করতে অপারগ হয় বা সাবমিট করে না তখন রেগুলেটরি অথোরিটি ঐ ব্রোকার চার্জ করে বা তার মেম্বারশীপ বাতিল করে। দেশ ভিত্তিক ব্রোকার রেগুলেটরি অথোরিটি ভিন্ন হতে পারে। যেমনঃ আমেরিকান (U.S. based) ব্রোকার হলে তাকে লোকাল অথোরিটি NFA (National Futures Association) এবং CFTC (Commodity futures Trading Commission) করতিক অথোরাইজড হতে হবে। আবার সুয়িস বেসড(Swiss Based) ব্রোকার হলে তাকে অবশ্যই FDF (Federal Department of Finance) এবং U.K. বেসড ব্রোকার হলে তাকে FSA করতিক অথোরাইজড হতে হবে। তাই আপনি যে ব্রোকারকে সিলেক্ট করছেন তার এই স্বচ্ছতা গুলো দেখে নিশ্চিত হতে পারেন।

২। ট্রেডিং কন্ডিশন(Trading Conditions):

আপনি দ্বিতীয় যে বিষয় গুলো দেখবেন তা হল ঐ ব্রোকার আর ট্রেডিং সুবিধাগুলো। যেসব বিষয় আপনি দেখবেন সেগুলো হলঃ
  • ক) Spread: অবশ্যই দেখবেন কারেন্সি পেয়ারে অন্যদের তুলনায় স্প্রেড কত কম, স্প্রেড যত কম হবে আপনার ট্রেডিং ক্যাপাবিলিটি তত ভালো হবে।
  • খ) Platform Execution: অর্থাৎ আপনি দেখবেন ঐ ব্রোকারের ট্রেডিং এক্সিকিউশন কত ফাস্ট। অর্থাৎ আপনি যখন কোন অর্ডার মেইক করেন তখন কত দ্রুত আপনার অর্ডারটি মেইক হচ্ছে।
  • গ) Fractional Trading: আপনি যদি মিনি লট বা মাইক্রো লট ট্রেডিং ট্রেডার হোন তাহলে দেখতে হবে ঐ ব্রোকারের Fractional Trading সুবিধাটা আছে কিনা। কারন সব ব্রোকার মাইক্রো লট বা Fractional Trading সাপোর্ট করে না।
  • ঘ) Safety of Funds: আপনাকে আরো নিশিত হতে হবে আপনার ইনভেস্টিং এমাউন্টটি কত সেইফ বা নিরাপদ। ব্রোকাররা তাদের একটি Segregated Account সুবিধার মাধ্যমে তা নিশিত করে।
  • ঙ) Trading Platform: সহজভাবে ব্যাবহার সুবিধা দেখবেন, এটি সব ব্রোকারের ক্ষেত্রে ডিফল্ট হয়ে থাকে তাই চিন্তার তেমন কোন কারন নাই।
  • চ) Minimum Investment: এই বিষয়টি ও খুব গুরুত্তপূর্ণ অর্থাৎ ঐ ব্রোকার সর্বনিম্ন কত এমাউন্ট ডেপোজিটে ট্রেডিং সুবিধা প্রদান করছে।
  • ছ) Margin(Leverage): এই ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় হল আপনার চাহিদা অনুসারে ব্রোকার ঐ পরিমান মার্জিন সুবিধা দিচ্চে কিনা তবে মোটামুটি এখন প্রায় ব্রোকার ১-৬০০ লিভারেজ দিচ্ছে।
  • জ) One Click Dealing: যদি আপনার ট্রেডিং স্টাইল হয় খুব স্বল্প সময়ের এবং আপনি যদি দ্রুততার সাথে মার্কেটে প্রবেশ করতে চান এই অপশনটি আপনার জন্য।
  • ঝ) Advanced type of orders: কখনো আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্রেটিজিতে দুটি অর্ডার করতে পারেন শর্ত হলে একটি যেকোন একটি অর্ডার এক্সিকিউট হলে অপর অর্ডারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেনসেল (OCO) হয়ে যাবে । তাই আপনার ট্রেডিং স্ট্রেটিজি অনুসারে ব্রোকারের এই সুবিধাটিও দেখতে পারেন। এছাড়া GTC(Good till Canceled), GFD(Good for the Day) নামক কিছু অর্ডার সুবিধা ব্রোকাররা দিয়ে থাকে।
  • ঞ) Support for Handheld, Mobile and other device: এই সুবিধাটি না উল্লেখ করলেও আপনি অনুভব করতে পারতেন, আপনার পকেট ডিভাইস সাপোর্ট প্লাটফর্ম হলে কতখানি সুবিধা তা আশা করছি আর বিস্তারিত বলেতে হবে না।
  • ট) Trade Directly from the chart: অনেক ট্রেডার আছে যারা সরাসরি চার্ট থেকে ট্রেড করতে চায়। তাই চার্ট থেকে ট্রেডিং কৌওট পেনেল সুবিধাটিও আপনার প্রয়োজন হতে পারে।
  • ঠ) Trailing Stop: এটি ফরেক্স মার্কেটের খুবই সুন্দর একটি সুবিধা যা ব্যাবহার এর মাধ্যমে মার্কেট আপনার অনুকুলে আপনি আপনার প্রফিটকে লক করার মাধ্যমে বাড়াতে পারেন।
এছাড়া ও ট্রেড শুরু করলে আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অনুভব করবেন এবং ব্রোকার অভারভিউ পর্যবেক্ষণ এর মাধমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্রোকারকে সিলেক্ট করে নিবেন।

৩। অধ্যবসায় (Diligence):

আশা করছি ইতিমধ্যে আপনি ২-৩টি ব্রোকারকে প্রাথমিক ভাবে সিলেক্ট করে ফেলেছেন। এবং ট্রেড করার জন্য তাদেরকে ফাইনাল লিস্টে নিয়েছেন। আপনি সঠিক এবং স্বচ্ছ ব্রোকার সিলেক্ট করেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে ভিবিন্ন রকম ফরেক্স ফরামে (যেমন forexfactory, forexnews, babypips ইত্যাদি)একটি পোস্ট দিন আপনার প্রশ্নের উত্তর চেয়ে, দেখবেন অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার এবং অভিজ্ঞও যারা আছে তারা আপনার পোস্টের সঠিক রিপ্লাই দিবে এতে করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার সিদ্ধান্ত কতটুকু সঠিক ছিল।

এছাড়াও আপনি যেসব বিষয়গুলো নিশিত হয়ে ব্রোকার সিলেক্ট করতে পারেন তা হলঃ

  • ১। Customer Service: এই বিষয়টি একজন ট্রেডারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঐ ব্রোকারটি কি কাস্টোমারের প্রতি সদয়? তারা কি কাস্টোমারকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করতে ইচ্ছুক?
  • ২। Slippage: এটি এমন একটি বিষয় যা নির্দেশ করে যে, আপনার অর্ডার করা একচুয়েল ভেলুতে কি অর্ডারটি সম্পূর্ণ হয়েছে? এবং আপনার টেক প্রফিট এবং স্টপ লস মোতাবেক অর্ডারটি সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা ইত্যাদি।
  • ৩। Manual Execution: কিছু ব্রোকার আছে যারা স্কেল্পিং বা অটোট্রেডিং পছন্দ করে না। আর ঐসব ব্রোকারে যখন কোন ট্রেডার তা করতে যায় তখন ব্রোকার থেকে ম্যানুয়াল ট্রেডিং করতে ফোরস করে হয়। অর্থাৎ ঐ ব্রোকারে হিউম্যান ট্রেড ছাড়া অন্য কোন রোবটিক ট্রেড এক্সিকিউট করবে না।
  • ৪। Re-Quotes: এটা ঘটে যখন আপনি বায় অথবা সেল বাটন ক্লিক করছেন কিন্তু ফ্লাটফর্ম বা মেটা ট্রেডার আপনার অর্ডারটি এক্সিকিউট করছে না।

৪। Testing:

এইবার ব্রোকার কনফার্ম করার পালা, অর্থাৎ এতক্ষণের আলোচনায় আপনি যে ব্রোকারকে আপনার ট্রেডিং আর জন্য স্যুট মনে করছেন প্রথমে তাকে ডেমো একাউন্টের মাধ্যমে আপনার সবগুলো ট্রেডিং স্টাইল টেস্ট করুন এবং যদি সেটিসফেক্টরি রেসাল্ট পান তাহলে ঐ নির্দিষ্ট ব্রোকারকে ফাইনাল করুন।
তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ আর মাধ্যমে আপনি একটি পারফেক্ট ব্রোকার সিলেক্ট করে আপনার ট্রেডিং পরিচালনা করতে পারেন সাফল্যমণ্ডিতভাবে।

ভিবিন্ন ব্রোকার রেগুলেটরি অথোরিটি এবং রিভিউ সাইট ডিসকাশন লিঙ্কঃ

Regulatory Agencies website and link :
Review Sites

Forums with Broker Discussions

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১৫] :: একটি সুন্দর ট্রেডিং প্ল্যান

ট্রেডিং প্ল্যান

লক্ষ্য > টার্গেট কারেন্সি > প্রিপারেশন > টাইমফ্রেম > স্ট্রেটিজি > মেজর ইভেন্ট এবং সতর্কতা ।

প্রত্যেক কাজের সফলতার মুল হল একটি ভালো প্ল্যানিং। ফরেক্স মার্কেটে ও ভালো ট্রেডার যারা তাদের সফলতার মুলে রয়েছে একটা প্রপার ট্রেডিং প্ল্যান। আপনি অনেক কিছুই জানেন এবং ভালো ট্রেড করেন কিন্তু আপনার ট্রেডগুলো যদি কোন পরিকল্পনা মাপিক না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে বেগ পেতে হয়। একটি সঠিক ট্রেডিং প্ল্যান আপনাকে আপনার লক্ষ্য পৌছাতে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নির্দেশনা প্রদান করে। এবং আপনার ট্রেডগুলো এলোমেলো হয় না। আমাদের অনেক ট্রেডারদের একটি বড় সমস্যা হল ইচ্ছেমত ট্রেড করা, আমরা যখন মার্কেটে প্রবেশ করি তখন অনেকেই ভুলে যায় মিনিমাম এনালাইসিসের কথা, চিন্তা করি না বর্তমান মার্কেট অনুযায়ী এখন কোন স্ট্রেটিজি এপ্লাই করা উচিত এবং তা না পেরে পরিশেষে ট্রেডে লস করি। কিন্তু আপনি যদি প্ল্যান মোতাবেক ট্রেড শুরু করেন তাহলে আপনার ট্রেডিং এ এইসব এলোমেলো ভাব থাকবে না এবং লস ট্রেডিং এর সুযোগ থাকবে না।
যাহোক, চুলুন একটি ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করি। এখানে আপনি জেনারেল একটি ট্রেডিং প্ল্যানিং সাজানোর চেষ্টা করেছি, আপনারা আপনাদের ট্রেডিং স্টাইল এর উপর ভিত্তি করে ব্যাবহার করবেন।
লক্ষ্যঃ ট্রেডে প্রবেশ করার আগে আপনাকে ডিসিশন নিতে হবে আপনি দৈনিক কত পিপ এভারেজ প্রফিট করতে চান। যেমন আপনি ঠিক করলেন আপনি দৈনিক ১৫ পিপস প্রফিট করবেন। তাহলে আপনার লক্ষ্য হল আপনি দৈনিক ৫০ পিপস প্রফিট করবেন।
টার্গেট কারেন্সিঃ আপনি যখন স্থির করলেন যে আপনি দৈনিক ১৫ পিপস প্রফিট চান, এখন আপনার দ্বিতীয় কাজ হল, আপনি কোন কারেন্সিতে ট্রেড করবেন তা ঠিক করা। কারেন্সি সিলেকশন করার ক্ষেত্রে কো-রিলেটেড কারেন্সি বাদ দিয়ে কারেন্সি সিলেক্ট করুন। যেমনঃ আপনি ঠিক করলেন আপনি আপনার লক্ষ্য পুরনের জন্য তিনটি কারেন্সিতে ট্রেড করবেন। EUR/USD, GBP/CHF, AUD/JPY।
মার্কেটঃ কারেন্সি সিলেক্ট করার পর আপনি ঘুরে আসুন কোন কারেন্সি মার্কেটটি আপনার ট্রেডিং উপযোগী । অর্থাৎ আপনাকে আপনার পছন্দ করা কারেন্সি চার্ট ঘুরে আসতে হবে এবং দেখতে হবে ঐ নির্দিষ্ট  কারেন্সি মার্কেট সেশন কতক্ষণ একটিভ এবং ঐ সময়ের মধ্যে আপনি ট্রেডে প্রবেশ করে আপনার ট্রেড শেষ করতে পারবেন কিনা।
প্রিপারেশনঃ আপনি লক্ষ্য এবং টার্গেট কারেন্সি ঠিক করলেন এখন আপনার কাজ হল ট্রেডিং এ প্রবেশ করার জন্য প্রিপারেশন নেওয়া। ফাইনালি ট্রেডে প্রবেশ করার ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দেখুন আপনার পছন্দ করা কারেন্সিতে আজকে কোন নিউজ আছে কিনা যা ঐ কারেন্সিকে ইফেক্ট করতে পারে। এবং সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লেভেল নির্ধারণ করে নিন।
 
টাইমফ্রেমঃ এই স্টেজে আপনি কোন ধরনের ট্রেড করবেন তার উপর ভিত্তি করে টাইম সিলেক্ট করতে হবে। যেমন আপনি যদি শর্ট ট্রেড করেন তাহলে ১৫ মিনিট এবং ১ ঘন্টার চার্ট ট্রেন্ড মোতাবেক মুভ করুন। দৈনিক ১৫ পিপস এর টার্গেটে আপনি প্রতি ট্রেড থেকে ৫ পিপস আশা করে শর্ট ট্রেড করতে পারেন। আবারো বলছি টাইমফ্রেম সিলেকশন হবে আপনার টার্গেট পিপস এর উপরে।

স্ট্রেটিজিঃ এইবার ট্রেডে প্রবেশ করার পালা। সব কিছুই মোটামুটি ঠিক করে নিলেন, এইবার একটু এনালাইসিস করতে হবে। মার্কেট ট্রেন্ড ডিরেকশন যদি আপনার কাছে স্পষ্ট না হয় তাহলে অপেক্ষা করুন মার্কেট নতুন একটি ফরমেশন তৈরি করা পর্যন্ত এবং মার্কেট মুভিং এভারেজ সহ সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লেভেল ভালোভাবে দেখে ট্রেডে প্রবেশ করুন।  এরপর পূর্বে যা যা শিখলেন যেমন, টেক প্রফিট, স্টপ লস সহ আনুষঙ্গিক সব কিছু করুন।
মেজর ইভেন্ট এবং সতর্কতাঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বক্তৃতার সময় ট্রেড করবেন না। যেমনঃ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড,ফেডারাল রিসার্ভ, সাক্সো ব্যাংক ব্রোকার রিভিউ রিলিসে ট্রেড করার দরকার নেই। কারন ঐসব সময়ে মার্কেট ভলাটিলিটি খুব বেশি থাকে তাই আপনি যদি ট্রেন্ডের বিপরীতে থাকেন তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। কোনদিন যদি আপনার টার্গেট কারেন্সিতে মার্কেট মুভমেন্ট ভালো না দেখেন জোর করে ট্রেড করতে যাবেন না, ঐ দিনের মত ট্রেড সমাপ্তি ঘোষণা করুন। জোর করে টার্গেট ফিলাপ করতে যাবেন না।

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব -১৪] (ট্রেডিং ফেইজ, ট্রেডিং কী-পয়েন্ট)

ট্রেডিং ফেইজ

আপনার ট্রেডকে আরো নিপুনভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনাকে আরো কিছু বিষয় এর উপর জোর দিতে হবে। যা আপনার ট্রেডকে আরো বেশি ইফেক্টিভ এবং ফলফ্রস করবে। এবং ফাইনালি স্ট্রং একটি ট্রেডিং সিস্টেমে ট্রেড করতে সাহায্য করবে।
  • ১। হিস্টোরিকেল  মুভসঃ ট্রেড ওপেন করার আগে পূর্বের চার্ট প্যাটার্ন বা চার্ট মুভমেন্ট ভালোভাবে দেখে কয়েকটি মুভমেন্ট নির্দিষ্ট করুন যেগুলো আপনার স্ট্রেটিজির সাথে মাননসই। অর্থাৎ কয়েকটি চার্ট মভমেন্ট সেম্পল নির্দিষ্ট করুন।
  • ২। সেট আপঃ যেসব চার্ট মুভমেন্ট গুলো পছন্দ করলেন এইবার খুজে বের করুন ঐ সকল চার্ট মুভমেন্টে কমন প্যাটার্নগুলো কি। যেমনঃ আপনি লক্ষ্য করলেন সবগুলো মুভমেন্ট তৈরি হয়েছে এক একটি consolidation pattern এর পরে অথবা দেখলেন মার্কেট মুভমেন্ট সব সময় একটি নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে বা নিচে ঘোরাঘুরি করছে। এভাবে আপনি আইডিয়া পেয়ে যাবেন মার্কেট মুভমেন্ট কি পরবর্তী মুভমেন্ট কি হবে।
  • ৩। ট্রেডিং এন্ট্রি রুলঃ এইবার ট্রিগ করার পালা, অর্থাৎ চার্ট মুভমেন্ট ঠিক করলেন এবং মুভমেন্ট গুলো কখন কোন পর্যায় এসে অবস্থান নিয়েছে জেনে গেলেন হিস্টোরিকেল মুভস এবং সেট আপ ফেইজ এর মাধ্যমে। তাই এখন অর্ডার করা খুব সহজ হয়ে গেল আপনার জন্য, বর্তমান মার্কেট মুভস কি তা পূর্বের আপনার পছন্দ করা সেট আপ প্যাটার্ন এর সাথে মিলান এবং পরবর্তী অর্ডার করুন। যেমন ধরুন মার্কেট এখন এমন একটা পর্যায় আছে যার পূর্বের মুভ ছিল রিভারসেল তাই এখনো আপনি রিভারসেল অর্ডার এর জন্য রেডি হতে পারেন যদি ফান্ডামেন্টাল কোন ইফেক্টিভ নিউজ না থাকে। তবে পুরোপুরি হিস্টোরিকেল চার্ট নির্ভর না হয়ে স্ট্রেটিজি মোতাবেক অর্ডার করুন।
  •  ৪। রিস্ক ম্যানেজমেন্টঃ  এই ফেইজে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি যদি ট্রেড লস করেন বা ট্রেড যদি আপনার প্রতিকুলে যায় তাহলে কত পয়েন্ট পর্যন্ত ত্যাগ করবেন।
  •  ৫। এক্সিট এবং টেকপ্রফিট লেভেলঃ মাঝে মাঝে এমন হয় আপনার ট্রেডটি টেক প্রফিট ও হিট করে না আবার স্টপ লস ও ট্রিগ করে না। এই অবস্থায় আপনাকে স্ট্রেটিজি একটু চেঞ্জ করতে হবে অর্থাৎ আপনি যেরকম একটি ক্রস অভারে মার্কেটে ঢুকেছেন ঠিক আরেকটি নেগেটিভ ক্রসওভারে মার্কেট থেকে বের হয়ে জেতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি একটি রিভার্সেল প্যাটার্নে মার্কেটে ঢুকেন তাহলে পরবরথি আপনার বিপরীত রিভার্সেল প্যাটার্নে আপনাকে মার্কেট থেকে বের হয়ে জেতে হবে। অথবা আপনি RR Ratio ২:১  তে ট্রেড সেট করতে পারেন।
  •  ৬। ট্রেড ম্যানেজমেন্টঃ এই ফেইজে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কি একাধিক ট্রেড করবেন নাকি স্কেলপিং করবেন।
  • ৭। মানি ম্যানেজমেন্টঃ আপনার ট্রেডিং ব্যালেন্স কিভাবে ব্যাবহার করবেন।
  
Key Point of Developing Trade: ভালো ট্রেডিং সিস্টেম সাজাতে বা তৈরি করতে নিচের পয়েন্ট গুলো জেনে নিয়ে ট্রেড করুন।


  • ১। ট্রেডের ক্ষেত্রে নিজের করা একটি সুন্দর ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন।
  • ২। ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ২-৩ ইন্ডিকেটর এর সাহায্য নিন , অনেকগুলো ইন্ডিকেটর ব্যাবহার এর দরকার নেই।
  • ৩। মানি ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে ট্রেড শুরু করুন।
  • ৪। প্রতি ট্রেডে টেক প্রফিট সহ স্টপ লস সেট করে ট্রেড করুন।
  • ৫। ট্রেডিং এর সময়ব্যাপ্তি  অনুসারে প্রফিট নিন। প্রফিটেবল ট্রেড তাড়াতাড়ি ক্লোজ এবং লস ট্রেডকে দীর্ঘাইয়িত করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ৬। কয়েকটি ট্রেডে সাকসেস এর সাথে সাথে রিস্ক বাড়াবেন না। অতিরিক্ত ট্রেড করবেন না।
  • ৭। ট্রেডের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডিং প্ল্যান চেঞ্জ করবেন না।
  • ৮। নতুন স্ট্রেটিজিতে সরাসরি রিয়েল একাউন্টে ট্রেড করার করবেন না, আগে ডেমোতে সাকসেস রেইট দেখে নিন।
  • ৯ সফল এবং ব্যাথ উভয় ট্রেডের এর রেকর্ড রাখুন , পরবর্তী সময়ে কাজে লাগবে।
  • ১০। রোবট সহ ভিবিন্ন রেডিমেইট অটো ট্রেডিং টুল এর উপর নির্ভর করে ট্রেড করবেন না।
  • ১১। ট্রেন্ডের বিপরিতে ট্রেড করবেন না। মনে রাখবেন ট্রেন্ড ইজ ইউর ফ্রেন্ড।
  • ১২। দু-একটা ট্রেডে লস করে রেগে গিয়ে টোটাল রিস্ক নিবেন না।
  • ১৩। ফ্রেশ মাইন্ড না নিয়ে ট্রেড শুর করবেন না।
  • ১৪। আপনার ট্রেডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করন এবং স্ট্রেটিজি ডেভেলপ করুন সব সময়।
  • ১৫। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমানে বা নির্দিষ্ট প্রফিট টার্গেটে ট্রেড করুন। টার্গেট ফিলাপ হয়ে গেলে ঐ দিনের জন্য ট্রেড সমাপ্ত করুন। মার্কেট ভলাটিলিটি ভালো না থাকলে টার্গেট ফিল করতে যাবেন না।
  • ১৬। ইমোশনাল ট্রেড করবেন না লোভ করবেন না।
  • ১৭। একাদিক ট্রেডের ক্ষেত্রে কো-রিলেটেড কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করবেন না। যেমনঃ যদি EUR এবং GPB উভয়কে বায় বা সেল অর্ডারে ট্রেড করেন তাহলে প্রফিট বা লস রেসাল্ট প্রায় সমান আসবে এবং মার্কেট আপনার বিপরিতে গেলে রিস্ক বেড়ে যাবে।
  • ১৮। ট্রেডিং পসিবিলিটি নিয়ে ট্রেড করুন, কখনো দেখবেন লসিং ট্রেডে আপনার অনভিজ্ঞতার কোন কারন নেই।
  • ১৯। ট্রেডের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রেডে প্রফিট আশা করবেন না।
  • ২০। শর্ট টাইম ট্রেডের ক্ষেত্রে একটিভ  টাইম সেশন বুঝে ট্রেড করুন ।

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১৩] :: ট্রেডিং সিস্টেম ডিভেলপমেন্ট

ট্রেডিং স্টাইলঃ

এ অধ্যায় আমরা শিখব কিভাবে মূলত আপনি ভালো একটি ট্রেডিং সিস্টেমে ট্রেড করবেন, ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং অনেক কঠিন আপনার জন্য যদি আপনার শক্তিশালী কোন ট্রেডিং ফর্মুলা বা ডিসিপ্লিন না থাকে, তাই স্ট্রেটিজি বা টেকনিক যতয় আপনি ভালো জানেন না কেন, একটি প্রপার ট্রেডিং সিস্টেম না জেনে ট্রেড করলে কখনো একজন সফল ট্রেডার হতে পারবেন না। মনে রাখবেন ফরেক্স থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করা যায় এটা সত্যি কিন্তু আপনার কাছে যদি সঠিক রসায়ন না থাকে তাহলে এই কথা আপনার জন্য মিথ্যা। অনেক ট্রেডার আছে যারা কয়েকটি টেকনিক শিখে বা না শিখে অন্ধাকারে কয়েকটি ঢিল কারেক্ট করে আর মনে করে সে বুঝি ফরেক্স বুঝে গিয়েছে। কিন্তু একজন ভালো ট্রেডার কখনো এমন মন্ত্রে চলে না, একজন ভালো ট্রেডার শিখতে অনেক সময় নেয় এবং তার ফলাফল লাভ করে সারাজীবন। তাই আপনারদের বলছি, তারাহুড়া না করে আগে সব গুলো বিষয় একটু সময় নিয়ে ভালো ভাবে আয়ত্ত করুন তারপর দেখুন আপনি সবচেয়ে ভালো করছেন।
যাহোক কথা অনেক হল এখন আসি মূল আলোচনায়। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে সিস্টেমে আপনি ট্রেড করছেন সেটি সঠিক ? নিচে কিছু পয়েন্ট দিলাম সেগুলোর সাথে আপনার ট্রেডিং
সিস্টেম মিলিয়ে নিন। এবং আপনার ট্রেডিং স্টাইলটি নির্বাচন করুন।
ফরেক্স টাইম ফ্রেম ট্রেডিং:

অনেক ট্রেডাররা ট্রেডিং টাইমফ্রেম না বুঝে ট্রেড করার কারনে ট্রেডে লস করে। নতুন ট্রেডাররা অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে কম সময়ে লাভ করতে গিয়ে ভুল টাইম ফ্রেমে ট্রেড করে যা তাদের ট্রেডিং স্টেটিজির সাথে সামঞ্জস্য নয়। এবং শেষে বিপল হয়ে আস্থা হারিয়ে ফেলে। কারন ভিন্ন ভিন্ন টাইমফ্রেমে মার্কেট চার্ট ভিন্ন ভিন্ন ট্রেন্ড নির্দেশ করে, যেমন আপনি যদি ৫ মিনিটের চার্ট দেখেন হয়ত মার্কেট তখন আপ ট্রেন্ড নির্দেশ করছে আবার একই চার্ট যদি ১ ঘন্টার ফ্রেমে দেখেন তখন হয়ত এভারেজ ট্রেন্ড সেল ও হতে পারে, তাই অর্ডার এর পূর্বে আপনাকে অবশ্যই আপনার সাথে সামঞ্জস্য টাইমফ্রেমে ট্রেডে ঢুকতে হবে। তবে ফরেক্স মার্কেটে নিশ্চিতভাবে সময় কখনও মেলাতে পারবেন না। আপনাকে টাইম সিলেক্ট করতে হবে আপনার স্ট্রেটিজি এবং টার্গেট এর উপর ভিত্তি করে। মোটামুটি ৩ ধরণের টাইমফ্রেমে আপনার টার্গেট সেট করতে পারেন।
ইনট্রাডে টাইমফ্রেম – ১-১৫ মিনিট
শর্ট টাইমফ্রেম - ১-৪ ঘন্টা
লং টাইমফ্রেম – ১ দিন বা তার বেশি
১। শর্ট টাইম ট্রেডিং: এই পদ্ধতিতে আপনি দু’ধরনের ট্রেড করতে পারেন
• স্কেলপিং
• ডে-ট্রেডিং
২। লং টাইম ট্রেডিং: এই পদ্ধতিতেও আপনি দু’ধরনের ট্রেড করতে পারেন
• সুয়িং ট্রেডিং
• পজিশন ট্রেডিং
শর্ট টাইম ট্রেডিং- স্কেলপিং:

এই ধরণের ট্রেডিং এ খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে হবে এবং ট্রেড থেকে বের হতে হবে যা কয়েক সেকেন্ডও হতে পারে। যেহেতু খুব স্বল্প সময়ের ট্রেড তাই আপনাকে প্রচুর ট্রেড করতে হবে যার পরিমান দৈনিক ১০০ হতে পারে। প্রতি ট্রেডে খুব সিমিত প্রফিট করবেন যেমন ৩-৫ পিপস। ১ মিনিটের চার্টের উপর ভিত্তি করে একটি গতিশীল মার্কেট ট্রেন্ডে এই ট্রেড করবেন।
স্কেলপিং ট্রেডের সুবিধাঃ
• সামান্য রিস্কে ট্রেড ।
• হাই সিস্টেম একুরিসি।
• ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের প্রয়োজন নাই।
• হঠাত মার্কেটে পরিবর্তনেও রিস্ক থাকে না।
• প্রতিদিন অনেক বার এই সুবিধা পাওয়া যায়।
স্কেলপিং ট্রেডের অসুবিধাঃ
• এই ট্রেডে প্রচুন্ড মানসিক অস্থিরতা কাজ করবে
• ফাস্ট অর্ডার এক্সিকিউশন ব্রোকার হতে হবে।
• ট্রান্সজেশন কস্ট অনেক বেশি দিতে হবে। (যদি দৈনিক ২০টা ট্রেড করেন ৬০পিপস স্প্রেড দিতে হবে)।
শর্ট টাইম ডে-ট্রেডিং:
এই ধরণের ট্রেড কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে সারাদিন ব্যাপী হতে পারে। ট্রেডারদের এই সকল ট্রেডে ঢুকতে খুবই ডিসিপ্লিন এবং ধরজের সাথে মার্কেট ট্রেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ট্রেডাররা টেকনিক্যাল স্ট্রেটিজি ফলো করেন। এই সিস্টেমে দৈনিক ট্রেডের সংখ্যা ১-৫টিহয়। ডে-ট্রেডিং ট্রেডের জন্য ৫-৩০ মিনিটের চার্টে ট্রেড করা উত্তম।
ডে-ট্রেডের সুবিধাঃ
• অতি মাত্রায় ইনকাম করা যায়।
• স্বল্পমেয়াদী ট্রেন্ডে ট্রেড করতে পারা যায়।
• মার্কেটে পরিবর্তনেও রিস্ক থাকে না।
• সব সময় বিকল্প একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।
ডে-ট্রেডের অসুবিধাঃ
• একটি সঠিক নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতে ট্রেড করতে হয়।
• ট্রেডিং আউটপুট পেতে অতিমাত্রায় দরঝ লাগে।
• ভিন্ন ভিন্ন মার্কেটে ভিন্ন ভিন্ন স্ট্রেটিজি এপ্লাই করতে হয়।
• প্রতিনিয়ত মার্কেট নিউজ আর সাথে আপডেট থাকতে হয়।
লং টাইম - সুয়িং ট্রেডিং:

এই প্রকার ট্রেডিং এর মেয়াদ ৩-৫ দিন আর মত হয়। মিডিয়াম টার্ম ট্রেন্ডে এই ট্রেড করার সুবিধা পাওয়া যায় এবং জেকোন সময়ে ট্রেডে ডোকা যায়। দিনে কয়েকবার ট্রেড মনিটর করতে হয় এবং ১-৪ ঘন্টার চার্টে এই ট্রেড করতে হয়। এই ট্রেডের জন্য স্ট্রেটিজি হিসেবে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের ডাবল টপ/বটম , ট্রাইয়াঙ্গেল চার্ট প্যাটার্ন বেশি ব্যাবহার হয়।
সুয়িং ট্রেডের সুবিধাঃ
• এক ট্রেডে অনেক আয় আর সম্ভাবনা থাকে।
• ডে-ট্রেডিং আর চেয়ে এই ট্রেডে রিটার্ন বেশি থাকে।
• ট্রেডারদের লম্বা সময় তাল থাকে বলে মার্কেট ফলিং এ অস্থিরতা থাকে না।
• ট্রানসেশন কস্ট কম।
• মানসিক চাপ কম থাকে।
সুয়িং ট্রেডের অসুবিধাঃ
• লো ইনভেস্টমেন্ট করা যায় না।
• দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হায় রিটার্ন আর জন্য।
• এই ধরণের ট্রেডিং সিস্টেম একুরিসি ভাল নয়।
• সেশন ব্রেকে রিস্ক থাকে।
পজিশন ট্রেডিং:

এটি হচ্ছে ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেডিং যা কয়েকদিন থেকে শুরু করে কয়েক মাস পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে ট্রেডারদের সব সময় লং টাইম ফোরকাস্ট আর উপর ট্রেড করতে হয়। ৪ ঘন্টা – ডে-চার্ট এর উপর ভিত্তি করে এই ট্রেডে অর্ডার করতে হয়। এই ট্রেডে ডেইলি ২-১ বার মনিটরিং করলে চলে। দীর্ঘ সময়ের পিভট পয়েন্ট ব্রেকে এই ট্রেড করা যায়।
পজিশন ট্রেডের সুবিধাঃ
• ৫০০ পিপস এর বেশি রিটার্ন পাওয়া যায় ।
• মার্কেট নেগেটিভ মুভে ট্রেডার অস্থিরতা থাকে না।
• ট্রানসেশন কস্ট কম।
• মানসিক চাপ কম থাকে।
পজিশন ট্রেডের অসুবিধাঃ
• লো ইনভেস্টমেন্ট করা যায় না।
• দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হায় রিটার্ন আর জন্য।
• এই ধরণের ট্রেডিং সিস্টেম একুরিসি ৫০%।
• সেশন ব্রেকে রিস্ক থাকে।
কোন স্টাইলে ট্রেড করবেনঃ

প্রত্যেক ট্রেডার এর একটি স্বাধীন চেতনা, ট্রেডিং স্ট্রেটিজি , উদ্দেশ্য এবং সময় এর অভিরুচি থাকে, তাই কে কোন স্টাইলে ট্রেড করবেন তা একান্তই নির্ভর করছে আপনার টার্গেট এবং চাওয়ার উপর। যেমন, যেমন আপনি যদি একজন চাকুরীজীবী হউন তাহলে আপনার জন্য সুয়িং বা ডে-ট্রেডিং উত্তম হতে পারে। অথবা আপনি যদি প্রতিনিয়ত চার্টে চোখ রাখতে পারেন তাহলে স্কেল্পিং ভালো হতে পারে।
কিংবা আপনি যদি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে ট্রেড করতে চান তাহলে আপনার জন্য লং টাইম বা পজিশন ট্রেড ভালো হতে পারে। তাই আপনার চাহিদা কি এবং কি ধরনের সময় ব্যায় করতে পারবেন ট্রেডিং এর জন্য সব হিসাব কষে তারপর সিদ্ধান্ত নিন কোন ট্রেডিং স্টাইলে আপনি ট্রেড শুরু করবেন। তবে সিদ্ধান্ত আপনার যা-ই হোক না কেন রিয়েল ট্রেডে যাওয়ার আগে অবশ্যই ডেমোতে আপনার স্টাইল পারফেক্ট প্রুভ করে নিবেন।

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১২] (ইন্ডিকেটর- বলিঙ্গার বেন্ড, RSI , ADX)

বলিঙ্গার বেন্ড (Bollinger Band):

এটি ও টেকনিক্যাল এনালাইসিসের  জনপ্রিয় একটি ট্রেডিং টুল। এই টুলটির মূল উদ্দেশ্য হল মার্কেট হাই এবং লো প্রাইস এর একটি তুলনামুলক পরিধি পরিমাপ করা। যা তিনটি বক্ররেখা (Curve)এর মাধ্যমে অঙ্কিত। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট ডিবিয়েশন পরিমাপের মাধ্যমে তিনটি বক্ররেখা দিয়ে অঙ্গিত একটি সিকিউর প্রাইস বাউন্ডারি।
চিতে লক্ষ্য করুন... মাঝখানের রেখাটিকে মিডল বলিঙ্গার বলা হয় যা সোজাসুজি সিম্পল মুভিং এভারেজ এর কাজ করে থাকে এবং ডিফল্ট ২০-ডে পিরিয়ডে সেট থাকে আপনি চাইলে কাস্টোমাইজ করতে পারেন। দুটি স্ট্যান্ডার্ড ডিবিয়েশনে উপরের রেখাটিকে আপার বলিঙ্গার বলা হয় এবং নিচের রেখাটিকে লাওয়ার বলিঙ্গার বলা হয়। মার্কেট volatility যখন বাড়ে তখন Bands গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চওড়া হতে থাকে  আবার যখন volatility কমে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে Bands গুলো সঙ্কুচিত হতে থাকে। বলিঙ্গার বেন্ড ট্রেডিং এ সাধারণত দুধরনের ফরমেশন দেখা যায়। বলিঙ্গার বেন্ড বাউন্স এবং স্কুয়িজ।
 বলিঙ্গার বেন্ড বাউন্সঃ

মার্কেট প্রাইস আপার বা লাওয়ার যে লাইনেই থাকুক না কেনো তা যখন ফিরে এসে  মিডল বলিঙ্গারকে টাচ করে তাকেই বলিঙ্গার বাউন্স বলে। ঠিক এভাবে আপার বা লাওয়ার বলিঙ্গার এর মাধ্যমে পাইস যখন বার বার মিডল বলিঙ্গারকে টাচ করে তখন ছোট ছোট কিছু সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স তৈরি হয় আর এই সকল মিনি সাপোর্ট এন্ড রেসিস্টেনসকে ডায়নামিক সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স বলা হয়। বলিঙ্গার বেন্ড বাউনস এর মাধ্যমে আপনি সহজে রেঞ্জবাউন্ড ট্রেডিং করতে পারেন ।
উপরের চিত্রে দেখুন... প্রাইস আপ বলিঙ্গার থেকে মিডল বলিঙ্গার আবার মিডল বলিঙ্গার থেকে আপ বলিঙ্গার আর মাধ্যমে বাউন্স করে করছে।
বলিঙ্গার বেন্ড স্কুয়িজঃ

হল এই ইন্ডিকেটরের আরেকটি রেগুলার আকৃতি যা মার্কেটের অবস্থাসংকট মুহূর্ত নির্দেশ করে। যখন দেখবেন আপার এবং লাওয়ার বলিঙ্গার লাইন দুটি একসঙ্গে ক্লোজ হয় তখনই এই অবস্থার সূচনা হয়। আর এই ধরণের পজিশন এর পরে মার্কেট যে কোন একটি ডিরেকশনে ব্রেকআউট করে, এবং অনেক লম্বা একটি মুভিং এর পরে প্রাইস আবার ব্যাক করে। বেশিরভাগ ট্রেডাররা এই সুযোগটির অপেক্ষায় থাকে। সাধারণত ক্যান্ডেল যখন আপার বেন্ড হয়ে স্কুয়িজ থেকে বের হয় তখন  পরবর্তী মার্কেট ট্রেন্ড আপ হয় এবং ক্যান্ডেল যখন লাওয়ার বেন্ড হয়ে স্কুয়িজ থেকে বের হয় তখন  পরবর্তী মার্কেট ট্রেন্ড ডাউন হয়।

উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে আপার এবং লাওয়ার প্রাইস একসঙ্গে ক্লোজ হওয়ার কারণে দুটি বেড একই অবস্থায় অনেকক্ষণ মুভ আর পরে আপার বেন্ডের মাধ্যমে বায় ব্রেক আউট হল।
 বিশেষ নোটঃ
প্রাইস যখন বলিঙ্গার বেন্ড লাইন এর বাইরে ক্লোজ হয় তখন মার্কেট আরো কন্টিনিউশন বোঝায়।
R.S.I –Relative Strength Index:

এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের প্রাইস ওভারবট এবং ওভারসল্ড অবস্থা বোঝায় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের এভারেজ বায় এবং সেল এর সীমানা নির্দেশ করা পূর্বক ট্রেডিং এ সহায়তা করে থাকে।  এই ইন্ডিকেটরটি 0 থেকে 100 রেঞ্জের মধ্যে এক একটি স্কেলে মার্কেটের এক একটি অবস্থার নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।
স্কেল লেভেল অনুসারে সিগনালঃ
  • ৫০ স্কেল লেভেলের উপরে         – মার্কেট আপট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
  • ৫০ স্কেল লেভেলের নিচে           – মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
  • ৭০ স্কেল লেভেলের শীর্ষে                   - মার্কেটে অতিরক্ত বায় হয়েছে।
  • ৩০ স্কেল লেভেলের নিম্নে           - মার্কেটে অতিরক্ত সেল হয়েছে।
 

বায় ট্রেডঃ যখন RSI ওভারসল্ড লাইন ৩০ লেভেলের উপরের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন বায় অর্ডার করতে পারেন।
সেল ট্রেডঃ যখন RSI ওভারবট লাইন ৭০ লেভেলের নিচের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন সেল অর্ডার করতে পারেন।
RSI দিয়ে কিভাবে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ RSI যেমন খুব ভালো একটি ইন্ডিকেটর ট্রেডে এন্টার করার জন্য আবার তেমনি ভালো একটি ইন্ডিকেটর ও ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্য। অর্থাৎ এই ইন্ডিকেটরটি আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে এবং বের হওয়ার সিগনাল দিবে। লক্ষ্য করবেন প্রাইস মুভমেন্টের উপর RSI প্রতিনিয়ত উপডেট হয় অর্থাৎ প্রাইস্ ট্রেন্ড আপ হলে RSI লাইন আপ ইন্ডিকেট করে আবার ডাউনট্রেন্ড হলে ডাউন ইন্ডিকেট করে, আপনি যখন বায় ট্রেড করবেন তখন আপনার লক্ষ্য থাকবে যে RSI ৭০ লেভেল ক্রস বা টাচ করেছে কি না সেই ক্ষেত্রে বেশি লাভের আশায় না থেকে ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন আবার যখন সেল ট্রেড করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন RSI ৩০ লেভেল টাচ করছে কি না সেই খেত্রেও আর বেশি লাভের রিস্ক না নিয়ে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন।
বাউন্স ট্রেডিং আর ক্ষেত্রে ট্রেড ক্লোজ করতে ৭০ বা ৩০ লেভেল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে নেগেটিভ সুফল আসতে পারে সেই ক্ষেত্রে ৫০ লেভেলে ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন।  অর্থাৎ আপনার বায় ট্রেড হবে ৩০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল এবং সেল ট্রেড হবে ৭০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল।
এছাড়া RSI দিয়ে Divergence এবং Swing ট্রেড সহ অনেক স্ট্রেটিজিকেল ট্রেড করা যায় যা আমরা পরবর্তী এডভান্সড লেসনে সিখব।
ADX-Average Directional Index:

এই ইন্ডিকেটর দিয়ে একটি ট্রেন্ডের Strength (শক্তি) নির্ধারণ করতে পারবেন যে ট্রেন্ডটি কত শক্তিশালী বা কত দুর্বল। এই ক্ষেত্রে হাই রিডিং (High Reading) ট্রেন্ড একটি শক্তিশালী এবং লো রিডিং (Low Reading) ট্রেন্ড একটি দুর্বল ট্রেন্ডের ইঙ্গিত করে। এই ইন্ডিকেটরটি একটি এভারেজ ডিরেকশনাল লাইন সহ একটি প্লাস (+) ডিরেকশন এবং একটি মাইনাস (-) ডিরেকশন লাইনে তিনটি লেভেলের মাধ্যমে ট্রেডিং সিগনাল প্রদান করে।
 লাইন পরিচিতিঃ
ADX লাইন = Generally White
+DI লাইন = Green
-DI  লাইন = Red
 লেভেল অনুসারে ADX ট্রেডিং সিগনালঃ
ü  ADX লাইন ০-২৫ লেভেলের নিচে অবস্থান করলে  – বর্তমান ট্রেন্ডটি খুবই দুর্বল বা ট্রেন্ড নাই।
ü  ADX লাইন ২৫-৫০ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে    -  বর্তমান ট্রেন্ডটি শক্তিশালী।
ü  ADX লাইন ৫০-৭৫ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে – ট্রেন্ড খুব শক্তিশালী।
ü  ADX লাইন ৭৫-১০০ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে  – ট্রেন্ড সর্বোচ্চপরিমাণে।
ü  +DI লাইন যদি –DI লাইন এর উপরে থাকে – আপট্রেন্ড পজিশন।
ü  -DI লাইন যদি +DI লাইন এর উপরে থাকে - ডাউনট্রেন্ড পজিশন।
আর যখন দুটি DI লাইন ক্রসিং হয় তখন ট্রেন্ড চেঞ্জ হচ্চে বুঝতে হবে এবং তারপরেই নিশ্চিত হতে পারবেন যে পরবর্তী ট্রেন্ডটি কি হবে।
উপরের চিত্রমতে, -DI লাইন +DI লাইনকে ক্রস করে উপরে উঠছে যা ডাউনট্রেন্ড সিগনাল দিচ্ছে কিন্তু  অন্যদিকে ADX লাইন ২০ লেভেলের নিচে চলে যাচ্ছে অর্থাৎ ট্রেন্ড সেল হলেও তা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, তাই এই অবস্থায় ট্রেড না করে ADX ভেলু ২০ লেভেলের উপরে উঠার জন্য অপেক্ষা করুন।
 কখন ট্রেড করবেনঃ ADX -/+ লাইনের স্থান নির্ণয় এর মাধ্যমেই আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে হবে। যখন ADX লাইন ২৫ লেভেল ক্রস করে এবং +DI লাইন –DI লাইন এর উপরে থাকে তখন বায় ট্রেড করবেন। বিপরীতভাবে ADX লাইন ২৫ লেভেল ক্রস করলে –DI লাইন যখন +DI লাইন এর উপরে থাকবে তখন সেল ট্রেড করবেন।

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১১] :: ইন্ডিকেটর, সিম্পল/ এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ

ইন্ডিকেটর কিঃ
সহজ কথায় ইন্ডিকেটর হল প্রাইস অ্যাকশন এর একটি চিত্রভিত্তিক নির্দেশনা। অর্থাৎ বর্তমান পাইস থেকে পরবর্তী পাইস ডাউন করবে কি আপ এ যাবে এই ধরণের নির্দেশনা ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে পাওয়া যায়। টেকনিক্যাল এনালাইসিসে ইন্ডিকেটর অনেক জনপ্রিয় একটি সিস্টেম যা প্রায় সকল ট্রেডারকে ব্যাবহার করতে দেখা যায়।
ইন্ডিকেটর হল প্রোগ্রামিং কোডের সমন্বয়ে কিছু লজিক নিয়ে গঠিত একটি ডিরেকশন পদ্ধতি তাই যদি কখনো মার্কেট ট্রেন্ড ওই পদ্ধতির বাইরে রেয়াক্ট করে তখন আর ঐ ইন্ডিকেটরের সুফল পাওয়া যায় না, তবে কিছু শক্তিশালী ইন্ডিকেটর আছে যেগুলো আপনার ট্রেডিংকে অনেক সহজ এবং রিলাইএবল করে। ভিন্ন রকম ইন্ডিকেটর ভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। তবে টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর জন্য ইন্ডিকেটর একটি বড় এবং মৌলিক হাতিয়ার। মোটামুটি সব ট্রেডাররাই ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে ট্রেড করতে পছন্দ করে।
ফরেক্স মার্কেটরে ডিফল্ট(ফ্রী) সহ অনেক কমার্শিয়াল ইন্ডিকেটর পাওয়া যায়। কখনো পুরোপুরি ইন্ডিকেটর নির্ভর হয়ে ট্রেড করবেন না। ইন্ডিকেটর কে ব্যাবহার করবেন ট্রেড বা অর্ডারের পারফেকশন বাড়াতে অর্থাৎ আপনি যে সব স্ট্রেটিজি জানেন সেই অনুসারে অর্ডার করতে ইন্ডিকেটর আপনাকে সাহায্য করবে এবং আপনার ডেসিশন মেকিং এ হেলপিং হেন্ড হিসেবে কাজ করবে। যে ইনডিকেটরই ব্যাবহার করবেন প্রথমে অবশ্যই তার বিহেবিয়ার বুঝে ভালোভাবে ডেমোতে প্র্যাকটিস করে ইন্ডিকেটর এর সাকসেস রেইট বুঝে তারপর লাইভ মার্কেটে এপ্লাই করবেন। যেহেতু ইন্ডিকেটর টেকনিক্যাল এনালাইসিস বেস একটি ইন্সট্রুমেন্ট তাই ফান্ডামেন্টাল নিউজ এর কারনে ইন্ডিকেটর কখনো তার স্বাভাবিক নির্দেশনার ব্যাতিক্রম করতে পারে। তাই সাবধান থাকুন। কিছু কমন এবং ভালো ফলাফল প্রদান করে এমন ইন্ডিকেটর শিখে ট্রেড করুন।
যেহেতু ফরেক্স মার্কেটে আমাদের সব শিক্ষার ফাইনাল টার্গেট হল ট্রেডে এন্টার করে এবং সফলভাবে ট্রেড থেকে বের হওয়া তাই আমরা কিছু ইন্ডিকেটর ব্যাবহার ট্রেড ওপেন করতে আর কিছু ইন্ডিকেটর ব্যাবহার করব ট্রেড ক্লোজ ডিসিশন নিতে।
আমাদের অনেক ট্রেডারের বড় একটি সমস্যা হল এলোমেলো ইন্ডিকেটর ব্যাবহার করে নিজেই মিসগাইড হয়ে যাওয়া। তাই আপনার স্ট্রেটিজি অনুসারে ট্রেড ওপেন আর জন্য ২-৩টি ইন্ডিকেটর আর ট্রেড ক্লোজ আর জন্য ২টি ইন্ডিকেটর দিয়ে নিজেই একটি সেট বা ইন্ডিকেটর প্যাকেজ তৈরি করুন। এতে করে আপনার ট্রেডিং মেসগাইড হবে না এবং শৃঙ্খলতার সাথে ট্রেড করতে পারবেন। অনেক গুলো ইন্ডিকেটর একসাথে ব্যাবহার করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই আমি এখানে মুলত একটি ট্রেডিং ইন্ডিকেটর প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করবো আশা করছি পরবর্তীতে আপনি ও নিজে একটি সেট করে ভালো ট্রেড করবেন
ট্রেড ওপেন করার জন্যঃ
  • মুভিং এভারেজ (Moving Average)
  • বলিঙ্গার বেন্ড (Bollinger Band)
  • জিগজাগ (Zigzag)

ট্রেড ক্লোজ করার জন্যঃ
  • আর.এস.আই-RSI (Relative Strength Index)
  • এ.ডি.এক্স- ADX(Average Directional Moving Index)

মুভিং এভারেজঃ

একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরিধিতে মার্কেটের এভারেজ পাইস ভেলু কি ছিল তা বোঝার জন্য মুভিং এভারেজ খুবই জনপ্রিয় এবং সচরাচর বেবহারিত একটি টুল। মুভিং এভারেজ  সাধারনভাবে সম্ভব্য সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস এর এরিয়া এবং গতি পরিমাপক একটি টুল হিসেবে বেবহরিত হয় । এই টুলটিকে রলিং (Rolling) বা রানিং (Running) এভারেজ টুল ও বলা হয়ে থাকে এবং এই মুভিং আভারেজকে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের প্রাণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নভিস থেকে শুরু করে প্রফেশনাল ট্রেডার সবাই মুভিং আভারেজ টুলটি ব্যাবহার করে। ফরেক্স মার্কেটে মোটামুটি ২ ধরণের মুভিং এভারেজ ট্রেডাররা বেশি ব্যাবহার করে থাকে।
১। SMA – সিম্পল মুভিং এভারেজ(Simple Moving Average)
২। EMA – এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ(Exponential Moving Average)

সিম্পল মুভিং এভারেজ(Simple Moving Average):

এই ইন্ডিকেটরটি দিয়ে পিরিয়ড এবং প্রাইস এর ভিত্তিতে একটি গাণিতিক হিসাব এর মাধ্যমে আপনি ট্রেন্ড ডিরেকশন সহ  বায় এবং সেল সংকেত বা সিগনাল দিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি কত দীর্ঘ মেয়াদী বা স্বল্প মেয়াদী ট্রেড করবেন  তা নির্ভর করবে আপনি কত সময়ের মুভিং এভারেজ পছন্দ করছেন।  তবে অভিজ্ঞ ট্রেডাররা ৩টি সময়ের মুভিং এভারেজ এর উপর ট্রেড করে থাকে।  সেগুলো হলঃ
  • স্বল্পমেয়াদী (Short term) – ১০ দিনের মুভিং এভারেজ
  • মধ্য মেয়াদী (Intermediate Term)  – ৫০ দিনের মুভিং এভারেজ
  • দীর্ঘ মেয়াদী (Long Term) – ২০০ দিনের মুভিং এভারেজ
 

কিভাবে মুভিং এভারেজ বের করবেনঃ

 SMA  =  Adding the closing price of a number of time periods / number of periods
উদহারন ১#  ৫ দিনের মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে ১.২১৬৬, ১.২৩৪১, ১.২৩৯৮, ১.২৩৬৪, ১.২৩০৫ এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ ;
১.২১৬৬ + ১.২৩৪১ + ১.২৩৯৮+ ১.২৩৬৪,+ ১.২৩০৫ / ৫ = ১.২৩১৪

উদহারন ২# ১০ ঘন্টার মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে  ১.২২৮১, ১.২২৭৬, ১.২২৭১, ১.২২৬৫, ১.২২৭১, ১.২২৬১, ১.২৩১৩, ১.২২৯৬, ১.২২৯৩, ১.২২৯৫ এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ;

১.২২৮১, ১.২২৭৬, ১.২২৭১, ১.২২৬৫, ১.২২৭১, ১.২২৬১, ১.২৩১৩, ১.২২৯৬, ১.২২৯৩, ১.২২৯৫ / ১০ = ১.২২৮২

কিভাবে ট্রেড করবেনঃ  মুভিং এভারেজ প্রাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইস এর উপরে হয় তাহলে বায় ট্রেড করবেন। এবং পাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইস এর নিচে হয় তাহলে সেল ট্রেড করবেন।
এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ(Exponential Moving Average):

সিম্পল মুভিং এভারেজ এর মত এই প্রকার মুভিং এভারেজ ও মার্কেট ডিরেকশন দেয় তবে পার্থক্য এটাই যে এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে তুলনামুলক পূর্ব পিরিয়ড প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট পিরিয়ড প্রাইস কে অধিক গুরুত্তের সাথে দেখা হয় । বিষয়টি আরো পরিষ্কার করছি...... মনে করুন, আপনি ৫ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ বের করবেন,
প্রথম দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২১৬৬,
দ্বিতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৪১,
তৃতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৯৮,
চতুর্থ দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩৬৪,
পঞ্চম দিন ক্লোজিং প্রাইস - ১.২৩০৫
তাহলে ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইস কে ৫ দিয়ে ভাগ করলে সিম্পল মুভিং এভারেজ বের হবে যা আমরা পূর্বে শিখেছি। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করুন যে ১ম দিনের ক্লোজিং প্রাইস এর সাথে ২য় দিনের ক্লোজিং প্রাইস এর একটা বড় ডিস্টেন্স দেখা যাচ্ছে যা পরবর্তী ৩দিনের এভারেজ ক্লোজিং প্রাইস থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। অর্থাৎ স্বাভাবিক নয়। কারন ঐ দিন (২য় দিন) ভালো ইকোনমিক নিউজ এর কারনে প্রাইস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মধ্যে পড়ে না। সিম্পল মুভিং এভারেজে  নির্দিষ্ট কোন দিনকে অধিক কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। আর এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজের পার্থক্যটা এখানেই। এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে প্রথম দুদিনের প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট অর্থাৎ লাস্ট ৩দিনের প্রাইসকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মুভিং এভারেজ বের করা হয়।  

ফরেক্স বিগেনার টু প্রফেশনাল ট্রেডিং [পর্ব-১০] :: চার্ট প্যাটার্ন- ডাবল টপ/বটম, ট্রিপল টপ/বটম, হেড অ্যান্ড শোল্ডার টপ/বটম

রিভার্সেল চার্ট প্যাটার্ন:

যে সকল চার্ট প্যাটার্নে মার্কেট বিপরীত দিকে মোড় নেয় অর্থাৎ ট্রেন্ড চেঞ্জ করে সেসকল প্যাটার্নকে রিভার্সেল চার্ট প্যাটার্ন বলে। কয়েকটি কমন রিভার্সেল চার্ট প্যাটার্ন হলঃ

ডাবল টপঃ

এটি ফরেক্স মার্কেটের বহুল জনপ্রিয় একটি প্যাটার্ন যা প্রায় সময় দেখা যায়। এটি খুব কমন এবং রিলায়এবল একটি ট্রেন্ড রিভার্স প্যাটার্ন যা খুব সহজে চিহ্নিত করা যায়। এই প্রকার প্যাটার্নটি ইংরেজি M সেইপ এর সাথে তুলনা করে ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে পারা যায়। অর্থাৎ যখন আপট্রেন্ড মার্কেটে পাইস বাউনসিং এর মাধ্যমে মুভ করে একটি রেসিসটেনস লেভেল কে আরেকটি সাপোর্ট (নেক) লেভেল এর মাধ্যমে পুল ব্যাক করে দ্বিতীয় বার ওই রেসিসটেনস লেভেল কে সমানভাবে বা মোটামুটি সমান ভাবে হিট করে তখন ডাবল টপ শেইপ তৈরি হয়।
নিচের ছবিটি দেখুন...।
 কিভাবে ট্রেড করবেনঃ ডাবল টপ পিক করে পাইস যখন কমে গিয়ে নেক (Neckline) লেভেলকে ক্রস করে তখন সেল অর্ডার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন নেক লেভেলকে ক্রস না করলে কিন্তু বটম বাউন্স করে উপরে উঠে যেতে পারে।

 ডাবল বটমঃ

প্যাটার্ন হল ডাবল টপ প্যাটার্ন এর বিপরীত একটি রিভার্সেল প্যাটার্ন। লম্বা বা বিস্তৃত ডাউন ট্রেন্ডে এটি সাদৃশ্য হয়। এটিকে ইংরেজি W শেইপ এর মত তুলনা করতে পারেন। যখন ডাউনট্রেন্ড মার্কেটে পাইস বাউনসিং এর মাধ্যমে মুভ করে একটি সাপোর্ট লেভেল কে আরেকটি রেসিসটেনস (নেক) লেভেল এর মাধ্যমে পুল ব্যাক করে দ্বিতীয় বার ওই সাপোর্ট লেভেল কে সমানভাবে বা মোটামুটি সমান ভাবে হিট করে তখন ডাবল বটম শেইপ তৈরি হয়।
নিচের চিত্রে দেখুন...


কিভাবে ট্রেড করবেনঃ ডাবল বটম পয়েন্ট টাচ করে পাইস যখন বেড়ে গিয়ে নেক (Neckline) লেভেলকে ক্রস করে তখন বায় অর্ডার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন নেক লেভেলকে ক্রস না করলে বাউন্স করে আবার নিচে নেমে যেতে পারে।

 ট্রিপল টপ (Triple Top) :

টপ মত পার্থক্য হল তৃতীয় বারের মত রেসিসটেনস লেভেল কে পিক করলে এই শেইপ তৈরি হয়।
 চিত্রে দেখুন...


একইভাবে তৃতীয় বারের মত সাপোর্ট লেভেল টাচ করে ক্রস করলে সেল অর্ডার করতে পারেন। এই সকল প্যাটার্নে ট্রেড করতে পারলে ১০০ পিপস এর বেশি প্রফিট বের করা যায়।

 ট্রিপল বটম (Triple বটম):

ডাবল এবং ট্রিপল বটম প্যাটার্ন  বুঝতে পারলে এই প্যাটার্নে আর বিস্তারিত কিছু বলার নাই আশা করি এতক্ষণে আপনি বুঝে গিয়েছেন। ডাবল বটম প্যাটার্নের আর একটু বিস্তৃত অর্থাৎ পরপর তিনটি সমান বা কাছাকাছি সাপোর্ট লেভেল টাচ করে যখন রেসিসটেনস (Neckline) লেভেল ক্রস করবে তখন এই প্যাটার্নে বায় অর্ডার করে বিশাল একটা প্রফিট নিতে পারেন।

হেড অ্যান্ড শোল্ডার টপ (Top Head & Shoulder):

এটি একটি আপট্রেন্ড রিভার্সেল প্যাটার্ন। এই প্যাটার্ন নামটি ভালোভাবে পড়লে এর ধরন সম্পর্কে ৫০% বেশি ধারণা চলে আসবে। কথা না বাড়িয়ে মূল পয়েন্টে যাই। এই প্যাটার্নটি
২টি শোল্ডার(shoulder),        - Second high peak
১টি হেড(Head)                   - First high peak
নেক লাইন(Support)  – Third high balance peak. ধারা গঠিত।
অর্থাৎ আপট্রেন্ড মার্কেটে যখন একটি সরবচ্চ হাই পিক এর মাধ্যমে দুপাশে দুটি মিডিয়াম হাই পিক এর সর্বনিম্ন পয়েন্টে (সাপোর্ট) নেক লাইন তৈরি করে তখন এই আকৃতিকে হেড অ্যান্ড শোল্ডার প্যাটার্ন বলে। হিউম্যান বডির সাথে চিন্তা করে আরো সহজ করে নিতে পারেন অর্থাৎ মাথা হচ্ছে হাই পিক এবং দুটি কাঁধ হল মিডিয়াম বা সেকেন্ড হাই পিক এবং দুই কাঁধের সর্বনিম্ন পয়েন্ট হল নেক লাইন(সাপোর্ট)। আশা করছি প্যাটার্নটি আয়ত্ত করতে পেরেছেন। চার্ট প্যাটার্নের এই প্যাটার্নটিকে অনেক নির্ভরযোগ্য একটি প্যাটার্ন হিসেবে ট্রেডাররা ট্রেড করে থাকে কারন এই প্যাটার্নটির Accuracy অনেক ভালো।

কিভাবে ট্রেড করবেনঃ অন্য সব প্যাটার্নের মত নেক লাইন ব্রেক করলে শর্ট অর্ডার অর্থাৎ টপ রিভার্সেল অর্ডার করবেন।

হেড অ্যান্ড শোল্ডার বটম রিভার্সেল (Bottom Head & Shoulder):

হেড অ্যান্ড শোল্ডার এর ঠিক বিপরীত এটি একটি বটম রিভার্সেল প্যাটার্ন। ডাউনট্রেন্ড মার্কেটে একটি হায়েস্ট লাওয়ার (Head) এর দুপাশে দুটি  সেকেন্ড হায়েস্ট লাওয়ার (Shoulders) এর সরবচ্চ পয়েন্টে রেসিসটেনস বা নেক লাইন তৈরি করে তখন থাকে বটম হেড অ্যান্ড শোল্ডার বলে।
চিত্রে খেয়াল করুন...
 
কিভাবে ট্রেড করবেনঃ নেক লাইন ব্রেক করলে লং অর্ডার অর্থাৎ বটম রিভার্সেল অর্ডার করবেন।

Facebook Twitter RSS